The Ballpen
শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহ কী কী? - theballpen

শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহ কী কী?

30th Dec 2022 | মৌলভীবাজার জেলা |

বাংলাদেশের স্বাধীনতার অনেক আগেই এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীমঙ্গলে প্রতিষ্ঠিত হয় ডোবারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দশরথ বহুপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়। তারপর ১৯২৪ সালে  ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু কয়েক দশক যাবৎ শ্রীমঙ্গলের শিক্ষার হার বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক কম ছিলো। এর প্রধান কারণ  শ্রীমঙ্গলের ভু-খন্ডের অর্ধেকই চা বাগান অধ্যুষিত অন্যদিকে হাওর পাড়ে বিশাল এক জনগোষ্ঠী বরাবরই ছিল অবহেলিত। তাদের প্রধান অন্তরায় ছিল বিদ্যালয় সংকট, অনুন্নত রাস্তাঘাট। বংশ পরম্পরায় তারা ছিল শিক্ষাবঞ্চিত। এগুলোই মূলত চা বাগান ও চা বাগান বহির্ভূত অঞ্চলের শিক্ষার হাড়ের তারতম্যের কারণ। ২০০১ সালে চা বাগান ও হাওর অঞ্চলের নগনসহ শ্রীমঙ্গলের শিক্ষার হার ছিলো ৩৯.৬%; পুরুষ ৪৪.৩%, মহিলা ৩৪.৬%।শ্রীমঙ্গলে কলেজ সংখ্যা ৪ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০ টি, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১ টি ও মাদ্রাসা ৭ টি ছিলো।

২০১০ সালেও শ্রীমঙ্গলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৬৬টি। আর ২০১৩- সালে এর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৩৮টি। ২০১০ সালে শ্রীমঙ্গলে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ১৩ জন, যা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পেতো। ঐ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০ হাজারের নিচে আর ২০১৩ সাল নাগাদ বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫ হাজারের উপরে।  আর ২০১০ সালের দিকে সরকারি শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩শ থেকে দিগুণেরও বেশি বেড়ে ২০১৬ সালে সরকারি শিক্ষকের সংখ্যা ৭০৪ জন। এরপর ২০১৬  সালে শ্রীমঙ্গলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯৯.২৯%। বর্তমানে (২০১৮ খ্রি.) শ্রীমঙ্গলে স্কুলগামী ছাত্রের সংখ্যা প্রায় শতভাগ। বর্তমানে পাশের হার ও এ প্লাস পাওয়ার দিক থেকে শ্রীমঙ্গলের স্কুল কলেজগুলো  সিলেট শিক্ষা বোর্ডের শির্ষস্থানিয় অবস্থানে রয়েছে। শ্রীমঙ্গলের উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, দি বাডস্ রেসিডেনসিয়্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, দ্বারিকাপাল মহিলা ডিগ্রি কলেজ, ভিক্টোরিয়া উচ্চও এ প্লাস পাওয়ার দিক থেকে শ্রীমঙ্গলের স্কুল কলেজগুলো  সিলেট শিক্ষা বোর্ডের শির্ষস্থানিয় অবস্থানে রয়েছে। শ্রীমঙ্গলের উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, দি বাডস্ রেসিডেনসিয়্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, দ্বারিকাপাল মহিলা ডিগ্রি কলেজ, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৪), চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯২৪), চন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৩৪), শ্রীমঙ্গল আনওয়ারুল উলুম ফাদ্বিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬২), দশরথ বহুপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৬),আছিদ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয় ভুজপুর (১৯৩৬) * সামাদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সাতগাঁও(১৯৬৩)। ডোবারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৮৮২), শ্রীমঙ্গল কাদিরিয়া লতিফিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা, উত্তরসুর কুলচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মাজার :

সাংস্কৃতিক সংগঠন  :





Related

জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন কয়টি ও কী কী?

জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,

ইউনিয়নসমূহ:

  • ১নং নিজপাট
  • ২নং জৈন্তাপুর
  • ৩নং চারিকাটা
  • ৪নং দরবস্ত
  • ৫নং ফতেপুর
  • ৬নং চিকনাগুল


Related

জৈন্তাপুর উপজেলায় নদ-নদী সমূহ কী কী?

পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।



Related

শ্রীমঙ্গল কিসের জন্য বিখ্যাত

চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।



Related

কুলাউড়া কিসের জন্য বিখ্যাত

 কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।



Related

কুলাউড়া উপজেলায় হানাদার বাহিনী কত তারিখে প্রবেশ করে?

কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী