মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কালীগঞ্জ ৯নং সেক্টরের অধীনে ছিল। বসন্তপুর, খানজিয়া, পিরোজপুর, নাজিমগঞ্জ, দুদলি এবং উকশা এলাকাগুলোতে পাক-হানাদারদের সাথে মুক্তিবাহিনীর একাধিক সংঘর্ষ যংঘটিত হয়। ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বার কালীগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়।
১৮৬১ সালে যশোর জেলার অধীনে ৭টি থানা নিয়ে সাতক্ষীরা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৮৬৩ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার অধীনে এই মহকুমার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৮৮২ সালে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হলে সাতক্ষীরা খুলনা জেলার অর্ন্তভূক্ত একটি মহকুমা হিসাবে স্থান লাভ করে।
সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি ও সন্দেশের জন্য বিখ্যাত। সাতক্ষীর জেলাটি থেকে দেশের রপ্তানীকৃত চিংড়ির প্রায় ৭০ভাগ হয়ে থাকে।
প্রতিটি সেক্টরে একজন করে অধিনায়ক নিযুক্ত করে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল । সাতক্ষীরা অঞ্চল ছিল অষ্টম ওনবম সেক্টরের অধীন ।
এক অনির্বচনীয় নান্দনিক অনুভবের প্রাচীন জনপদ সাতক্ষীরা একদা রাজা প্রতাপাদিত্যের যশোহর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। বারোভূঁইয়াদের অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজধানী এ জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর এলাকায়। বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান। এ জনবসতি প্রাচীনকালে খ্যাত ছিল বুড়ন দ্বীপ নামে।
সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা। এটি খুলনা বিভাগ এর অন্তর্গত। সাতক্ষীরা বাংলাদেশের নৈঋত কোণে অবস্থিত, দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা; যার পূর্বে খুলনা, উত্তরে যশোর, পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশপরগনা এবং দক্ষিণে মায়াময় সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর। এই জেলাটি আশাশুনি, কলারোয়া, কালিগঞ্জ, তালা, দেবহাটা, শ্যামনগর এবং সাতক্ষীরা সদর - এই সাতটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত।