The Ballpen
শালিখা উপজেলায় খেলাধুলা ও বিনোদন - theballpen

শালিখা উপজেলায় খেলাধুলা ও বিনোদন

21st Dec 2022 | মাগুরা জেলা |

ফুটবলঃ

সন্দেহ নেই যে ফুটবলই এই জনপদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় খেলা। পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের দশকে যারা ফুটবল অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছেন তাদের মধ্যে তৎকালীন  খেলোয়াড় ছিলেন- বুলেট, মুন্সী মোস্তফা , রুটগুলি,তপন।

ফুটবলে শালিখা উপজেলার সবচেয়ে বড় সাফল্য বয়ে এনেছেন মোস্তফা মুন্সী, মো: খায়রুল ইসলাম (বি.কে.এস.পির সাবেক খালোয়াড়)

ক্রিকেটঃ

শালিখা উপজেলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট।  ঢাকার প্রথম বিভাগ ক্রিকেট ক্লাবে নিয়মিত ক্রিকেট খেলেছেন- সৈয়দ বাচ্চু, হাশিম ও কাজী ফিরোজ, তিমির। ক্রিকেট কোচ বাপ্পী (বিকেএসপি) ঢাকা আবাহনীর হয়ে বিশ্ব খ্যাত অলরাউন্ডার ওয়াসীম আকরামের সাথে খেলে প্রভূত সুনাম অর্জন করেছেন। বর্তমান সময়ের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান মাগুরার সন্তান। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে গৌরবের আসনে আসীন করেছেন। তিনি বর্তমানে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার।

ভলিবলঃ

ভলিবল এই জনপদের বহুল প্রচলিত একটি খেলা। এই জনপদে ভলিবল খেলাকে যারা জনপ্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেইসব কৃতি খেলোয়াড়বৃন্দ হলেন- পন্ডিত আঃ গফুর, মন্নু কাজী, মোহন, ওহাব মুন্সি, বুড়ো মীর ও নান্না কাজী। পরবর্তীতে কাজী ফিরোজ (ঢাকা প্রথম বিভাগ ভলিবল লীগের খেলোয়াড়), বাকের, নান্নু প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মাজেদ বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে দেশে বিদেশে খেলে প্রভূত সুনাম অর্জন করেছেন।

অন্যান্য খেলাঃ

ব্যাটমিন্টন, হাডুডু, সাঁতার এবং লাঠি খেলার মত খেলাগুলো বিভিন্ন ঋতুতে উৎসবমূখর পরিবেশে ব্যাপক উৎসাহ- উদ্দীপনার মাধ্যমে শালিখা উপজেলাতে প্রতিবছর আয়োজন করা হয়।

বিনোদন:

নৌকাবাইচ, যাত্রা গান, জারী গান, সারী গান, পালা গান, বিচার গান(ভাবগান), বাউল গান, ভাটিয়ালী গান, সার্কাস, ঘুড়ি উড়ানো, ঘৌড়দৌড়, সাপের খেলা, লাঠিখেলা, গংগা স্নানের মেলা, পৌষ মেলা ও বৈশাখী মেলা ইত্যাদি শালিখা উপজেলার বিনোদনের অন্যতম অনুসঙ্গ।

 





Related

মাগুরা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

মাগুরা জেলা রসমালাই ও মধুমতি নদীর জন্য বিখ্যাত।



Related

মাগুরা জেলা প্রতিষ্ঠা লাভ করে কত সালে?

১৮৪৫ সালে মাগুরা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হলেও মাগুরা সদরে থানা স্থাপিত হয় আরও অনেক পরে, ১৮৭৫ সালের ১৬ নভেম্বর । অবশ্য এর আগে ১৮৬৭ সালে শালিখা, ১৮৭৯ সালের ২৮ শে জানুয়ারি শ্রীপুর এবং ১৮৬৯ সালের ২৪ নভেম্বরমহম্মদপুর থানা স্থাপিত হয়। এই চারটি থানা নিয়ে প্রায় ১৪০ বছর মাগুরা যশোর জেলার মহকুমা হিসেবে বজায় থাকে।



Related

মাগুরা জেলা কবে শত্রুমুক্ত হয়?

মাগুরা, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ (বাসস) : মাগুরা মুক্ত দিবস আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর।। ১৯৭১ সালের এ দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হয় মাগুরা।



Related

মাগুরার জেলার বিখ্যাত খাবার

মাগুরা রসমালাই এর জন্য বিখ্যাত। যদিও রসমালাই মাগুরার বিখ্যাত খাবার কিভাবে হলো বা এর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়না। মাগুরার বিখ্যাত খাবার যদিও রসমালাই তবুও অণ্যান্য বিভিন্ন খাবারের সুনাম রয়েছে। তবে লোকমুখে বেশি শুনা যায় মাগুরার জেলার বিখ্যাত খাবারের নাম রসমালাই।



Related

মাগুরা জেলার ইতিহাস

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে এক সমৃদ্ধ জনপদের নাম মাগুরা। ১৭৮৬ সালে ব্রিটিশ আমলে বাংলা প্রদেশের প্রথম গঠিত জেলা যশোর। কিন্তু একজন জেলা কর্মকর্তার পক্ষে এ বৃহৎ জেলার আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ ও প্রশাসনিক কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মুলত মগ জলদস্যুদের হাত থেকে এ জেলার উত্তরাঞ্চলের জন সাধারণকে রক্ষা করার জন্যই ১৮৪৫ সালে যশোর জেলার প্রথম মহকুমা করা হয় মাগুরাকে। মহকুমা গঠন করার পর প্রথম মহকুমা অফিসার হিসেবে আসেন মিঃ ককবার্গ। মহকুমা হবার আগে মাগুরা অঞ্চল ভূষণা ও মহম্মদপুর নামেই সুবিখ্যাত ছিল। পাল রাজত্বের সময় এ অঞ্চলের উত্তর ও উত্তর পূর্ব অংশ শ্রীপুর ও রাজাপুর নামে পরিচিত ছিলো।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব অংশ ভূষনা। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হবার পর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসাবে মাগুরাকে ১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত করা হয়। প্রথম ডেপুটি কমিশনার নিয়োগ করা হয় অরবিন্দু করকে। মাগুরা জেলা মোট ৪টি থানা নিয়ে গঠিত। যথা মাগুরা সদর , শ্রীপুর , শালিখা, ও মহম্মদপুর যা ২টি সংসদীয় যথা মাগুরা-১ (জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা) ও মাগুরা-২ (জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা) নির্বাচনী এলাকায় বিভক্ত।