যশোর এবং ঝিনাইদহ সীমান্তে মহিষাহাটি গ্রামের মান্দারতলায় ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং আনুমানিক ১০০ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা মান্দারতলা থেকে পিছু হটে আসে। পরদিন ১৪ এপ্রিল দুলালমুন্দিয়ায় প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তোলে। কিন্তু যশোর ক্যান্টনমেন্ট পাকিস্তানিদের খুব শক্ত ঘাঁটি ছিল। ফলে তারা পিছন থেকে আক্রমণ করে। এইদিনের যুদ্ধে আনুমানিক ১৫০ থেকে ২০০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরিণতির সময়ে ৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ কালীগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়। কালীগঞ্জ উপজিলার ৩১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। এই শহরে একটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিচিহ্ন স্তম্ভ রয়েছে।
নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার ঝিনাইদহ জেলায় পাওয়া যায়। তবে আমার মতে ঝিনাইদহের বিখ্যাত খাবার যা আমাদের নিজস্ব আইডেনটিটি দেয় সেই খাবার গুলো হলো ঝিনাইদহের নলিন গুড়ের পায়েস, জীড়ান খেজুর রসের ক্ষীর,খালিশপুরের চমচম, মাছের মাথা দিয়ে শুক্তো।
ঝিনাইদহ যশোর জেলার একটি মহকুমা ছিল। ঝিনাইদহ জেলাটি ১৮৬২ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি একটি পৃথক জেলা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
ঝিনাইদহ যশোর জেলার একটি মহকুমা ছিল। ঝিনাইদহ জেলাটি ১৮৬২ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি একটি পৃথক জেলা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
এই জেলার নামকরণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। কথিত আছে যে, ক্যালসিয়াম উৎপাদনের জন্য '‘নবগঙ্গা’' নদী এবং '‘দহা’' নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহের জন্য এই এলাকা বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। এই জেলার নাম ঝিনাইদহ “ঝিনুক”এবং “দাহ”শব্দদ্বয় থেকে নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়।