ফেনী নদীর নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয়েছে ফেনী।মধ্যযুগে কবি ও সাহিত্যিকদের কবিতা ও সাহিত্যে একটা বিশেষ নদীর স্রোতধা ও ফেরী পারা পারের ঘাট হিসেবে আমরা ফনী শব্দ পাই। ষোড়শ শতাব্দীতে কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর পরাগলপুরের বর্ণনায় লিখছেনঃ “ফনী নদীতে বেষ্টিত চারিধার,পূর্বে মহাগিরি পার নাই তার।” সতের শতকে মির্জা নাথানের ফার্সী ভাষায় রচিত “বাহরিস্তান-ই-গায়েবীতে” ফনী শব্দ ফেনীতে পরিণত হয়। আঠার শতকের শেষভাগে কবি আলী রেজা প্রকাশ কানু ফকির তার পীরের বসতি হাজীগাওর অবস্থান সম্পর্কে লিখছেনঃ “ ফেনীর দক্ষিণে এক ষর উপাম, হাজীগাও করিছিল সেই দেশের নাম।”কবি মোহাম্মদ মুকিম তার পৈতৃক বসতির বর্ণনাকালে বলেছেনঃ “ ফেনীর পশ্চিমভাগে জুগিদিয়া দেশে.........।“ বলাবাহুল্য, তারাও নদী অর্থে ফেনী ব্যবহার করেছেন। মনে হয় আদি শব্দ ‘ফনী’ মুসলমান কবি ও সাহিত্যিকদের ভাষায় ফেনীতে পরিণত হয়েছে। ১৮৭২-৭৪ সালের মধ্যে মোগল আমলের আমীরগাও থানা নদী ভাঙ্গনের মুখোমুখি হলে তা ফেনী নদীর ঘাটের অদূরে খাইয়অ্যা্রাতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। ঐ থানাটি কোম্পানীর কাগজ পত্রে ফেনী থানা (ফেনী নদীর অদূরে বলে) নামে পরিচিত হয়।অতঃপর ১৮৭৬ সালে নতুন মহকুমার পত্তন হলে খাইয়অ্যা্রা থেকে থানা দপ্তরটি মহকুমা সদরে স্থানান্তরিত হয় ও নতুন মহকুমাটি ফেনী নামে পরিচিত হয়।
ফেনী জেলার উপজেলাঃ ৬ টি
ফেনী জেলার মোট জনসংখাঃ ১৪,৯৬,১৩৮ জন | (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুয়ায়ী)
* পুরষঃ ৭,২২,৬২৬ জন
* নারীঃ ৭,৭৩,৫১২ জন
* জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৪৫১ জন(প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ)
দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ফেনী জেলার উলেখ যোগ্য অবদান রয়েছে। ফেনী জেলার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে উলেখযোগ্য কয়েকজনঃ
ফেনী জেলার ঐতিহাসিক স্থানগুলো :
বিলোনিয়া পুরাতন রেল স্টেশন।
ফেনী জেলার থানাঃ ৬ টি,