Theballpen.com

An online resource for the competitive exams

×Close

Change category



📂 Paragraph for HSC 📂 Composition for HSC 📂 ভাব সম্প্রসারণ 📂 সারাংশ 📂 সারমর্ম 📂 বাংলা অনুচ্ছেদ 📂 বাংলা প্রবন্ধ রচনা

বাংলা ভাষা জিজ্ঞাসা


📂 ভাষা 📂 এক কথায় প্রকাশ 📂 ণত্ব ও ষত্ব বিধান 📂 ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ 📂 ধ্বনির পরিবর্তন 📂 বাংলা ব্যাকরণ ও আলোচ্য বিষয়

☰ All

Change category

Home 📂 বাংলা ব্যাকরণ 📂 বাংলা সাহিত্য 📂 English Grammar 📂 BCS model test 📂 Bank math 📂 Paragraph for HSC 📂 Composition for HSC 📂 ভাব সম্প্রসারণ 📂 সারাংশ 📂 সারমর্ম 📂 বাংলা রচনা 📂 বাংলা অনুচ্ছেদ

বাংলা ভাষা জিজ্ঞাসা

📂 ভাষা 📂 এক কথায় প্রকাশ 📂 ণত্ব ও ষত্ব বিধান 📂 ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ 📂 ধ্বনির পরিবর্তন 📂 বাংলা ব্যাকরণ ও আলোচ্য বিষয়





Close

পড়ুন

📂সকল বিষয়



ব্যাকরণ অংশ


ধ্বনিতত্ত্ব ধ্বনির পরিবর্তন বর্ণ ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব সন্ধি

বাংলা গ্রন্থ সমালোচনা



নাটক


কৃষ্ণকুমারী নাটক চিত্রাঙ্গদা নাটক জমীদার দর্পণ নাটক ডাকঘর নাটক বিসর্জন নাটক বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ প্রহসন রক্তকরবী নাটক সিরাজ-উ-দ্দৌলা সুবচন নির্বাসনে উজানে মৃত্যু কিত্তনখােলা টিনের তলােয়ার নূরলদীনের সারা জীবন নেমেসিস নবান্ন রক্তাক্ত প্রান্তর নীল দর্পণ সাজাহান একেই কি বলে সভ্যতা পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় কবর এর উপায় কি প্রহসন বহিপীর সধবার একাদশী

কাব্যগ্রন্থ/কাব্য


বঙ্গভাষা কবিতা বঙ্গভূমির প্রতি কবিতা মানসী কাব্যগ্রন্থ মেঘনাদবধ কাব্য সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ- দোলন চাঁপা কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি কাব্য তিলােত্তমাসম্ভব-কাব্য বিষের বাঁশী কাব্যগ্রন্থ অনল প্রবাহ ছাড়পত্র একুশে ফেব্রুয়ারি নকশী কাঁথার মাঠ মহাশ্মশান সাঁঝের মায়া সাত সাগরের মাঝি কপােতাক্ষ নদ বনলতা সেন বন্দী শিবির থেকে রাত্রিশেষ সােনালী কাবিন বঙ্গসুন্দরী রূপসী বাংলা

উপন্যাস


বিষাদ সিন্ধু বাধন হারা উপন্যাস মৃত্যু ক্ষুধা উপন্যাস আদিগন্ত আনােয়ারা আবদুল্লাহ নূরজাহান আরেক-ফাল্গুন আলালের ঘরের দুলাল উত্তম পুরুষ একটি ফুলের জন্য ওঙ্কার কপালকুণ্ডলা কবি কর্ণফুলী কাঁদো নদী কাঁদো কাশবনের কন্যা কৃষ্ণকান্তের উইল ক্রীতদাসের হাসি খাঁচায় খােয়াবনামা গৃহদাহ ঘর মন জানালা চাঁদের অমাবস্যা চিলেকোঠার সেপাই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জগদ্দল জননী জীবন আমার বােন জোছনা ও জননীর গল্প তিতাস একটি নদীর নাম দুর্গেশনন্দিনী দেবদাস নির্বাসন পথের পাঁচালী পদ্মরাগ পদ্মানদীর মাঝি পাপের সন্তান পােকামাকড়ের ঘরবসতি পিঙ্গল আকাশ পুতুলনাচের ইতিকথা পুবের সূর্য প্রদোষে প্রাকৃতজন বটতলার উপন্যাস যাত্রা রাইফেল রােটি আওরাত লালসালু শ্রীকান্ত সংশপ্তক সারেং বৌ সােনালী মুখােশ সূর্য দীঘল বাড়ী হাঁসুলীবাকের উপকথা হাঙ্গর নদী গ্রেনেড হাজার বছর ধরে হুতােম প্যাচার নকশা

গল্পগ্রন্থ/প্রবন্ধ


অবরােধবাসিনী আত্মজা ও একটি করবী গাছ কমলাকান্তের দপ্তর দেশে বিদেশে শকুন্তলা আয়না অপূর্ব ক্ষমা গাে-জীবন প্রবন্ধ

প্রাচীন ও মধ্যযুগ


মঙ্গলকাব্য শূন্যপুরাণ চর্যাপদ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পদ্মাবতী লাইলী মজনু ইউসুফ জোলেখা মৈমনসিংহ গীতিকা

গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক


মাইকেল মধুসূদন দত্ত মীর মশাররফ হােসেন

ভাব-সম্প্রসারণ



অর্থই অনর্থের মূল অর্থসম্পত্তির বিনাশ আছে ... এ জগতে হায় সে ই বেশি চায়... কত বড়ো আমি কহে নকল হীরাটি দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা... দুর্নীতি জাতীয় জীবনে... পরের অনিষ্ট চিন্তা করে... পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়... প্রয়োজনই উদ্ভাবনের জনক... প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত... প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয় কিন্তু... ভোগে নয় ত্যাগেই সুখ... মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের... যে একা সেই সামান্য... স্বদেশের উপকারে নাই যার মন... আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে.. ইচ্ছা-থাকলে-উপায়-হয়... কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে... চরিত্র মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ... জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য... নানান দেশের নানান ভাষা... পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে লাইব্রেরি জাতির সভ্যতা ও ... লোভে পাপ পাপে মৃত্যু... সবার উপরে মানুষ সত্য... রাত যত গভীর হয় প্রভাত... আলো বলে অন্ধকার তুই বড় কালো... অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে... আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য... উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে... কীর্তিমানের মৃত্যু নেই... গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন... জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন... দুঃখের মতো এত বড় পরশপাথর... দ্বার রুদ্ধ করে দিয়ে ভ্রমটাকে... পথ পথিকের সৃষ্টি করে না... বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি... বিশ্রাম কাজের অঙ্গ এক সাথে গাঁথা... মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন... যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই.. শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড শৈবাল দিঘীরে বলে উচ্চ করি শির... সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা... সঙ্গদোষে লোহা ভাসে... সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত... সেই ধন্য নরকুলে লোকে যারে নাহি ভুলে... স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র... স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে...

সারমর্ম



আমরা চলিব পশ্চাতে ফেলি... আমার একার সুখ... আসিতেছে শুভদিন... ই যে বিটপি শ্রেণি... এসেছে নতুন শিশু... কহিল মনের খেদে... কোথায় স্বর্গ কোথায়... ক্ষমা যেথা ক্ষীণ... ছোট বালুকার কণা বিন্দু... জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে... তরুতলে বসে পান্থ... ধন্য আশা কুহকিনী... নদী কভু পান... নম নম নম সুন্দরী... নিন্দুকেরে বাসি আমি... পরের কারণে স্বার্থ... পরের মুখে শেখা বুলি... পুণ্যে পাপে দুঃখে সুখে... বিপদে মোরে রক্ষা করো... ভদ্র মোরা শান্ত বড়ো... মরিতে চাহি না আমি... শৈশবে সদুপদেশ... সাম্যের গান গাই... সার্থক জনম আমার... স্বাধীনতা স্পর্শমণি... হউক সে মহাজ্ঞানী... হায় হায় জন্মিয়া... হে দারিদ্র্য তুমি মোরে... হে সূর্য শীতের সূর্য...

সারাংশ



অতীতকে ভুলে যাও... অপরের জন্য তুমি প্রাণ... অভাব আছে বলিয়াই... আজকের দুনিয়াটা আশ্চর্যভাবে... একজন মানুষ ভালো কি... শ্রম আমাদের দেশে... কিসে হয় মর্যাদা... কোনো সভ্য জাতিকে... ক্রোধ মানুষের পরম... খুব ছোট ছিদ্রের মধ্য... ছাত্রজীবন আমাদের... জাতিকে শক্তিশালী-শ্রেষ্ঠ... জাতি শুধু বাইরের... জীবনের একটি প্রধান লক্ষ্য... তুমি জীবনকে সার্থক... নিন্দা না থাকিলে... নিষ্ঠুর ও কঠিন মুখ... পৃথিবীতে যেখানে... প্রকৃত জ্ঞানের স্পৃহা... বিদ্যা মানুষের... ভবিষ্যতের ভাবনা... মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ... মানুষের জীবনকে... মানুষের মূল্য... মানুষের সুন্দর... মুখে অনেকেই... রূপার চামচ মুখে... শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে... সত্য ওজন দরে... সময় ও স্রোত... সমস্ত পৃথিবীর... সমাজের কাজ... সুশিক্ষিত লোকমাত্রই... সূর্যের আলোতে...

বাংলা প্রবন্ধ রচনা



অধ্যবসায় আমাদের গ্রাম আমাদের দেশ আমাদের বিদ্যালয় জীবনের লক্ষ্য আমার প্রিয় শিক্ষক ইন্টারনেট ও বাংলাদেশ একুশে ফেব্রুয়ারি কর্মমুখী শিক্ষা কুটিরশিল্প খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা গ্রন্থাগার চরিত্র ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু... দেশ ভ্রমণ পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য বই পড়ার আনন্দ বাংলাদেশের উৎসব বাংলাদেশের কৃষক বাংলাদেশের নদ নদী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ষড়ঋতু বাংলা নববর্ষ বিজয় দিবস শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস শহিদ মিনার শিষ্টাচার শৃঙ্খলা/নিয়মানুবর্তিতা শ্রমের মর্যাদা সংবাদপত্র সততা স্বদেশপ্রেম স্বাধীনতা দিবস আমার দেখা একটি মেলা আমার প্রিয় খেলা আমার শৈশব স্মৃতি ইভ টিজিং একটি ঐতিহাসিক স্থান শীতের সকাল কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিস্ময় কৃষিকাজে বিজ্ঞান ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ গ্রাম্য মেলা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান জাতি গঠনে নারীসমাজের ভূমিকা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার বর্ষণমুখর একটি সন্ধ্যা বর্ষাকাল বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা ও... বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ... বাংলাদেশের বেকার সমস্যা ও.. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও... বিদ্যুৎ ও আধুনিক জীবন বিশ্ব যোগাযোগে ইন্টারনেটের ভূমিকা বৃক্ষরোপণ অভিযান ভূমিকম্প ঝুঁকিতে বাংলাদেশ মাদকাসক্তি ও তার প্রতিকার সমাজকল্যাণে ছাত্রসমাজের ভূমিকা

বাংলা অনুচ্ছেদ



বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একুশে বইমেলা প্রিয় শিক্ষক পিতা-মাতা শিক্ষাসফর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অতিথি পাখি বর্ষণমুখর দিন নারী শিক্ষা সড়ক দুর্ঘটনা বই পড়া সত্যবাদিতা বিদ্যালয়ের শেষ দিন পহেলা ফাল্গুন ডিজিটাল বাংলাদেশ সততা দুর্নীতি আমাদের লোকশিল্প যানজট কম্পিউটার শীতের সকাল বিশ্বায়ন মহান বিজয় দিবস পরিবেশ দূষণ জাতীয় পতাকা ইন্টারনেট স্বেচ্ছায় রক্তদান

English Grammar


Sentence Parts of speech Number Gender Noun GO TOP




















Close

পরীক্ষা দিন

All in one menu ( 100 sets )

📂 বাংলা



বাংলা ভাষা ও লিপি-01 বাংলা ভাষা ও লিপি-02 বাংলা ভাষা ও লিপি-03 সাধু ও চলিত রীতি -01 সাধু ও চলিত রীতি -02 বাংলা ব্যাকরণের বিকাশ-01 বাংলা ব্যাকরণের বিকাশ-02 ধ্বনি-01 ধ্বনি-02 বর্ণ-01 বর্ণ-02 ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান সন্ধি-01 সন্ধি-02 সন্ধি-03 সন্ধি-04 সন্ধি-05 বচন সমাস-01 সমাস-02 সমাস-03 সমাস-04 সমাস-05 উপসর্গ ও অনুসর্গ-০১ উপসর্গ ও অনুসর্গ-০২ ধাতু প্রত্যয়-০১ প্রত্যয়-০২ শব্দ-০১ শব্দ -০২ শব্দ -০৩ পদ প্রকরণ-০১ পদ প্রকরণ-০২ কাল,পুরুষ,বাংলা অনুজ্ঞা কারক ও বিভক্তি-01 কারক ও বিভক্তি-02 বাক্য প্রকরণ বিরাম চিহ্ন বিরাম চিহ্ন-02 ছন্দ ও অলংকার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০১ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০২ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৩ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৪ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৫ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৬ সমার্থক শব্দ-০১ সমার্থক শব্দ-০২ সমার্থক শব্দ-০৩ সমার্থক শব্দ-০৪ সমার্থক শব্দ-০৫ বিপরীতার্থক শব্দ-01 বিপরীতার্থক শব্দ-02 বিপরীতার্থক শব্দ-03 বিপরীতার্থক শব্দ-04 পরিভাষা-01 পরিভাষা-02 পরিভাষা-03 বাগধারা-০১ বাগধারা-০২ বাগধারা-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০১ এক কথায় প্রকাশ-০২ এক কথায় প্রকাশ-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০৪ এক কথায় প্রকাশ-০৫ প্রবাদ-প্রবচন অনুবাদ ছন্দ ও অলংকার একই শব্দের বিভিন্নার্থে প্রয়োগ বিবিধ-০১ বিবিধ-০২

📂 English MCQ test



✓ Test on noun-01 ✓ Test on noun-02 ✓ Test on noun-03 ✓ Test on noun-04 ✓ Test on noun-05
✓ Test on pronoun-01 ✓ Test on pronoun-02
✓ Test on gender-01 ✓ Test on gender-02
✓ Test on number-01 ✓ Test on number-02

📂 BCS model test



✓ BCS english model test-01 ✓ BCS english model test-02 ✓ BCS english model test-03 ✓ BCS english model test-04 ✓ BCS english model test-05 ✓ BCS english model test-06 ✓ BCS english model test-07 ✓ BCS english model test-08 ✓ BCS english model test-09 ✓ BCS english model test-10 ✓ BCS english model test-11 ✓ BCS english model test-12 ✓ BCS english model test-13 ✓ BCS english model test-14 ✓ BCS english model test-15 ✓ BCS english model test-16 ✓ BCS english model test-17

📂 Math MCQ test



Number system-01 Number system-02 Number system-03 Number system-04 Number system-05 Number system-06 Number system-07 Number system-08 Number system-09 Number system-10
Divisibility-01 Divisibility-02 Divisibility-03 Divisibility-04 Divisibility-05
Fraction-01 Fraction-02 Fraction-03 Fraction-04 Fraction-05
Factors-01 Factors-02





















বাংলা



ব্যাকরণ অংশ


ধ্বনির পরিবর্তন বর্ণ ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব সন্ধি বাক্য এক কথায় প্রকাশ

সাহিত্য অংশ


গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক


মাইকেল মধুসূদন দত্ত মীর মশাররফ হােসেন

গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য কর্ম


অপূর্ব ক্ষমা একেই কি বলে সভ্যতা এর উপায় কি প্রহসন কপােতাক্ষ নদ কৃষ্ণকুমারী নাটক গাে-জীবন প্রবন্ধ গীতাঞ্জলি কাব্য চিত্রাঙ্গদা নাটক জমীদার দর্পণ নাটক ডাকঘর নাটক তিলােত্তমাসম্ভব-কাব্য বঙ্গভাষা কবিতা বঙ্গভূমির প্রতি কবিতা বিষাদ সিন্ধু বিসর্জন নাটক বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ প্রহসন মানসী কাব্যগ্রন্থ মেঘনাদবধ কাব্য রক্তকরবী নাটক সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ- দোলন চাঁপা কাব্যগ্রন্থ বাধন হারা উপন্যাস বিষের বাঁশী কাব্যগ্রন্থ মৃত্যু ক্ষুধা উপন্যাস














Test yourself

Level-one


ভাষা আলোচ্য বিষয় ধ্বনি বর্ণ ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব সন্ধি-01 সন্ধি-02 সন্ধি-03 সন্ধি-04 সন্ধি-05 পুরুষ ও স্ত্রী বাচক শব্দ দ্বিরুক্ত শব্দ সংখাবাচক শব্দ বচন পদাশ্রিত নির্দেশক সমাস সমাস সমাস সমাস সমাস উপসর্গ-০১ উপসর্গ-০২ উপসর্গ ধাতু প্রত্যয় শব্দ শব্দের শ্রেণিবিভাগ পদ প্রকরণ ক্রিয়া পদ ক্রিয়ার প্রয়োগ কাল,পুরুষ বাংলা অনুজ্ঞা ক্রিয়া বিভক্তি কারক ও বিভক্তি-01 কারক ও বিভক্তি-02 অনুসর্গ বাক্য প্রকরণ বাক্যর শ্রেণিবিভাগ বাক্যর পদ-সংস্থাপন ক্রম শব্দের যোগ্যতা বাচ্য ও বাচ্য পরিবর্তন উক্তি পরিবর্তন বিরাম চিহ্ন ছন্দ ও অলংকার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ বানান ও বাক্য শুদ্ধি সমার্থক শব্দ বিপরীতার্থক শব্দ পরিভাষা একই শব্দ বিভিন্ন অর্থে প্রয়োগ বাগধারা-০১ বাগধারা-০২ বাগধারা-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০১ এক কথায় প্রকাশ-০২ এক কথায় প্রকাশ-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০৪ এক কথায় প্রকাশ-০৫ প্রবাদ-প্রবচন অনুবাদ

ণত্ব ও ষত্ব বিধান

ণত্ব ও ষত্ব বিধান

তৎসম শব্দের বানানে ণ এবং ষ -এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মকেই ণত্ব ও ষত্ব বিধান বলা হয়।
বাংলা ভাষায় বাংলা (দেশি), তদ্ভব, ও বিদেশি শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ণ বা মূর্ধন্য-ষ লেখার প্রয়ােজন হয় না । কিন্তু বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বহু বিদেশি বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য-ণ এবং মূর্ধন্য-ষ রয়েছে। সে-সব বাংলায় অবিকৃত অবস্থায় রক্ষিত হয়। অর্থাৎ ণত্ব ও ষত্ববিধি শুধু তৎসম শব্দের ক্ষেত্রেই প্রযােজ্য, অতৎসম শব্দে নয়।


ণত্ব বিধান


বাংলা ভাষায় সাধারণত মূর্ধন্য-ণ ধ্বনির ব্যবহার নেই। এই জন্য, বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে মূর্ধন্য বর্ণ (ণ) লেখার প্রয়ােজন হয় না।
তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মকেই ণত্ব বিধান বলা হয়।



ণ ব্যবহারের নিয়ম


১. ট-বর্গীয় ধ্বনির (ট ঠ ড ঢ) আগে তৎসম শব্দে মূর্ধন্য ‘ণ’ যুক্ত হয়।
যেমন- লণ্ঠন, কাণ্ড, ঘণ্টা ইত্যাদি।
(ক) ণ্+ ট = ণ্ট
কণ্টক, ঘণ্টা , নির্ঘণ্ট, নিষ্কন্টক, বণ্টন, বণ্টিত, ঘণ্ট, ঘণ্টিকা ইত্যাদি।
(খ) ণ্+ঠ= ণ্ঠ
অকুণ্ঠ, অকুণ্ঠিত, অবগুণ্ঠন, অবগুণ্ঠিতা, আকণ্ঠ, উৎকণ্ঠ, উৎকণ্ঠা, উৎকণ্ঠিত, উপকণ্ঠ, কণ্ঠ, কণ্ঠনালি, কণ্ঠস্থ, কণ্ঠহার, কণ্ঠা, কণ্ঠাচ্ছি, কুণ্ঠা, কুণ্ঠিত, গুণ্ঠন, নীলকণ্ঠ, ভূলুণ্ঠিত, ময়ূরকণ্ঠী, লুণ্ঠন, সুকণ্ঠ, সুকণ্ঠী ইত্যাদি।
(গ) ণ্ + ড = ণ্ড
অকালকুণ্ড, কূপমণ্ডুক, দণ্ডায়মান, পাণ্ডুলিপি, বেদণ্ড, মানদণ্ড, অখণ্ড, চণ্ডমূর্তি, দিমণ্ডল, ভণ্ড, ভূখণ্ড, অখণ্ডনীয়, মুখমণ্ডল, খণ্ডন, চণ্ডল, দোর্দণ্ডপ্রতাপ, পিণ্ড, ভণ্ডামি, অগ্নিকাণ্ড, খণ্ডবিখণ্ড, চণ্ডী, ন্যায়দণ্ড, পিণ্ডি, মুণ্ডন, অগ্নিকুণ্ড, খণ্ডানাে, ঠাণ্ডা, পণ্ড, পুণ্ডু, ভূমণ্ডল, মুণ্ডপাত,অণ্ড, খাণ্ডার, ডাণ্ডা, পণ্ডশ্রম, প্রকাণ্ড, মণ্ড, উল্কাপিণ্ড,মেরুদণ্ড, গণ্ড, পণ্ডিত, প্রচণ্ড, মণ্ডন, রাজদণ্ড, গণ্ডগ্রাম, তুলাদণ্ড, পরিমণ্ডল, প্রাণদণ্ড, মণ্ডপ, লঙ্কাকাণ্ড, কাণ্ডজ্ঞান,গণ্ডমূর্খ, পাণ্ডব, বাগ্বিতণ্ডা, মণ্ডল, শুশ্রমণ্ডিত, কুণ্ড, গণ্ডি, দণ্ডনীয়, পাণ্ডিত্য, বায়ুমণ্ডল, মণ্ডলী, কুণ্ডলী, গণ্ডূষ, দণ্ডমুণ্ড, পাণ্ডুর, বিতণ্ডা, মণ্ডিত, হিমমণ্ডল, ষণ্ড ইত্যাদি।
দ্রষ্টব্য : বিদেশি শব্দে ণত্ববিধি প্রযােজ্য নয় বলে ইংরেজি শব্দের nt এবং nd ধ্বনির জন্যে বাংলা বানানে যথাক্রমে ন্ট এবং ন্ড হবে।
যেমন : অ্যাকাউন্ট , এজেন্ট, টেন্ডার, বন্ড ইত্যাদি।

২. ঋ, র, ষ - এর পরে মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। (র-ফলা, রেফ, ক্ষ-এর পর মূর্ধন্য-ণ’ ব্যবহৃত হয়।)
যেমন –
ঋণ, বর্ণ, কারণ, মরণ, তৃণ, ব্যাকরণ, ভীষণ,বর্ণনা,উষ্ণ ভাষণ ইত্যাদি।
ঋ/ঋ-কার দিয়ে:
ঘৃণা, মসৃণ, মৃণাল, ঋণ, তৃণ ইত্যাদি।

র দিয়ে:
নিবারণ, বরুণ, অরণ্য, উদাহরণ, চারণ, ধারণ, প্রেরণা, রণ, অরুণ, করণ, জাগরণ, ধারণা, বরণ, শরণ, অলংকরণ, করুণ, জারণ, সংস্করণ, আচরণ, করণীয়, তরুণী, পূরণ, বারণ, সন্তরণ, আবরণ, কারণ, তােরণ, পুরাণ, বিতরণ, সাধারণ, আহরণ, কিরণ, ত্বরণ, প্রচারণা, ব্যাকরণ, সারণি, উচ্চারণ, ক্ষরণ, দারুণ, প্রতারণা, ভরণ, স্মরণ, উত্তরণ, চরণ, ধরণি / ণী, প্রেরণ, মরণ, হরিণ ইত্যাদি।
দ্রষ্টব্য: ধরণ নয়, ধরন (যেহেতু ধরন শব্দটি তৎসম নয়)। দরুণ নয়, দরুন (যেহেতু দরুন শব্দটি ফারসি)।
রেফ দিয়ে:
আকীর্ণ, উদগীর্ণ, কর্ণ, বিদীর্ণ, বিস্তীর্ণ, শীর্ণ, স্বর্ণ, ঘূর্ণি, চুর্ণ, ঘূর্ণন, দীর্ণ, নির্ণয়, পর্ণ, জীর্ণ, পূর্ণ, পূর্ণিমা, বর্ণ, বর্ণনা, বিকীর্ণ ইত্যাদি।
র-ফলা দিয়ে:
দ্রোণ, প্রণয়, নিমন্ত্রণ, প্রণতি, নিয়ন্ত্রণ, প্রণাম, আমন্ত্রণ, ঘ্রাণ, চিত্রণ, ত্রাণ, পরিত্রাণ, প্রণালি, প্রণীত, প্রণেতা, প্রাণ, প্রাণী, যন্ত্রণা, ত্রৈণ, ভ্রূণ,মুদ্রণ, মিশ্রণ, শ্রেণি/ণী ইত্যাদি।

ষ দিয়ে:
বিষাণ, শােষণ, বিকর্ষণ, ঘর্ষণ, অন্বেষণ, পাষাণ, আকর্ষণ, ষণ্ড, ঘােষণা, পেষণ, বিভীষণ, বিষ্ণু, ভাষণ, কর্ষণ, তােষণ, পােষণ, বিশেষণ, কৃষাণ, প্রেষণ, ভীষণ, দূষণ, বিশ্লেষণ, গবেষণা, নিষ্পেষণ, বর্ষণ, বিষণ্ণ, ভূষণ ইত্যাদি।
ক্ষ = ক + ষ দিয়ে:
ক্ষণ, নিরীক্ষণ, প্রশিক্ষণ, লক্ষণ, ক্ষুণ, ভক্ষণ, শিক্ষণ, দক্ষিণ, পরীক্ষণ, প্রেক্ষণ, মােক্ষণ, ক্ষণিক, দক্ষিণা, পর্যবেক্ষণ, বিচক্ষণ, রক্ষণ, সমীক্ষণ, ক্ষীণ, দূরবীক্ষণ, প্রদক্ষিণ, বীক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ইত্যাদি।

দ্রষ্টব্য : ক্ষ যুক্তবর্ণটির গঠন : ক-য়ে মূর্ধন্য ষ। অর্থাৎ এর অভ্যন্তরে ষ রয়ে গেছে বলেই এই অক্ষরের পরে মূর্ধন্য ণ ব্যবহৃত হচ্ছে। মূর্ধন্য ষ-এর পরে যুক্ত হয়ে মূর্ধন্য-ণ যুক্তব্যঞ্জন গঠন করলে তা ষ্ণ (মূর্ধন্য ষ-য়ে মূর্ধন্য ণ)-এর রূপ নেয়।
যেমন :
কৃষ্ণা, বর্ধিষ্ণু, বিষ্ণু, ক্ষয়িষ্ণু, তৃষ্ণা, সহিষ্ণু, বৈষ্ণব ইত্যাদি।

৩. ঋ, র, ষ-এর পরে স্বরধ্বনি, য য় ব হ ং এবং ক-বর্গীয় (ক খ গ ঘ ঙ) ও প-বর্গীয় ধ্বনি (প ফ ব ভ ম) থাকলে তার পরবর্তী ন মূর্ধন্য ‘ণ হয়।
যেমন –
কৃপণ (ঋ-কারের পরে প, তার পরে ণ), হরিণ (র-এর পরে ই, তার পরে ণ, অর্পণ (র + প + অ+ণ), লক্ষণ (ক্ + ষ্ + অ + ণ্)।
এরূপ –
রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ, অর্পণ, উপক্রমণিকা, তর্পণ, পরিহরণ, রক্ষিণী, অকর্মণ্য, কৃপণ, দর্পণ, শ্রাবণ, রঙ্গিণী, আক্রমণ, ক্ষেপণাস্ত্র, সন্তর্পণ, দ্রবণ, প্রাণ, রমণী, অগ্রহায়ণ, গৃহিণী, দ্রাবণ, বর্ষণ, সমর্পণ, আরােহণ, রুগ্ণ, গ্রহণ, নিরূপণ, সর্বাঙ্গীণ, ব্রাহ্মণ, রােপণ, অপরাহ্ণ, গ্রামীণ, নিষ্ক্রমণ, ভ্রমণ, উৎক্ষেপণ,চর্বণ, পার্বণ, ভ্রাম্যমাণ, শ্রবণ, লক্ষণ ইত্যাদি।

তবে ওপরের নিয়মের কিছু ব্যতিক্রমও আছে।
যেমন : আয়ুষ্মান্, গরীয়ান্, চক্ষুষ্মান্, নির্গমন, পূষন্ , বহির্গমন, বর্ষীয়ান, রঙ্গন, শ্রীমান্ ইত্যাদি।

৪. কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই ণ হয়।
চাণক্য মাণিক্য গণ, বাণিজ্য লবণ মণ বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা।

কল্যাণ শোণিত মণি, স্থানু গুণ পুণ্য বেণী ফণী অণু বিপণি গণিকা।

আপণ লাবণ্য বাণী, নিপুণ ভণিতা পাণি গৌণ কোণ ভাণ পণ শাণ।

চিকণ নিক্কণ তৃণ, কফণি (কনুই) বণিক গুণ গণনা পিণাক পণ্য বাণ।

ণত্ব বিধান-এর আরও কিছু নিয়ম


১. পরি, প্র, নির-এ তিনটি উপসর্গের পর ণত্ব বিধি অনুসারে ন-ধ্বনি মূর্ধন্য ণ হয়।
যেমন :
পরিণত, পরিণাম, প্রণয়, প্রণত, প্রণয়ন, প্রণিধান, প্রণােদিত, প্রবীণ, নির্ণয়, পরিণতি, প্রণিপাত, প্রবণ, প্রমাণ, নির্ণায়ক, পরিণয়, প্রণাম, প্রণীত, প্ৰবাহিণী, প্রয়াণ, নির্ণীত ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম পরিনির্বাণ, নির্নিমেষ, প্রনষ্ট, পরিবহন ইত্যাদি।

২. উত্তর, পর, পার, চান্দ্র, নার, রাম শব্দের পরে ‘অয়ন’ শব্দ হলে দন্ত্য ন পাল্টে মূর্ধন্য ণ হয়।
উদাহরণ :
উত্তর + অয়ন = উত্তরায়ণ;
পর + অয়ন = পরায়ণ;
পার + অয়ন = পারায়ণ;
চান্দ্র + অয়ন = চান্দ্রায়ণ;
নার + অয়ন = নারায়ণ;
রাম + অয়ন = রামায়ণ ইত্যাদি।

৩. অপর, পরা, পূর্ব, প্ৰ- এই কটি পূর্বপদের পর অহ্ন শব্দ বসলে ণত্ব বিধি অনুসারে দন্ত্য ন-এর জায়গায় মূর্ধন্য ণ হয়।
যেমন :
প্র + অহ্ন = প্ৰাহ্ণ
এরকম : অপরাহ্ণ, পরাহ্ণ, পূর্বাহ্ণ ইত্যাদি।


ণত্ব বিধান প্রযোজ্য হয়না যে যে ক্ষেত্রে



১. সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না ,সমাসবদ্ধ শব্দে ন হয়।
যেমন – ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি দুর্নাম, দুর্নিবার, পরনিন্দা, অগ্রনায়ক ইত্যাদি।

২. ত-বর্গীয় বর্ণের (ত থ দ ধ ) সঙ্গে যুক্ত ন কখনাে ণ হয় না, ন হয়।
উদাহরণ – অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন ইত্যাদি।
এরকম : কান্ত, প্রান্ত; কন্থা, পন্থা; অন্দর, খন্দ, ছন্দ, বন্দি; অন্ধ, গন্ধ, পিন্ধন, বন্ধ, বন্ধন ইত্যাদি।।

৩. ণত্ব-বিধান বিদেশি শব্দ অথবা বিদেশি নামের বানানের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য নয়। অর্থাৎ এ -সকল ক্ষেত্রে মূর্ধন্য ণ’-এর স্থলে ‘দন্ত্য ন’ ব্যবহৃত হবে।
উদাহরণ : গ্রিন, আলবেরুনি, ব্রেইন, ড্রেইন, ইস্টার্ন ইত্যাদি।
এরকম : আয়রন, ইরান, কার্নিশ, কুর্নিশ, কেরানি, কোরান, ক্লোরিন, জার্মান, ট্রেনিং, ফার্নিচার, বার্নার, বার্নিশ, মেরুন, রানার, শিরনি, সাইরেন, হর্ন, স্যাকারিন, হ্যারিকেন, হারমােনিয়াম ইত্যাদি ।

৪. সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়মে কিছু সাধিত শব্দে ণত্ব বিধি কার্যকর হয় না। ফলে ওই ধরনের তৎসম শব্দে দত্য ন বহাল থাকে।
যেমন : অগ্রনায়ক, ছাত্রনিবাস, দুর্নিবার, নিরন্ন, প্রনষ্ট ,সর্বনাম, অগ্রনেতা, ত্রিনয়ন, দুর্নিমিত্ত, নির্গমন, পরনিন্দ, বহির্গমন , হরিনাম, অহর্নিশ, ত্রিনেত্র, দুর্নিরীক্ষা , নির্নিমেষ , পরান্ন, রূপবান , ক্ষুন্নিবৃত্তি , দুর্নাম, দুর্নীতি ,নিষ্পন্ন, পুরুষানুক্রমে , শ্রীমান্ ইত্যাদি।

৫. খাঁটি বাংলা শব্দে ও অতৎসম শব্দে (অর্থাৎ তদ্ভব শব্দে) সর্বদা দন্ত্য ন হবে।
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারে মূল সংস্কৃত শব্দের যে রূপটি বাংলায় সরাসরি না এসে প্রাকৃত ভাষার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে ঢুকেছে তাকে বলা হয় তদ্ভব বা প্রাকৃতজ শব্দ।
যেমন : সংস্কৃত ‘চন্দ্র’ শব্দটি প্রাকৃতে হয়েছে চন্দ এবং বাংলায় হয়েছে চাঁদ। চন্দ্র > চন্দ > চাঁদ। এ ধরনের শব্দের মূল সংস্কৃত বানানে মূর্ধন্য ণ বহাল থাকবে, কিন্তু তদ্ভব শব্দের বানানে মূর্ধন্য ণ-এর স্থলে দন্ত্য ন হবে।
যেমন :

সংস্কৃত (তৎসম) পরিবর্তিত (তদ্ভব/অর্ধতৎসম)
অগ্রহায়ণ অঘ্রান
কর্ণ কান
ক্ষণিক খানিক
তৎক্ষণ তখন
প্রাণ পরান
ব্রাহ্মণ বামুন
লবণ নুন
কঙ্কণ কাকঁন
কৃষাণ কিষান
ঘৃণা ঘেন্না
নিমন্ত্রণ নেমন্তন
বর্ষণ বরিষন
যন্ত্রণা যাতনা
শ্রবণ শোনা

৬. ক্রিয়াপদে সর্বদাই ‘ন’ হয়। যেমন: করেন, করুন, ধরুন, ধরেন, মারেন ইত্যাদি।
ময়ট্ (ময়) প্রত্যয়ের ম যোগে ত্ স্থানে যে ‘ন্’ হয় তা মূর্ধন্য ণ হবে না। মৃন্ময় (মৃৎ+ময়)।
লক্ষণীয় ণত্ববিধি কেবল তৎসম শব্দেই প্রযােজ্য, অতৎসম শব্দে প্রযােজ্য নয়।

৭. সমােচ্চারিত শব্দের বানানে দন্ত্য ন এবং মূর্ধন্য ণ-এর পার্থক্যের জন্যে অর্থেরও পার্থক্য ঘটে। সুতরাং অর্থ-বিভ্রান্তি এড়াতে দন্ত্য ন এবং মূর্ধন্য ণ-এর ব্যবহার সম্পর্কে দৃষ্টি রাখতে হবে।
যেমন-
অণু—ক্ষুদ্রতম অংশ
অনু-পিছন

আপণ—দোকান
আপন—নিজ

গুণ—বৈশিষ্ট্য
গুন—নৌকা টানার দড়ি

বাণ–তীর, শর
বান—বন্যা


ষত্ব বিধান


বাংলা ভাষায় সাধারণত আমরা মূর্ধন্য-ষ ধ্বনি ব্যবহার করি না। তাই দেশি, তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ষ লেখার প্রয়ােজন হয় না। তবে কিছু তৎসম শব্দে ষ-এর প্রয়ােগ রয়েছে। যে-সব তৎসম শব্দে ‘ষ’ রয়েছে তা বাংলায় অপরিবর্তিত আছে।
তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের বানানে ষ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ষত্ব বিধান।
যেমন— বিষ, কৃষক, বর্ষণ, আষাঢ়, আভাষ ইত্যাদি।


ষ ব্যবহারের নিয়ম :


বাংলায় শিস্ ধ্বনির অক্ষর তিনটে—শ ষ স । ফলে বানানের গণ্ডগােল লেগে যায়। একই উচ্চারণ, কিন্ত ভিন্ন বানানে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।
যেমন: বিশ (২০) সংখ্যা বোঝায়, বিষ (গরল) এবং বিস হলো পদ্মের ডাঁটা।
দেখা যাচ্ছে তিন জায়গাতেই উচ্চারণ একই, কিন্ত শ/ষ/স অক্ষরের জন্যে অর্থ পাল্টে গেল। তাই শিস্ ধ্বনি সঠিকভাবে লিখতে ষত্ব-বিধান-এর নিয়ম শেখার প্রয়োজনীতা আবশ্যক।
আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে যে, বিদেশি শব্দের বানানে কখনাে মূর্ধন্য ষ হয় না। নিচে ষত্ব-বিধির নিয়মগুলাে সংক্ষেপে দেওয়া হল :

১. অ, আ ভিন্ন অন্য সকল স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে বিভক্তি বা প্রত্যয়ের স ষ হয়।
যেমন—
ভবিষ্যৎ (ভ্ + অ + ব্ + ই + ) ব এর পরে ই-এর ব্যবধান)।
এরকম- মুমূর্ষু , চক্ষুষ্মান, কল্যাণীয়েষু, মুমুক্ষু, চিকীর্ষা ইত্যাদি।

অ, আ ছাড়া অন্যান্য স্বরবর্ণের পরে বহু ক্ষেত্রে ষ হয়ে থাকে। অর্থাৎ ই ঈ উ উ এ ঐ ও ঔ এবং ি ী ৈ ৗ ু ূ–এদের পরে ষ হয়।
যেমন—এষণ, ঈষ, ঈষৎ, বিষয়, ভীষণ, জিগীষা, ঐষিক, বৈষ্ণব, বৈষয়িক, সুষম, তুষার, মঞ্জুষা, এষা, ওষধি, ওষুধ, পােষণ, কোষাধ্যক্ষ, ঔষধ, পৌষ, কৌষেয়, দ্বেষ, বিশেষ ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম : বিসংবাদ, দেশ, বিসদৃশ, বিশ, দিশা ইত্যাদি।
২. ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতিপয় ধাতুতে ষ হবে।
যেমন –অভিসেক » অভিষেক (<অভি + সেক)
উপসর্গের মধ্যে ই-কারান্ত ( অর্থাৎ ি দিয়ে শেষ হচ্ছে যেগুলাে যেমন—অধি, অভি, পরি, প্রতি, বি ইত্যাদি) এবং উ-কারান্ত ( যেমন : অনু, সু ইত্যাদি) উপসর্গের পরে মূর্ধন্য-ষ হবে।
যেমন :
অধিষদ (অথচ সভাসদ, সংসদ)
অভিষেক (অথচ জলসেক)
পরিষদ, পরিষ্কার (অথচ পুরস্কার)
প্রতিষেধক, প্রতিষ্ঠান(<প্রতি + স্থান)(অথচ যথাস্থান)
অনুষঙ্গ (অথচ সঙ্গ, আসঙ্গ, প্রসঙ্গ)
অনুষ্ঠান(<অনু + স্থান) (অথচ অস্থান, প্রস্থান)
বিষণ্ণ , বিষম (অথচ অসম)
দুর্বিষহ (অথচ অসহ), বিষয়, বিষাদ
সুষম (অথচ সম, অসম)।
ই-কারের পর সিচ্, সিধ্, সদ্ প্রভৃতি ধাতুর ‘স্’ পাল্টে গিয়ে ‘ষ’ হয়।
যেমন : সিচ্—নিষেক, নিষিক্ত; সদ্—বিষাদ, বিষণ্ণ ; সিধ—প্রতিষেধ, নিষেধ, নিষিদ্ধ ইত্যাদি।

৩. ঋ’ এবং ঋ কারের পর ‘ষ’হবে।
যেমন-
কৃষক, উৎকৃষ্ট, দৃষ্টি, ঋষি, সৃষ্টি, ঋষভ, কৃষাণ, কৃষি, তৃষ্ণা, তৃষা, দৃষ্টি, বৃষ্টি, ঋষি, সৃষ্টি ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম : কৃশ্য ধাতু থেকে জাত কৃশ, কৃশতা, কৃশকায়।
৪. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পর ‘ষ’ হবে।
যেমন- ঘর্ষণ, বর্ষণ, বর্ষা,।
রেফ-এর পর মূর্ধন্য-ষ হবে।
যেমন-
পার্ষদ, আকর্ষণ, বর্ষীয়, বিকর্ষণ, ঈর্ষা, বর্ষ, বর্ষীয়ান, বিমর্ষ, উৎকর্ষ, বর্ষণ, বার্ষিক, মহর্ষি, পর্ষদ, বর্ষী, বার্ষিকী, মহাকর্ষ, মাধ্যাকর্ষণ, মুমূর্ষু , চক্ষুষ্মান, শীর্ষক, সংঘর্ষ, সপ্তর্ষি, শতবার্ষিক, শীর্ষ ইত্যাদি।
৫. যদি র- ধ্বনির পরে অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি থাকে তবে তার পরে ‘ষ’ হবে।
যথা : পরিষ্কার।
কিন্তু অ, আ স্বরধ্বনি থাকলে ‘ষ’না হয়ে স হয়।
যথা : পুরস্কার।

৬. ক খ প ফ - এদের আগে ইঃ ( বা ি ঃ) অথবা উঃ ( বা ু ঃ) থাকলে সন্ধির ফলে বিসর্গের জায়গায় সর্বদা মূর্ধন্য ষ বসবে।
যেমন :
আবিঃ + কার = আবিষ্কার
আয়ুঃ + কাল = আয়ুষ্কাল
নিঃ + পাপ = নিষ্পাপ
দুঃ + কর = দুষ্কর
নিঃ + পত্র = নিষ্পত্র
চতুঃ + পদ = চতুষ্পদ
নিঃ + ফল = নিষ্ফল
চতুঃ + ফল = চতুষ্ফল
এরকম : নিষ্পন্ন, নিষ্পিষ্ট, নিষ্প্রাণ, নিষ্পেষণ, নিষ্প্রভ, নিষ্প্রদীপ , নিষ্ক্রিয়, নিষ্কৃতি, নিষ্পত্তি, নিষ্ক্রমণ , নিষ্কলঙ্ক, নিষ্কণ্টক, নিষ্কর, জ্যোতিষ্ক ইত্যাদি।
লক্ষণীয় যে, ইঃ / উঃ -র জায়গায় যদি অঃ / আঃ থাকে, তাহলে কিন্তু স হবে।
যেমন:
তিরঃ + কার = তিরস্কার
মনঃ + কামনা = মনস্কামনা
পুরঃ + কার = পুরস্কার
ভাঃ + কর = ভাস্কর
এরকম : তেজস্কর, তস্কর , নমস্কার, আস্পদ, বৃহস্পতি ইত্যাদি।

৭. ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ যুক্ত করা হয়।
যথা : স্পষ্ট, কাষ্ঠ, কষ্ট, ওষ্ঠ,নষ্ট ইত্যাদি।
অর্থাৎ যুক্তাক্ষরের রূপ হবে ষ্ট / ষ্ঠ । যেমন :
ষ্ + ট = ষ্ট
অনিষ্ট, অদৃষ্ট, অনাবৃষ্টি, অনাসৃষ্টি, অনির্দিষ্ট, অন্তর্দৃষ্টি, অন্ত্যেষ্টি, অপচেষ্টা, অপুষ্টি, অবশিষ্ট, অষ্ট, আকৃষ্ট, আড়ষ্ট, আদিষ্ট, আবিষ্ট, উপবিষ্ট, উৎকৃষ্ট, উষ্ট্র, কষ্ট, চেষ্টা, দুষ্ট,,দৃষ্টি, দৃষ্টান্ত, দ্রষ্টব্য, নষ্ট, নির্দিষ্ট, নিকৃষ্ট, নিবিষ্ট, পরিশিষ্ট, পিষ্ট, প্রবিষ্ট, পুষ্টি, প্রকৃষ্ট, প্রচেষ্টা, বিনষ্ট, বিশিষ্ট, বেষ্টন, বেষ্টিত, বৈশিষ্ট্য, ভ্রষ্ট, মিষ্ট, যথেষ্ট, রাষ্ট্র, সর্বোৎকৃষ্ট, সৃষ্টি, স্পষ্ট, স্পষ্ট, স্রষ্টা, হৃষ্টপুষ্ট, কৃষ্টি, বৃষ্টি, সৃষ্ট ইত্যাদি।

ষ্+ ঠ = ষ্ঠ
অনুষ্ঠান, অধিষ্ঠান, অতিষ্ঠ, একনিষ্ঠ, কনিষ্ঠ, কাষ্ঠ, কোষ্ঠী, গরিষ্ঠ, ঘনিষ্ঠ, জ্যেষ্ঠ, জ্যৈষ্ঠ, নিষ্ঠা, নিষ্ঠুর, পৃষ্ঠ, প্রকোষ্ঠ, প্রতিষ্ঠা, প্রতিষ্ঠান, বলিষ্ঠ, ভূমিষ্ঠ, যুধিষ্ঠির, ঘূপকাষ্ঠ, লঘিষ্ঠ, শ্রেষ্ঠ, ষষ্ঠ, ষষ্ঠী, সৌষ্ঠব, সুষ্ঠ ইত্যাদি।
দ্রষ্টব্য : ইংরেজি শব্দের ক্ষেত্রে st উচ্চারণে স্ট লিখতে হবে।
যেমন : ইস্টার্ন (Eastern), ক্রাইস্ট (christ), স্টোর (store), স্টিল ( steel)
এরকম আর্টিস্ট, এস্টিমেট, ওয়েস্ট, কনস্টেবল, কোস্টার, টাইপিস্ট, টেস্ট, টোস্ট, টুরিস্ট, ডাস্টার, ডাস্টবিন, ডিস্ট্রিক্ট , ডেনটিস্ট, পেস্ট্রি, পােস্ট, প্লাস্টার, প্লাস্টিক, ফরেস্ট, ফাস্ট, ফাস্ট, ব্যারিস্টার, মাস্টার, মিস্টার, ম্যাজিস্ট্রেট, রেজিস্টার, রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রি, লিপস্টিক, লিস্ট, স্টক, স্টপ, স্টল, স্টার, স্টিক, স্টিমার, স্টিল, স্টুডিও, স্টেডিয়াম, স্টেশন, স্টোভ, স্ট্রাইক, স্ট্রিট, হােস্টেল ইত্যাদি।

৮. কতগুলো শব্দে স্বভাবতই ‘ষ’ হয়।
কোনাে নিয়মে ফেলা যাবে না, অথচ স্বভাবতই মূর্ধন্য-ষ হয় এমন শব্দও আছে।
যেমন-
ষড়ঋতু, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, রোষ, ভাষা, ঊষা, পৌষ, কলুষ, পাষাণ, ঔষধ, ষড়যন্ত্র, ভূষণ, দ্বেষ, মানুষ ইত্যাদি।

এরকম : ঊষর, আভাষ, অভিলাষ, ঈষৎ, কোষ, পাষণ্ড, পােষণ, ভাষণ, ষণ্ড, সরিষা, ঔষধি, ষােড়শ, তােষণ, কলুষ, ভূষণ, শোষণ, ষটচক্র ইত্যাদি।


ষত্ব বিধান প্রযোজ্য হয়না যে যে ক্ষেত্রে


১. সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদে ষ হয় না। যেমন : অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ ইত্যাদি।

২. আরবি, ফারসি, ইংরেজি ইত্যাদি বিদেশি শব্দে কখনাে মূর্ধন্য-ষ হবে না।
এসব শব্দের মূল উচ্চারণ অনুযায়ী দন্ত্য-স অথবা তালব্য-শ হবে।
যেমন : জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট
আরবি: নকশা, মুশকিল, শয়তান; মজলিস, সনদ, ফসল।
ইংরেজি : কমিশন, ব্রিটিশ, মেশিন; স্যার, সিলেবাস, বাস।
ফারসি : খুশি, খােশ, চশমা; আসর, খানসামা, রসিদ।

৩. সম্ভাষণসূচক শব্দে এ-কারের পর মূর্ধন্য ষ হয়, কিন্তু সম্ভাষণসূচক স্ত্রীবাচক শব্দে আকারের পর দন্ত্য স হয়।
যেমন :
কল্যাণীয়েষু, প্রিয়বরেষু, সুজনেষু, প্রীতিভাজনেষু, শ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাদেযু, স্নেহাপদেষু, বন্ধুবরেষু, শ্রীচরণেষু।
কিন্তু কল্যাণীয়াসু, সুচরিতাসু, পূজনীয়াসু, মাননীয়াসু, সুপ্রিয়াসু, সুজনীয়াসু হবে।


ণত্ব ও ষত্ব বিধান: মডেল প্রশ্ন


প্রশ্ন : ১। ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান বলতে কী বােঝ? উদাহরণসহ আলােচনা কর।
উত্তর : ণত্ব-বিধান : যে রীতি অনুসারে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের বানানে ‘ন’ (দন্ত্য-ন) স্থানে ‘ণ’ (মূর্ধন্য-ণ) ব্যবহূত হয় তাকে ণত্ব-বিধান বলে।
অর্থাৎ তৎসম শব্দের বানানে ‘ণ’-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণত্ব-বিধান।
যেমন : ঋণ, কারণ, মরণ, ভীষণ, ভাষণ ইত্যাদি।
ষত্ব-বিধান : যে রীতি অনুসারে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহূত হয় তাকে ষত্ব-বিধান বলে।
অর্থাৎ তৎসম শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ষ -এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ষত্ব-বিধান।
যেমন : বিষ, কৃষক, বর্ষণ, আষাঢ়, আভাষ ইত্যাদি।

প্রশ্ন : ২। সমাসবদ্ধ পদে ণত্ব বিধানের নিয়ম খাটে না, এমন পাঁচটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার।

প্রশ্ন : ৩। শূন্যস্থান পূরণ কর :
(ক) ট, ঠ, ড এবং ঢ বর্ণের পূর্বে ‘ন’ যুক্ত হলে সর্বদাই ণ হয়।
যেমন..... .......(৫টি)
উত্তর : লণ্ঠন, কাণ্ড, ঘণ্টা, আকণ্ঠ, বায়ুমণ্ডল ।

(খ) অ, আ ভিন্ন স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে প্রত্যয়ের দন্ত্য স মূর্ধন্য ষ হয়।
যেমন... .......(৫টি)
উত্তর : মুমূর্ষু , চক্ষুষ্মান, কল্যাণীয়েষু, মুমুক্ষু, চিকীর্ষা ।

(গ) বিদেশি শব্দের বানানে ষ হয় না।
যেমন........... ...(৫টি)
উত্তর :কমিশন, ব্রিটিশ, চশমা,মজলিস, খুশি, শয়তান ।

প্রশ্ন : ৪। কতগুলো শব্দের শুদ্ধ, অশুদ্ধ রূপ :
উত্তর :

অশুদ্ধ বানান শুদ্ধ বানান অশুদ্ধ বানান শুদ্ধ বানান
লবন লবণ কৃপন কৃপণ
নশ্ট নষ্ট তৃন তৃণ
পুরষ্কার পুরস্কার ঘন্টা ঘণ্টা
সুসম সুষম হরিন হরিণ
আনুসঙ্গিক আনুষঙ্গিক লাবন্য লাবণ্য
ষ্টেশন স্টেশন কনিকা কণিকা
পােষাক পোশাক বনিক বণিক
জাৰ্মাণ জার্মান কৃশক কৃষক
কুরআণ কুরআন উৎকৃস্ট উৎকৃষ্ট
দুর্ণাম দুর্নাম আষার, আশাড় আষাঢ়
পাশান্ড,পাসণ্ড পাষণ্ড দর্পন দর্পণ
তােশন, তােসণ তােষণ প্রতিস্টান প্রতিষ্ঠান
মিলণ মিলন কল্যান কল্যাণ
গুনী গুণী গ্রহন গ্রহণ
শ্ৰবন নিসিদ্ধ নিষিদ্ধ শ্রবণ
শ্রবণ শোনা রেনু রেণু
মৃণ্ময় মৃন্ময় কল্যান কল্যাণ
ব্যবধাণ ব্যবধান ঋন ঋণ
বানিজ্য বাণিজ্য ওস্ঠ ওষ্ঠ
দর্শণ দর্শন প্রার্থণা প্রার্থনা
বিসন্ন বিষণ্ন মূর্ধণ্য মূর্ধন্য
সাধারন সাধারণ কলুসিত কলুষিত
কারন কারণ বিষ্মরন বিস্মরণ
বেনী বেণি/বেণী হিরন্ময় হিরণ্ময়
শ্রবন শ্রবণ প্রণষ্ট প্রনষ্ট
পরিস্কার পরষ্কার পুন্য পুণ্য
দুস্কর দুষ্কর কস্ট কষ্ট
সুসুন্তি সুষুপ্তি নমষ্কার নমস্কার
নিস্পাপ নিষ্পাপ সুসমা সুষমা
সােড়শ যােড়শ গন গণ

প্রশ্ন : ৫। বাংলা ব্যাকরণে ণত্ব-বিধান ও ষত্ব-বিধানের প্রয়ােজন আলােচনা কর।
উত্তর : বাংলা ভাষায় ‘ণ’, ‘ন’ এবং “শ’, ‘ষ’, ‘স’ বর্ণের ধ্বনিগুলাের উচ্চারণ এক ও অভিন্ন। তাই শব্দের বানান শিখতে গিয়ে এই ধ্বনিগুলাের ব্যবহারে অনেক সময় বিভ্রান্তি ঘটে থাকে। সুতরাং এই ধ্বনিগুলাের ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট কতকগুলাে নিয়ম থাকা জরুরি। এদিক দিয়ে বিচার করলে ণত্ব-বিধান ও ষত্ব-বিধানের প্রয়ােজন অপরিসীম। কেননা বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দাবলির বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ। আর ণত্ব-বিধান কিংবা ষত্ব-বিধান মূলত তৎসম শব্দের ক্ষেত্রেই প্রযােজ্য এবং তৎসম শব্দ ব্যতীত অন্যান্য শব্দের ক্ষেত্রে ণত্ব-বিধান ষত্ব-বিধানের প্রয়ােজন নেই।

প্রশ্ন : ৬। ণত্ব ও ষত্ব-বিধান কোন্ শ্রেণীর বাংলা শব্দের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য?
উত্তর : বাংলা ভাষায় সাধারণত মূর্ধন্য-ণ এবং মূর্ধন্য-ষ ধ্বনির পৃথক ব্যবহার নেই বলে বাংলা দেশি, তদ্ভব, ও বিদেশি শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ণ বা মূর্ধন্য-ষ লেখার প্রয়ােজন হয় না। কিন্তু বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বহু তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য-ণ এবং মূর্ধন্য-ষ-এর প্রয়ােগ আছে। তা বাংলায় অবিকৃত অবস্থায় রক্ষিত হয়। অর্থাৎ ণত্ব ও ষত্ববিধি শুধু তৎসম শব্দেই প্রযােজ্য, অতৎসম শব্দে নয়।

প্রশ্ন :৭ । ণত্ব বিধান চিহ্নিত করুন।
গুরুত্বপূর্ণ, লক্ষণীয়, প্রবণতা, চিহ্নিত, সিন্ডিকেট, নির্ধারণ, গ্রহণ, জনগণ, কারণ, সাধারণ, প্রমাণ, আকর্ষণ।
উত্তর :
গুরুত্বপূর্ণ- রেফ-এর পরে ন মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়েছে।
লক্ষণীয়- য-এর (ক্ষ = ক+ষ) পরে ন মূর্ধন্য ণ হয়।
প্রবণতা- প্র উপসর্গের পর ব-এর ব্যবধান থাকায় ন মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়েছে।
চিহ্নিত- এ শব্দে ঋ, র, ষ কিংবা প্র, পরি ইত্যাদি উপসর্গ নেই বিধায় ন বসেছে।
সিন্ডিকেট- বিদেশি শব্দে ণ-ত্ব বিধি প্রযােজ্য নয়; তাই ন্ড ।
নির্ধারণ- র-এর পরে ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়েছে।
গ্রহণ- র-ফলার পরে হ-এর ব্যবধান থাকায় দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়েছে।
জনগণ- গণ শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য ‘ণ হয়।
কারণ- র-এর পরে ন মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়েছে।
সাধারণ- র-এর পরে ন মূর্ধন্য ণ হয়েছে।
প্রমাণ - প্র উপসর্গের পর ম ও আ-এর ব্যবধান থাকায় ‘ন’ ‘ণ হয়েছে।
আকর্ষণ- ষ-এর পরে দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য 'ণ' হয়।







Privacy Policy Terms and Conditions Site Map About Us Contact Us