ভারত বর্ষের আসাম বেঙ্গল প্রদেশের শেষ সীমানায় ছিল এই অঞ্চল । বর্তমানে লাখাই ইউনিয়নের স্বজনগ্রাম নামক স্থানে ছিল লাখাই আউটপোষ্ট । ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন আসাম প্রাদেশিক সরকারের গেজেট নোটিফিকেশন নম্বর ১৭৬ জিকে-র মাধ্যমে লাখাই থানা প্রতিষ্ঠিত হয় মর্মে জানা যায় । তার আগে এ অঞ্চলের সাব রেজিষ্টি অফিস ছিল মাধবপুর উপজেলার চর ভাঙ্গা নামক স্থানে । ১৯৪৭ এর পরে এ অঞ্চলের সাব রেজিষ্ট্রি অফিস হয় হবিগঞ্জ মহকুমায় । ৪৭ এর পরে হবিগঞ্জ মহকুমার অধীনে এ অঞ্চলকে সার্কেল অফিসার রাজস্বের আওতায় আনা হয় ।
১৯৬৪ সালে এ অঞ্চলকে সার্কেল অফিসার উন্নয়নের আওতায় আনা হয় এবং স্বজনগ্রাম নামক স্থানে সিও ডেভেলপমেন্ট লাখাই এর কার্যালয় স্থাপন করা হয় । সিও ডেভেলপমেন্ট এর কার্যালয়ের অধীনে অন্যান্য অফিস স্থাপন করা হয় । ১৯৮৩ সালে বিভিন্ন লোকের দরখাস্ত এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাখাইকে মনোনীত থানায় উন্নীত করা হয় এবং বামৈ ইউনিয়নের ভাদিকারা মৌজার কালাউক নামক স্থানে ১৯৮৩ সালের ১৫ ই এপ্রিল মানোন্নীত থানার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় । প্রথম উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব বিবেকানন্দ পাল এবং প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বীর মুক্তিযুদ্ধা মরহম মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন । পরবর্তীতে ধীরে ধীরে কালাউক নামক স্থানেই উপজেলা পরিষদের সকল অফিস, বাসভবন প্রতিষ্ঠিত হয় ।
মৌলভীবাজার এর অর্থনীতির প্রধান ভীত হলো চা শিল্প ও রাবার শিল্প । এ জেলায় প্রচুর পরিমানে চা ও রাবার উৎপাদিত হয় । এ ছাড়াও এ জেলার অর্থনীতিতে এই জেলার পর্যটন শিল্পও বিশেষ ভাবে উল্ল্যেখযোগ্য, তা ছাড়াও এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শিল্প যা মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধশালী ।
হবিগঞ্জ জেলার আর দশটি সাধারণ মানুষ ভাত মাছ খেলে এখানকার একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী মূলত প্রধান খাবার হিসেবে "ছিকর" নামের একটি খাবার গ্রহণ করে থাকে। অবাক করার বিষয় হল এটি এটেল মাটি দ্বারা নির্মিত একটি খাবার। প্রথমে স্বচ্ছ মিহি এটেল মাটি রোদে শুকোতে হয়।
বাহুবল উপজেলা প্রাকৃতিক বৈচিত্রে ভরপুর উপজেলা। এই উপজেলায় একই সাথে পাহাড়ী টিলা সমতল ভহমি এবং হাওড় অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় ৭টি চা-বাগান উপজেলাকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তোলেছে। তা ছাড়া এইখানে নির্মাণাধীন ৫ তারকা বিশিষ্ট দি প্যালেস আকর্ষনের বিষয় বসত্মত্মুতে পরিণত হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস ফিল্ড বিবিয়ানা । এটি কে পি আই শ্রেণীর স্থাপনা যা ৪ নং দীঘলবাক ইউনিয়ন ও ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে অবস্থিত। ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের সৈয়দপুর বাজার হতে মাত্র ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে পাকা সড়কে ধরে গেলেই বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড দেখতে পাওয়া যায় ।
১৯৪৭ সালের ১৩ই আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বদিন পর্যন্ত সিলেট আসামের একটি জেলা হিসেবে গণ্য ছিল। অর্থাৎ এই সময়ে নবীগঞ্জ আসাম প্রদেশের একটি জেলা হিসেবে সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল।