কালীগঞ্জ এর কোন সঠিক ইতিহাস আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে এই এলাকার ইতিহাস সম্পর্কে সতীশ চন্দ্র মিত্রর একটি বইয়ের উপর নির্ভর করতে হয় যা যশোহর খুলনার ইতিহাসের উপর রচিত। এই গ্রন্থে নামকরণ বিষয়ে কালিগঞ্জকে একটি আধুনিক নাম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।রাজা প্রতানের পতনের পর বাজিতপর পরগনা নদীয়ার রাজার হস্তগত হয় বলে উল্লেখ করা আছে। তারপর চাঁপড়ার রাজা কৃষ্ণরাম এই পরগনা খরিদ করেন(১৭০৫-১৭২৯)। পরবতীর্তে তা কালক্রমে কলিকাতার দর্পনারায়ন ঠাকুরের হস্তে যায়। তদ্ববংশীয় কানাইলাল ঠাকুর নারায়ন পুরে কালি প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত কালী থেকে কালক্রমে কালিগঞ্জ হয় বলে গ্রন্থে উল্লেখিত আছে। এই ইতিহাস ব্যতীত বাইরে আর কোন উৎস পাওয়া যায়নি। কালিগঞ্জের মোট জনসংখ্যা ৩,২৫,৬৩৫ জন।
১৮৬১ সালে যশোর জেলার অধীনে ৭টি থানা নিয়ে সাতক্ষীরা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৮৬৩ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার অধীনে এই মহকুমার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৮৮২ সালে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হলে সাতক্ষীরা খুলনা জেলার অর্ন্তভূক্ত একটি মহকুমা হিসাবে স্থান লাভ করে।
সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি ও সন্দেশের জন্য বিখ্যাত। সাতক্ষীর জেলাটি থেকে দেশের রপ্তানীকৃত চিংড়ির প্রায় ৭০ভাগ হয়ে থাকে।
প্রতিটি সেক্টরে একজন করে অধিনায়ক নিযুক্ত করে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল । সাতক্ষীরা অঞ্চল ছিল অষ্টম ওনবম সেক্টরের অধীন ।
এক অনির্বচনীয় নান্দনিক অনুভবের প্রাচীন জনপদ সাতক্ষীরা একদা রাজা প্রতাপাদিত্যের যশোহর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। বারোভূঁইয়াদের অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজধানী এ জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর এলাকায়। বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান। এ জনবসতি প্রাচীনকালে খ্যাত ছিল বুড়ন দ্বীপ নামে।
সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা। এটি খুলনা বিভাগ এর অন্তর্গত। সাতক্ষীরা বাংলাদেশের নৈঋত কোণে অবস্থিত, দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা; যার পূর্বে খুলনা, উত্তরে যশোর, পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশপরগনা এবং দক্ষিণে মায়াময় সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর। এই জেলাটি আশাশুনি, কলারোয়া, কালিগঞ্জ, তালা, দেবহাটা, শ্যামনগর এবং সাতক্ষীরা সদর - এই সাতটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত।