১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ জেলায় পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা ব্যাপক অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। মুক্তিযুদ্ধে সাবেক মাদারীপুর মহকুমার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন কর্ণেল শওকত আলী ও স্টুয়ার্ট মজিবুর রহমান। মে মাসে শরিয়তপুর সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসব সংঘর্ষে ৩১৩ জন পাকসেনা নিহত হয়। ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পাকবাহিনীর সাথে ২টি খন্ডযুদ্ধ এবং ১টি সম্মুখ লড়াইয়ে বহুসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ডামুড্যা কলেজের দক্ষিণে পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সম্মুখ লড়াইয়ে আহসানুল হক ও আব্দুল ওয়াহাবসহ ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মুজিববাহিনী এ উপজেলায় গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর অন্য এক লড়াইয়ে গোঁসাইরহাট উপজেলায় ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। নড়িয়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধারা থানা আক্রমণ করে অস্ত্র লুট করে এবং পরে পাকবাহিনী এ এলাকায় ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় জাজিরা উপজেলায় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি খন্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ২ (মহিসার, আটিপাড়া); স্মৃতিসৌধ ৯; স্মৃতিস্তম্ভ ৮।
৭ই মার্চ ১৯৮৩ সালে জেলা গঠনের ঘোষণা হয়। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ শরীয়তপুর জেলার শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্য মন্ত্রী জনাব নাজিম উদ্দিন হাশিম।
১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল মাদারীপুর মহকুমার (বর্তমান শরিয়তপুর ও মাদারীপুর) পতন হলে তিনি মুক্তিসেনাদের নিয়ে ২ সেক্টরে যোগ দেন। এখানে তিনি সাব-সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শরীয়তপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের (প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের) একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
শরীয়তপুর অনেক আগে থেকেই মৃৎশিল্প ও পিতলের জিনিসপত্রের জন্য বিখ্যাত। এখানকার টেরাকোটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পটারি ইউরোপসহ বিশ্বের ২০টি দেশে যায়। শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মনে করেন, পদ্মা সেতু এই দুই শিল্পকে আরও এগিয়ে নেবে।
ময়দার কল : ৪ টি। বরফের কল : ১৩ টি। তেলের কল : ৩ টি। পূর্বে এই জেলা কাশা ও পিতলের তৈজষপত্র তৈরীর জন্য বিখ্যাত ছিল।