সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা কিন্তু এ উপজেলার অধিংশ মানুষই কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ব্যবসায় বাণিজ্য যে গুলো আছে, তার মান খুব একটা উন্নত নয়। তবে ইদানিং এই উপজেলায় বিভিন্ন স্টক ব্যবসায় বাণিজ্যের যতেষ্ট প্রসার ঘটেছে। বিশেষ করে এই উপজেলায় ধান, পাট, ও কুলের ব্যবসায় সম্প্রসারণ লাভ করেছে। ইহা ছাড়াও কৃষির সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের ছোট খাট ব্যবসায় করে এই উপজেলার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার লোকজন এসে বিভিন্ন ধরেনের ব্যবসায় করে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে কলারোয়া উপজেলার মানুষ কৃষি ও ব্যবসায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মোটামুটি অগ্রগতি লাভ করেছে।
সাহসীর সরল প্রান লাক্ষ মানুষেরা,
বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত্রে সবুজ বনানী
সীমান্তে বারিধি কূলে শোভে কলারোয়া,
যতই ভুলি যায় নাতো ভোলা প্রিয় কলারোয়া।
১৮৬১ সালে যশোর জেলার অধীনে ৭টি থানা নিয়ে সাতক্ষীরা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৮৬৩ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার অধীনে এই মহকুমার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৮৮২ সালে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হলে সাতক্ষীরা খুলনা জেলার অর্ন্তভূক্ত একটি মহকুমা হিসাবে স্থান লাভ করে।
সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি ও সন্দেশের জন্য বিখ্যাত। সাতক্ষীর জেলাটি থেকে দেশের রপ্তানীকৃত চিংড়ির প্রায় ৭০ভাগ হয়ে থাকে।
প্রতিটি সেক্টরে একজন করে অধিনায়ক নিযুক্ত করে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল । সাতক্ষীরা অঞ্চল ছিল অষ্টম ওনবম সেক্টরের অধীন ।
এক অনির্বচনীয় নান্দনিক অনুভবের প্রাচীন জনপদ সাতক্ষীরা একদা রাজা প্রতাপাদিত্যের যশোহর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। বারোভূঁইয়াদের অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজধানী এ জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর এলাকায়। বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান। এ জনবসতি প্রাচীনকালে খ্যাত ছিল বুড়ন দ্বীপ নামে।
সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা। এটি খুলনা বিভাগ এর অন্তর্গত। সাতক্ষীরা বাংলাদেশের নৈঋত কোণে অবস্থিত, দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা; যার পূর্বে খুলনা, উত্তরে যশোর, পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশপরগনা এবং দক্ষিণে মায়াময় সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর। এই জেলাটি আশাশুনি, কলারোয়া, কালিগঞ্জ, তালা, দেবহাটা, শ্যামনগর এবং সাতক্ষীরা সদর - এই সাতটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত।