রায়পুর উপজেলায় প্রাকৃতিক সম্পদ গুলো হল :মৎস্য সম্পদ ,কৃষি সম্পদ, পশু সম্পদ।
মৎস্য সম্পদ :ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। একক প্রজাতী হিসাবে সর্ববৃহৎ এবং সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ন। দেশের মৎস উৎপাদনে ইলিশের অবদান প্রায় শতকরা ১২-১৩ ভাগ। লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় ইলিশের উৎপাদন প্রায় ১৩৫০০ মে: টন যার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। স্থানীয় চাহিদা পূরন করে ইলিশ মাছ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যায় এবং বিদেশে ও রপ্তানী হয়ে থাকে।
কৃষি সম্পদ :লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর। লক্ষ্মীপুরের মাটি, জলবায়ু ও পানি নানা ধরণের ফসল উৎপাদনের উপযোগী। এই উপজেলার মোট গৃহস্থালির ৭৫% ই কোন না কোন ভাবে ফসল উৎপাদনের সাথে জড়িত। ধান, সয়াবিন,পাট, মারিচ, সারিষা, আলূ, বাদাম ও আখঁ এই উপজেলার প্রধান ফসল। এছাড়া রায়পুর উপজেলায় সুপারি ও নারিকেলের ব্যাপক চাষ লক্ষ্য করা যায়। আরো আছে প্রচুর পরিমানে ফলজ গাছ দেখা যায়। আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু, বেল ও আমড়া প্রধান কয়টি স্থানীয় ফল।
পশু সম্পদ :লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় গ্রামীন এলাকায় কৃষিশুমারি ১৯৯৬ অনুযায়ী গাবদি পশু পালন গ্রামীন গৃহস্থালির ৩৬% । ২২২ টি হাঁস মুরগীর খামার ও ১০২ টি পশুসম্পদ খামার রায়পুরকে পশুসম্পদের দিক থেকে উন্নত করেছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১৭,২৯,১৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৬৬,৮৬৮ জন এবং মহিলা ৮,৬২,৩২০ জন।(২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী)
লক্ষ্মীপুর জেলায় ধর্মবিশ্বাস-২০১১
ইসলাম (৯৩.৩১%)
হিন্দু ধর্ম (৪.৬৬%)
বৌদ্ধ ধর্ম (২.০০%)
খ্রিস্ট ধর্ম (০.০৩%)
ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৫.৩১% মুসলিম, ৪.৬৬% হিন্দু এবং ০.০৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২২°৩০´ থেকে ২৩°১০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩৮´ থেকে ৯০°০১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে লক্ষ্মীপুর জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে চাঁদপুর জেলা; পূর্বে ও দক্ষিণে নোয়াখালী জেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী, ভোলা জেলা ও বরিশাল জেলা অবস্থিত। লক্ষ্মীপুর শহর রহমতখালি নদীর তীরে অবস্থিত।
লক্ষ্মী শব্দটি থেকে লক্ষ্মীপুরের নামকরণ করা হয়েছে। লক্ষ্মী শব্দের অর্থ হলো ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী। আর পুর শব্দটির অর্থ হলো শহর বা নগর। লক্ষ্মীপুর এর অর্থ হলো সম্পদ সমৃদ্ধ শহর বা সৌভাগ্যের নগরী।
তাই লক্ষ্মী বা সৌভাগ্যের এই দহটি এলাকার সবার কাছে লক্ষ্মীদহ বা লক্ষ্মদহ নামে সবার কাছে পরিচিতি লাভ করে। অন্য একটি মতে, দালাল বাজার এলাকার জমিদার রাজা গৌর কিশোর রায় চৌধুরী এর অধস্তন জমিদার লক্ষ্মীনারায়ণ রায় চৌধুরীর নামানুসারে এলাকাটির নাম হয় লক্ষ্মীপুর।
পূর্বে লক্ষ্মীপুর নামের ইংরেজি Laxmipur বা Luxmipur লেখা হলেও ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের রীতি অনুসরণের জন্য পরিপত্র জারি হওয়ার পর থেকে লক্ষ্মীপুর শব্দটি ইংরেজিতে Lakshmipur লেখা শুরু হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলার উপজেলা : ৫টি