৭ই মার্চ ১৯৮৩ সালে জেলা গঠনের ঘোষণা হয়। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ শরীয়তপুর জেলার শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্য মন্ত্রী জনাব নাজিম উদ্দিন হাশিম।
১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল মাদারীপুর মহকুমার (বর্তমান শরিয়তপুর ও মাদারীপুর) পতন হলে তিনি মুক্তিসেনাদের নিয়ে ২ সেক্টরে যোগ দেন। এখানে তিনি সাব-সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শরীয়তপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের (প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের) একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
শরীয়তপুর অনেক আগে থেকেই মৃৎশিল্প ও পিতলের জিনিসপত্রের জন্য বিখ্যাত। এখানকার টেরাকোটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পটারি ইউরোপসহ বিশ্বের ২০টি দেশে যায়। শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মনে করেন, পদ্মা সেতু এই দুই শিল্পকে আরও এগিয়ে নেবে।
ময়দার কল : ৪ টি। বরফের কল : ১৩ টি। তেলের কল : ৩ টি। পূর্বে এই জেলা কাশা ও পিতলের তৈজষপত্র তৈরীর জন্য বিখ্যাত ছিল।
শরীয়তপুর জেলার বিখ্যাত খাবারের নাম বিবিখানা পিঠা।পরিবেশনে যেমন আভিজাত্য খেতেও তেমনি সুস্বাদ্য মুখরোচক। বাড়িতে অতিথির আগমন, বিয়ে, আড্ডা,অনুষ্ঠানসহ সব ধরনের আয়োজনে বিবিখানা পরিবেশন করা শরীয়তপুরের রীতি বলা চলে। ধরনা করা হয় এই পিঠার প্রচলন শুরু হয় রাজা বিক্রমাদিত্য এর সময়।