শাহজাহানপুর উপজেলায় পাঁচটি কলেজ রয়েছে। এদের মধ্যে:
দুবলাগাড়ি কলেজ১৯৮৬ সালে স্থাপিত হয়।
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ১৯৭৯ সালে স্থাপিত,
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল ১৯৭৭ সালে স্থাপিত, এই দুইটি স্কুল মাঝিড়া সেনানিবাসে অবস্থিত।
এছাড়া করমউদ্দিন কলেজ, ডেমাজানী ।
ডেমাজানী শহীদ মোখলেছুর রহমান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,
আড়িয়া রহিমাবাদ সরকাারি উচ্চ বিদ্যালয়,
আড়িয়া রহিমাবাদ প্রাথমিক বালক বিদ্যালয়,
আড়িয়া রহিমাবাদ বালিকা বিদ্যালয়,
রহিমাবাদ শালুকগাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
কামারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়,
মাঝিড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,
পারফেক্ট হাই স্কুল, সানবিমস হাই স্কুল সেনাপল্লী স্কুল উল্লেখ্য,
মিলেনিয়াম স্কলাস্টিক স্কুল ও কলেজ ১৯৯৮ সালে স্থাপিত হয় এবং
প্রয়াস স্কুল (প্রতিবন্ধী স্কুল) ২০১২ সালে স্থাপিত, এই দুই জাহাঙ্গিরাবাদ সেনানিবাসে অবস্থিত।
শাহজাহানপুর উপজেলায় ছয়টি ফাযিল এবং দুইটি কামিল মাদ্রাসাও আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:
জোড়া নজমুল উলূম কামিল মাস্টার্স মাদ্রাসা যা স্থাপিত হয়েছিল ১৯১০ সালে।
এছাড়াও আজিরন রাবেয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসা । স্হাপিত ১৯৭৪।
এছাড়াও গ্রীণ ফিউচার পাবলিক স্কুল, নগরহাট। স্কুলটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও এর আধুনিকায়ন শুরু হয়েছে ২০১৭ সালের ০১অক্টোবর থেকে।শাহজাহনপুর উপজেলায় একমাত্র নারী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহজাহানপুর মহিলা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ 2003 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে 2011 সাল থেকে পাঠ দান করে আসতেছে।ইহা ছাড়া আরও রয়েছে নগর জে এম সিনিয়র মাদ্রাসা,
নগর শাহ্ মোজাম্মেল হক উচ্চ বিদ্যালয়,
নগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
খরনা ইউনিয়নের কালুদাম গ্রামে রহিম আফরোজ পরিচালিত আরএসএফ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। অপরদিকে উপজেলার বেশ কিছু এলাকা বগুড়া পৌরসভার অন্তরভূক্ত। এর মধ্যে ২১নং ওয়ারড্ এর বেজোড়া দক্ষিণপাড়ায় ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘নূরুন আইসিটি স্কুল’।
প্রতি বৎসর ভলিবল লীগ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বৎসর যুব এবং সিনিয়র ক্রিকেট লীগ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিনোদনঃপ্রতি বৎসর যাত্রা পালা, নাটক মঞ্চায়ন হয়ে থাকে। এছাড়াও ঋতুভিত্তিক বিভিন্ন মেলা-যেমনঃ একদিনের মেলা, পৌষমেলা, কৃষি মেলা, মাছের মেলা, মহিষের মাংশের মেলা এবং বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
৮৮.৫০ ডিগ্রী পূর্ব থেকে ৮৮.৯৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এবং ২৪.৩২ ডিগ্রী উত্তর থেকে ২৫.০৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে বগুড়া সদর উপজেলা অবস্থিত।
বগুড়ার উত্তরে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট, উত্তর পশ্চিমে জয়পুরহাটের অংশবিশেষ,পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে নওগাঁ, দক্ষিণে নাটোর ও সিরাজগঞ্জের অংশবিশেষ এবং দক্ষিণ পূর্বে সিরাজগঞ্জের অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান। বগুড়ার পূর্বে জামালপুর থাকলেও এর স্থলভাগ সংযুক্তভাবে অবস্থিত নয়।
বগুড়া ভৌগোলিকভাবে ভূমিকম্পের বিপজ্জনক বলয়ে অবস্থিত। তাছাড়া বগুড়া জেলা বরেন্দ্রভূমির অংশবিশেষ যা ধূসর ও লাল বর্ণের মাটির পরিচিতির জন্য উল্লেখ্য।
বগুড়া জেলার জনসংখ্যা মোট: ৩৭,৩৪,৩০০ জন
পুরুষ:৪৯.৬০%
মহিলা:৫০.৪০%|উত্তরবঙ্গের ১৬ টি জেলার মধ্য জনসংখ্যায় বৃহত্তম জেলা হচ্ছে বগুড়া। এবং সারা বাংলাদেশে ষষ্ঠ বৃহত্তম জেলা।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতকে বগুড়া মৌর্য শাসনাধীনে ছিল। মৌর্য এর পরে এ অঞ্চলে চলে আসে গুপ্তযুগ । এরপর শশাংক, হর্ষবর্ধন, যশোবর্ধন পাল, মদন ও সেনরাজ বংশ ।
সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগড়া ১,২৭৯ থেকে ১,২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছিল বগড়া (English:Bogra)। ইংরেজি উচ্চারন 'বগড়া' হলেও বাংলায় কালের বিবতর্নে নামটি পরিবর্তিত হয়ে 'বগুড়া' শব্দে পরিচিতি পেয়েছে। ২ এপ্রিল ২০১৮ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে বগুড়ার ইংরেজি নাম Bogura করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বগুড়া জেলার সংসদীয় আসন :৭টি