The Ballpen
রায়পুরা উপজেলার ঐতিহাসিক ঘটনাবলী - theballpen

রায়পুরা উপজেলার ঐতিহাসিক ঘটনাবলী

2nd Jan 2023 | নরসিংদী জেলা |

ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন, জমিদারি প্রথা, নীল চাষের বিরুদ্ধাচরণ, ইজারা প্রথা ও জমিদারদের ভৌতিক করের বিপক্ষে সাধারণ মানুষ ক্রমশঃ অধিকার সচেতন হতে থাকে। সুন্দর আলী গান্ধী, হাতেম আলী খান, বিপ্লবী সতীশ পাকরাশী, বিজয় চ্যাটার্জী, অনন্ত দাস, মধু ব্যানার্জী, আফতাব উদ্দিন খোন্দকার প্রমূখ সমগ্র নরসিংদী অঞ্চলে গোপনে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের আগুন ছড়াতেন। রায়পুরার তরুণ বিপ্লবী রমানন্দ সূত্রধর, সৃষ্টিধর খলিফা, ডাঃ রমেন্দ্র নারায়ণ সাহা, আঃ ছাত্তারসহ অনেকেই উদ্বুদ্ধ হন। বামধারার বরেণ্য নেতৃবৃন্দ গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে এখানে আত্মগোপন করেন। তন্মধ্যে, তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী নাচোলের রাণী ইলা মিত্রের স্বামী রমেণ মিত্র হাসিমপুরের রমানন্দ সূত্রধরের বাড়ীতে, ত্যাগী ও নির্যাতিত বাম রাজনীতিবিদ সুনীল রায়, অনন্ত দাস, মধু ব্যানার্জী ও বারিণ দত্ত পিরিজকান্দির সৃষ্টিধর খলিফার বাড়ীতে অবস্থান করেন। তারা অনেকেই ব্রিটিশ বিরোধী সংগঠন অনুশীলন ও যুগান্তরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

১৯৪১ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রায়পুরার ৬১টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত শত ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। দাঙ্গা প্রশমনে শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকসহ কলকাতা থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এসেছিলেন। ঐতিহাসিক গরুরবাজারে বিশাল সমাবেশে তারা ভাষণ দেন। তাদের উদার ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা নিরসন হয়।

১৯৫০ সালে খাজা নাজিমউদ্দিনের পাক শাসন আমলে রায়পুরার পূর্বদিকে দৌলতকান্দি ও ভৈরবে হিন্দু-সম্প্রদায়ের লোকজনকে জবাই করে অথবা জীবন্ত অবস্থায় চলন্ত ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল।

পাক আমলে বিদ্রোহ বিপ্লবে লড়াই-সংগ্রাম ও নানা বিষয়ভিত্তিক আন্দোলকে শাসকদলের ভিত নড়বড়ে করেছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। অনেকে মাথায় হুলিয়া নিয়ে এসে আত্মগোপন করতেন অথবা গোপনে সংগঠনের কাজ চালাতেন। ১৯৬৪ সালে ঐতিহাসিক গরুরবাজারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফার প্রস্তুতিস্বরূপ বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন। এর পরের বছর একই স্থানে অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী ভাষণ দিয়েছিলেন। ১৯৬৬ সালে জঙ্গী শিবপুরে পূর্ব পাকিস্তান কৃষক সমিতির জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, মতিয়া চৌধুরী, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ প্রমূখ এসেছিলেন। এছাড়াও, তৎকালীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতির অন্যতম নেতা ও জগন্নাথ কলেজের পরপর দুইবার নির্বাচিত ভিপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলিষ্ঠ ভূমিকার স্বাক্ষর রেখেছিলেন।





Related

নরসিংদী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

এই জেলা বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। নরসিংদী তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। নরসিংদী জেলার কাপড় কিনে নিয়ে যায় পুরো বাংলাদেশ এর মানুষ এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানি করে থাকে।



Related

নরসিংদী জেলা হয় কত সালে?

১৯৮৪ সালে নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব এবং রায়পুরা এ ০৬ টি উপজেলা এবং নরসিংদী পৌরসভা নিয়ে নরসিংদীকে জেলা ঘোষণা করে সরকার।



Related

নরসিংদী কোন বিভাগে

নরসিংদী জেলা বাংলাদেশের মধ্যভাগের ঢাকা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল।



Related

মুক্তিযুদ্ধের সময় নরসিংদী কত নম্বর সেক্টরে ছিল?

নরসিংদীকে ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে নেয়া হলে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. নূরুজ্জামান। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক খণ্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়।



Related

নরসিংদী পৌরসভায় রুপান্তর হয় কবে?

১৯৭৭ পরবর্তী নারায়ণগঞ্জ মহকুমা থেকে নরসিংদী অঞ্চলকে একক মহকুমায় উন্নিতকরণ করার সুবাদে নরসিংদী পৌর পরিষদকে (ক) শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় সরকারের স্বায়ত্তশাসিত ৩৩ টি মহল্লার সমন্বয়ে ৯ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ১০.৩২ বর্গ কিঃ মিঃ আয়তন জুরে নরসিংদী পৌরসভায় রুপান্তর হয়।