The Ballpen
লামা উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের সময় কত সেক্টরের অধীনে ছিল? - theballpen

লামা উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের সময় কত সেক্টরের অধীনে ছিল?

5th Dec 2022 | বান্দরবান জেলা |

মুক্তিযুদ্ধের সময় লামা উপজেলা ১নং সেক্টরের অধীনে ছিল। অন্যান্য এলাকার পাকবাহিনীর ব্যাপক গণহত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের কথা জানা যায় না, কারণ লামায় পাকিস্তানের নিয়মিত বাহিনীর তেমন সক্রিয়তা ছিল না। তবে রাজাকার বাহিনী ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে গঠিত পাকিস্তান সমর্থক ফুরুইক্ষা বাহিনী ব্যাপক অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। পার্শ্ববর্তী বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন নিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ ইপিআর এবং নিজের দল নিয়ে লামা থানা আক্রমণ করে বিরাট সাফল্য অর্জন করেন। শত্রুসেনার সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র তাদের হস্তগত হয়। এই অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে ছিল ৩৮টি থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও ৩৭০০ রাউন্ড গুলি। ওই অপারেশনে ১ জন রাজাকার নিহত ও ২ জন পুলিশ ধৃত হয়। পরে সেই পুলিশ সদস্যরাও তাদের দলে যোগ দেন।[৭] পরবর্তীতে আবদুল হামিদ ধরা পড়ে ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তাকেসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে তৎকালীন লামা থানার দক্ষিণ পাশে চাম্পাতলী প্রাইমারি স্কুল ঘরে এনে যারপরনাই অত্যাচার করা হয়। বর্তমানে লামা থানা ভবন অন্যত্র সরিয়ে ফেললেও সাবেক থানা কমপ্লেক্সের কঙ্কাল ও স্কুলের সেই নির্যাতন কক্ষ এখনও বিদ্যমান।





Related

বান্দরবান জেলার মোট আয়তন কত?

বান্দরবান জেলার মোট আয়তন ৪৪৭৯.০২ বর্গ কিলোমিটার।



Related

বান্দরবান জেলার জনসংখ্যা কত?

বান্দরবান জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে কম জনবসতিপূর্ণ জেলা। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এ জেলার মোট জনসংখ্যা ৪,৮০,৬৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২,৪৬,৫৯০ জন এবং মহিলা ২,৩৪,০৩৫ জন। মোট পরিবার ৮০,১০২টি। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১০৭জন।

বান্দরবানের ধর্মবিশ্বাস-২০২২

  ইসলাম (৫২.৬৮%)

  বৌদ্ধ (২৯.৫২%)

  খ্রিস্ট ধর্ম (৯.৭৮%)

  হিন্দু ধর্ম (৩.৪২%)

ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার৫২.৬৮ মুসলিম, ৩.৪২ হিন্দু, ২৯.৫২ বৌদ্ধ এবং ৯.৭৮ খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। মুসলিম ও হিন্দুরা বাংলাভাষী। এছাড়াও এ জেলায় মারমা, চাকমা, চাক, বম, মুরং, ত্রিপুরা, খেয়াং, খুমি, লুসাই প্রভৃতি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।



Related

বান্দরবান জেলার অবস্থান ও সীমানা

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২১°১১´ থেকে ২২°২২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৪´ থেকে ৯২°৪১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে বান্দরবান জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ৩২৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার। এ জেলার পশ্চিমে কক্সবাজার জেলা ও চট্টগ্রাম জেলা, উত্তরে রাঙ্গামাটি জেলা, পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলা ও মায়ানমারের চিন প্রদেশ এবং দক্ষিণে ও পশ্চিমে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ অবস্থিত।



Related

বান্দারবান জেলার নামকরণের ইতিহাস

বান্দরবান জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের প্রচলিত রূপ কথায়  আছে অত্র এলাকায়  একসময় বাস করত অসংখ্য বানর । আর এই বানরগুলো  শহরের প্রবেশ মুখে  ছড়ার  পাড়ে পাহাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ  খেতে আসত। এক সময় অনবরত বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃ্দ্ধি পাওয়ায় বানরের দল ছড়া পাড় হয়ে পাহাড়ে যেতে না পারায়  একে অপরকে ধরে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পাড় হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই দৃশ্য দেখতে পায় এই জনপদের মানুষ।  এই সময় থেকে এই জায়গাটির পরিচিতি লাভ করে "ম্যাঅকছি ছড়া " হিসাবে । অর্থ্যাৎ মার্মা ভাষায় ম্যাঅক অর্থ  বানর  আর ছিঃ অর্থ বাঁধ । কালের প্রবাহে বাংলা ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম রুপ লাভ করে বান্দরবান হিসাবে ।  বর্তমানে সরকারি দলিল পত্রে বান্দরবান হিসাবে এই জেলার নাম স্থায়ী রুপ লাভ করেছে। তবে মার্মা ভাষায় বান্দরবানের নাম "রদ ক্যওচি ম্রো"।



Related

বান্দারবান জেলা রূপে আবির্ভাব

বৃটিশ শাসন আমলে ১৮৬০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামকে জেলা ঘোষণা করা হয়। তৎকালীন সময়ে বান্দরবান পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার অধীন ছিলো। ক্যাপ্টেন মাগ্রেথ ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার প্রথম সুপারিনট্যানডেন্ট। ১৮৬৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার সুপারিনট্যানডেন্ট পদটির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা হয় এবং ১৮৬৭ সালে এই পদটির নামকরণ করা হয় ডেপুটি কমিশনার। পার্বত্য চট্ট্রগাম জেলার প্রথাম ডেপুটি কমিশনার ছিলেন টি, এইচ লুইন। ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করা হয়-চাকমা সার্কেল, মং সার্কেল, এবং বোমাং সার্কেল। প্রত্যেক সার্কেলের জন্য একজন সার্কেল চীফ নিযুক্ত ছিলেন। বান্দরবান তৎকালীন সময়ে বোমাং সার্কেলের অর্ন্তভুক্ত ছিলো। বোমাং সার্কেলের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার কারণে এই জেলার আদি নাম বোমাং থং।
বান্দরবান জেলা ১৯৫১ সালে মহকুমা হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করে। এটি রাংগামাটি জেলার প্রশাসনিক ইউনিট ছিলো। পরর্বতীতে ১৯৮১ সালের ১৮ই এপ্রিল, তৎকালিন লামা মহকুমার ভৌগলিক ও প্রশাসনিক সীমানাসহ সাতটি উপজেলার সমন্বয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।