The Ballpen
সরাইলের মোরগ কিসের জন্য বিখ্যাত? - theballpen

সরাইলের মোরগ কিসের জন্য বিখ্যাত?

26th Nov 2022 | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |

সরাইলের হাঁসলী মোরগ এর উচ্চতা, ক্ষিপ্রতা, দৈহিক শক্তি ও কস্ট সহিষ্ণুতার জন্য বিখ্যাত । মোঘল আমল থেকে এ অঞ্চলে মোরগ লড়াই চালু হয় বলে জানা যায় । বিশেষ করে সরাইলের দেওয়ানদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মোরগ লড়াই এ অঞ্চলে বিশেষ তাৎপর্য লাভ করে । দুটি মোরগের মধ্যে অনুষ্ঠিত লড়াইয়ে মোরগের নখগুলোকে চোখা তীক্ষ্ণ করা হয় । যতক্ষণ না একটি মোরগ পরাজিত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চলতে থাকে । সরাইলের দেওয়ান মনোয়ার আলী সুদূর ইরান থেকে মতান্তরে রায়বেরেলি থেকে একপ্রকার যুদ্ধবাজ মোরগ দেশে আনয়ন করেন । এ ধরনের মোরগকে হাঁসলি মোরগ বা আসলি মোরগ নামে সবাই চেনে। অত্যন্ত দুধর্ষ ও কষ্ট সহিষ্ণু হিসেবে এদের সুনাম আছে । এ মোরগ গুলো যুদ্ধের সময় যে কায়দায় পরষ্পরকে মার দেয় এগুলোর আলাদা নাম আছে । যেমন - নিম, কারি, বাড়ি, ফাঁক, ছুট ও কর্ণার। হাঁসলি মোরগ বিশেষ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত । হাঁসলী মোরগের যে গুলোর গলায় পালক থাকে না সে গুলো অত্যন্ত জেদী যোদ্ধা হয়ে থাকে । এগুলো পরাজয় বরণে পিছু হটেনা । শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে থাকে । যোদ্ধা একজোড়া ভাল মোরগের দাম ২৫,০০০/- টাকা থেকে ৩০,০০০/-টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে ।





Related

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত সংলগ্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৮৬০ ইং সালে মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে ত্রিপুরা জেলার অর্ন্তভূক্ত ছিল। ভারত বিভাগের পর কুমিল্লা জেলার একটি মহকুমা হিসেবে থাকে। ১৯৮৪ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।



Related

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলা কয়টি ও কী কী?

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলা ০৯ টি 

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা
  • কসবা উপজেলা
  •  নাসিরনগর উপজেলা
  •  সরাইল উপজেলা
  • আশুগঞ্জ উপজেলা 
  • আখাউড়া উপজেলা
  • নবীনগর উপজেলা
  • বাঞ্ছারামপুর উপজেলা
  • বিজয়নগর উপজেলা


Related

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার পটভূমি কী?

১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ব্রিটিশ সৈন্যরা ফেনী কলেজে অবস্থান নেয়। তখন কয়েক বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে ফেনী কলেজকে ফেনী থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থানান্তর করা হয়। যুদ্ধ শেষে উক্ত কলেজটি আবার ফেনীতে ফিরে যায়। পরবর্তীতে সেখানে ওই অবকাঠামোর ওপরই ১৯৪৮ সালে এলাকার গুণীব্যক্তিদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ বেসরকারিভাবে স্থাপিত হয় এবং ১৯৭৯ সালে কলেজটি জাতীয়করণ হয় । প্রাথমিক পর্যায়ে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পাস কোর্স চালু হয় । ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষ হতে গণিত ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স কোর্স শুরু হয় । ধীরে ধীরে কলেজটিতে আরো ১২ টির অধিক বিষয়ে অনার্স , মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয় ।



Related

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নদ-নদী কী কী?

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নদ-নদী গুলো :

  • তিতাস,
  • মেঘনা,
  • আউলিয়াজুরী,
  • কালাছড়ি,
  • খাস্তি,
  • ছিনাইহানি,
  • ডোলভাঙ্গা
  • , পাগলা,
  • পুটিয়া
  • , বলভদ্র
  • , বলাক
  • , বালিয়াজুড়ি,
  • বালুয়া, বিজনা,
  • বুড়ি,
  • বেমালিয়া,
  • মধ্যগঙ্গা,
  • রোপা,
  • লংঘুন,
  • লাহুর,
  • সোনাই,
  • হাওড়া,
  • হুরুল প্রভৃতি ।


Related

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঐতিহ্য কী?

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঐতিহ্য :সরাইলের হাসলি মোরগ লড়াই, নৌকা বাইচ, ভাদুঘরের বান্নী(মেলা)

খড়মপুর কেল্লাশাহ (র) মাজার শরীফ এর বার্ষিক ওরশ, নবীনগরের বৈশাখী মেলা ইত্যাদি।