শৈলকুপা উপজেলার মানুষ বিনোদনপ্রিয়। শৈলকুপা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠসহ বিভিন্ন মাঠে নিয়মিত ক্রিকেট, ফুটবল খেলা হয়ে থাকে। এছাড়াও শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন খেলার মাঠে নিয়মিত ফুটবল, ক্রিকেট ও গ্রামীণ খেলাধুলা হয়ে থাকে। শৈলকুপা উপজেলা থেকে ফুটবল, ভলিবল টিম জাতীয় পর্যায়ে খেলার গৌরব অর্জন করে।
ফুটবল: ফুটবলে শৈলকুপার ঐহিত্য রয়েছে। ফুটবলে শৈলকুপা উপজেলার শক্তিশালী টিম রয়েছে। এছাড়া বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে শৈলকুপার দোহারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরপর কয়েকবার জাতীয় পর্যায়ে খেলার গৌরব অর্জন করে। অত্র বিদ্যালয়ের বালিকা ফুটবল টিম ২০১৬ সালে জাতীয় পর্যায়ে রানার্চআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ২০১৭ সালে পুনরায় খুলনা বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, টিমটি এবারও জাতীয় পর্যায়ে খেলতে ঢাকা যাবে।
ভলিবল: শৈলকুপায় ভলিবল খেলারও একটি ঐহিত্য রয়েছে। এখানে ভলিবল খেলার ভাল খেলোয়ার রয়েছে। শৈলকুপা উপজেলার গোবিন্দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে স্কুল ভলিবল প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
মহিলা কাবাডি: শৈলকুপার শেখপাড়া রাহাতুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মহিলাদের একটি চমৎকার কাবাডি টিম রয়েছে। টিমটি উপজেলা পর্যায়ে প্রতিবছর চ্যাম্পিয়ন হয়।
ক্রিকেট: শৈলকুপায় প্রতিবছর বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করা হয়। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত টুর্নামেন্ট ছাড়াও উপজেলা বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এসব খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সাতার: শৈলকুপা উপজেলার মৌবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাতারের কিছু ভাল খেলোয়াড় রয়েছে। এ স্কুলে সাতারের ঐহিত্য বিদ্যমান।
নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার ঝিনাইদহ জেলায় পাওয়া যায়। তবে আমার মতে ঝিনাইদহের বিখ্যাত খাবার যা আমাদের নিজস্ব আইডেনটিটি দেয় সেই খাবার গুলো হলো ঝিনাইদহের নলিন গুড়ের পায়েস, জীড়ান খেজুর রসের ক্ষীর,খালিশপুরের চমচম, মাছের মাথা দিয়ে শুক্তো।
ঝিনাইদহ যশোর জেলার একটি মহকুমা ছিল। ঝিনাইদহ জেলাটি ১৮৬২ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি একটি পৃথক জেলা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
ঝিনাইদহ যশোর জেলার একটি মহকুমা ছিল। ঝিনাইদহ জেলাটি ১৮৬২ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি একটি পৃথক জেলা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
এই জেলার নামকরণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। কথিত আছে যে, ক্যালসিয়াম উৎপাদনের জন্য '‘নবগঙ্গা’' নদী এবং '‘দহা’' নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহের জন্য এই এলাকা বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। এই জেলার নাম ঝিনাইদহ “ঝিনুক”এবং “দাহ”শব্দদ্বয় থেকে নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়।