ঝিনাইদহ জেলার একটি অন্যতম উপজেলা কালীগঞ্জ। এর আয়তন ৩০১.১৬ বর্গকিলোমিটার। উপজেলাটি ২৩.৪১ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৮৯.১৩ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবিস্থত। জেলা শহর থেকে দুরত্ব ১৭ কিলোমিটার। ১১ টি ইউনিয়ন, ০১ টি পৌরসভা নিয়ে এ উপজেলা গঠিত। লোকসংখ্যা প্রায় ২,৮২,৩৬৬ জন এর মধ্যে পুরুষ-১,৪১,২৮৭ জন এবং মহিলা-১,৪১,০৭৯ জন। গ্রামের সংখ্যা-১৯৮ টি। উপজেলার প্রতিষ্ঠা ৭ নভেম্বর ১৮৮৩। পূর্বে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলা, উত্তরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, পশ্চিমে কোটচাঁদপুর উপজেলা এবং দক্ষিনে যশোর জেলা। চিত্রা, বেগবতী ও বুড়িভৈরব ০৩ টি নদী বয়ে গেছে এ উপজেলার উপর দিয়ে।
চিত্রা নদীর পাড়ে কালীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন আছে একটি কালী মন্দির যেখানে অনেক দূর-দুরান্ত থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আসত পূজা দিতে এবং ঐ স্থানটিই ছিল একসময় ব্যবসার প্রানকেন্দ্র সেই থেকে এই স্থানের নাম হয়েছে কালীগঞ্জ। বর্তমানে কালীগঞ্জ উপজেলা গোটা দক্ষিন অঞ্চল তথা সারাদেশের মধ্যে একটা সমৃদ্ধশালী উপজেলা। ব্যবসা বা্নিজ্য,যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কৃষির উন্নতির জন্যই উপজেলার মানুষের জীবন মান অনেক উন্নত। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এ উপজেলার মানুষের অবদান ছিল গুরত্বপূর্ণ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে এ উপজেলা।
নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার ঝিনাইদহ জেলায় পাওয়া যায়। তবে আমার মতে ঝিনাইদহের বিখ্যাত খাবার যা আমাদের নিজস্ব আইডেনটিটি দেয় সেই খাবার গুলো হলো ঝিনাইদহের নলিন গুড়ের পায়েস, জীড়ান খেজুর রসের ক্ষীর,খালিশপুরের চমচম, মাছের মাথা দিয়ে শুক্তো।
ঝিনাইদহ যশোর জেলার একটি মহকুমা ছিল। ঝিনাইদহ জেলাটি ১৮৬২ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি একটি পৃথক জেলা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
ঝিনাইদহ যশোর জেলার একটি মহকুমা ছিল। ঝিনাইদহ জেলাটি ১৮৬২ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি একটি পৃথক জেলা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
এই জেলার নামকরণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। কথিত আছে যে, ক্যালসিয়াম উৎপাদনের জন্য '‘নবগঙ্গা’' নদী এবং '‘দহা’' নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহের জন্য এই এলাকা বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। এই জেলার নাম ঝিনাইদহ “ঝিনুক”এবং “দাহ”শব্দদ্বয় থেকে নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়।