সূচনা : একটি সফল ও সার্থক জীবন পাওয়ার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ। মানুষের জীবন ছোট কিন্তু তার কর্মক্ষেত্র অনেক বড়। এ ছোট জীবনে উন্নতির উচ্চ শিখরে আরোহণ করতে হলে প্রত্যেক মানুষকে জীবনের শুরুতেই সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়।
লক্ষ্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা : জীবন গঠনের জন্য জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি। লক্ষ্যহীন জীবন হলো হালবিহীন নৌকার মতো। তাই লক্ষ্য স্থির না করলে সফলতা পাওয়া অসম্ভব। প্রতিটি মানুষকে জীবনের শুরুতে সঠিক চিন্তা ভাবনা করে লক্ষ্য ঠিক করে সেটাকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হবে। তা না হলে কখনোই ব্যক্তি তার জীবনকে পরিচালনা করার সঠিক দিক পাবে না। লক্ষ্য না থাকলে জীবনকে উদ্দেশ্যহীন বিক্ষিপ্ত মনে হয়। ফলে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব হয় না।
ছাত্রাবস্থায়ই লক্ষ্য স্থির করার উপযুক্ত সময় : ছাত্রজীবন পরিণত-জীবনের প্রস্তুতিপর্ব। ছাত্রাবস্থার স্বপ্ন ও কল্পনা পরিণত-জীবনে বাস্তবের মাটিতে ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়ে সার্থক হয়। কিন্তু স্বপ্ন কেবল স্বপ্ন হলেই, কিংবা কল্পনা, অবাস্তব ও উদ্ভট হলেই চলে না; পরিণত জীবনের লক্ষ্যবাহী ও বাস্তবঘনিষ্ঠ হওয়া চাই। সেজন্য ছাত্রবস্থাতেই জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে হয়। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে অগ্রসর হতে হয়, শ্রম, নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও একাগ্রতার সঙ্গে।
আমার জীবনের লক্ষ্য : নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে জীবনে সফল হওয়া যায় না। লক্ষ্য ঠিক করে সে মোতাবেক এগিয়ে গেলেই জীবনের উদ্দেশ্য পূরণ হয়। তাই আমিও জীবনের লক্ষ্য ঠিক করেছি। আমার লক্ষ্য আর দশজনের থেকে আলাদা। আমার ইচ্ছা বড় হয়ে আমি একজন ক্রিকেটার হব।
লক্ষ্য নির্ধারণের কারণ : সাধারণত মানুষের জীবনের লক্ষ্য থাকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক ইত্যাদি হওয়া। কিন্তু মানুষের যে কাজটি ভালো লাগে সেটির চর্চা অব্যাহত রাখলেই বেশি সফলতা পাওয়া যায়। ক্রিকেট খেলার প্রতি আমার ভালোলাগা অত্যন্ত প্রবল। ক্রিকেটারদের দেশপ্রেম, মনোবল ও সুশৃঙ্খল জীবন আমাকে অত্যন্ত আকর্ষণ করে। এ কারণেই আমি ক্রিকেটার হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছি। ক্রিকেট খেললে আনন্দ লাভের পাশাপাশি শরীরকেও সুস্থ রাখা যায়। আর কঠোর নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে খেলতে যায় বলে এ লেখা নিয়মানুবর্তিত ও সময়জ্ঞানের শিক্ষা দেয়। তাছাড়া বর্তমান বিশ্বে ক্রিকেট জনপ্রিয় খেলা। ক্রিকেটে বাংলাদেশেরও একটি শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এ দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা ও উৎসবের অন্যতম উপলক্ষ হলো ক্রিকেট। তাই বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা এখন ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারে।
লক্ষ্যপূরণে করণীয় : জীবনের লক্ষ্য পূরণে আমাকে এখন থেকেই মনোযোগী হতে হবে। শুধু ভালো ক্রিকেট খেললেই ভালো ক্রিকেটার হওয়া যায়। সেই সাথে পড়াশোনায়ও ভালো হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই ক্রিকেটের সব আধুনিক দিকগুলো ঠিকঠাক বুঝতে পারব। এখন থেকেই ক্রিকেটের সব খুঁটিনাটির বিষয়ে আমাকে জানতে হবে। নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।
উপসংহার : বিখ্যাত কোনো ক্রিকেটার হতে পারলে পৃথিবীর বুকে দেশের মুখ উজ্জ্বল হবে। বিশ্বের অনেকেই এখন বড় ক্রিকেটার হতে চায়। বাংলাদেশও ক্রিকেটে এখন ভালো অবস্থানে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। একজন আদর্শ ক্রিকেটার হয়ে আমি সে সম্ভাবনাকে সত্যে পরিণত করতে চাই। দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে চাই।