Theballpen.com

An online resource for the competitive exams

প্রতিদিনই নতুন নতুন টেস্ট এবং অধ্যায় আপলোড করা হচ্ছে। আপনি চোখ রাখুন আর কোনো মন্তব্য থাকলে পেইজ এর শেষে মন্তব্য বক্স-এ মন্তব্য করুন। ধন্যবাদ।

×Close

Change category



📂 Paragraph for HSC 📂 Composition for HSC 📂 ভাব সম্প্রসারণ 📂 সারাংশ 📂 সারমর্ম 📂 বাংলা অনুচ্ছেদ 📂 বাংলা প্রবন্ধ রচনা

বাংলা ভাষা জিজ্ঞাসা


📂 ভাষা 📂 এক কথায় প্রকাশ 📂 ণত্ব ও ষত্ব বিধান 📂 ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ 📂 ধ্বনির পরিবর্তন 📂 বাংলা ব্যাকরণ ও আলোচ্য বিষয়

☰ All

Change category

Home 📂 বাংলা ব্যাকরণ 📂 বাংলা সাহিত্য 📂 English Grammar 📂 BCS model test 📂 Bank math 📂 Paragraph for HSC 📂 Composition for HSC 📂 ভাব সম্প্রসারণ 📂 সারাংশ 📂 সারমর্ম 📂 বাংলা রচনা 📂 বাংলা অনুচ্ছেদ

বাংলা ভাষা জিজ্ঞাসা

📂 ভাষা 📂 এক কথায় প্রকাশ 📂 ণত্ব ও ষত্ব বিধান 📂 ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ 📂 ধ্বনির পরিবর্তন 📂 বাংলা ব্যাকরণ ও আলোচ্য বিষয়





Close

পড়ুন

📂সকল বিষয়



ব্যাকরণ অংশ


ধ্বনিতত্ত্ব ধ্বনির পরিবর্তন বর্ণ ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব সন্ধি

বাংলা গ্রন্থ সমালোচনা



নাটক


কৃষ্ণকুমারী নাটক চিত্রাঙ্গদা নাটক জমীদার দর্পণ নাটক ডাকঘর নাটক বিসর্জন নাটক বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ প্রহসন রক্তকরবী নাটক সিরাজ-উ-দ্দৌলা সুবচন নির্বাসনে উজানে মৃত্যু কিত্তনখােলা টিনের তলােয়ার নূরলদীনের সারা জীবন নেমেসিস নবান্ন রক্তাক্ত প্রান্তর নীল দর্পণ সাজাহান একেই কি বলে সভ্যতা পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় কবর এর উপায় কি প্রহসন বহিপীর সধবার একাদশী

কাব্যগ্রন্থ/কাব্য


বঙ্গভাষা কবিতা বঙ্গভূমির প্রতি কবিতা মানসী কাব্যগ্রন্থ মেঘনাদবধ কাব্য সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ- দোলন চাঁপা কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি কাব্য তিলােত্তমাসম্ভব-কাব্য বিষের বাঁশী কাব্যগ্রন্থ অনল প্রবাহ ছাড়পত্র একুশে ফেব্রুয়ারি নকশী কাঁথার মাঠ মহাশ্মশান সাঁঝের মায়া সাত সাগরের মাঝি কপােতাক্ষ নদ বনলতা সেন বন্দী শিবির থেকে রাত্রিশেষ সােনালী কাবিন বঙ্গসুন্দরী রূপসী বাংলা

উপন্যাস


বিষাদ সিন্ধু বাধন হারা উপন্যাস মৃত্যু ক্ষুধা উপন্যাস আদিগন্ত আনােয়ারা আবদুল্লাহ নূরজাহান আরেক-ফাল্গুন আলালের ঘরের দুলাল উত্তম পুরুষ একটি ফুলের জন্য ওঙ্কার কপালকুণ্ডলা কবি কর্ণফুলী কাঁদো নদী কাঁদো কাশবনের কন্যা কৃষ্ণকান্তের উইল ক্রীতদাসের হাসি খাঁচায় খােয়াবনামা গৃহদাহ ঘর মন জানালা চাঁদের অমাবস্যা চিলেকোঠার সেপাই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জগদ্দল জননী জীবন আমার বােন জোছনা ও জননীর গল্প তিতাস একটি নদীর নাম দুর্গেশনন্দিনী দেবদাস নির্বাসন পথের পাঁচালী পদ্মরাগ পদ্মানদীর মাঝি পাপের সন্তান পােকামাকড়ের ঘরবসতি পিঙ্গল আকাশ পুতুলনাচের ইতিকথা পুবের সূর্য প্রদোষে প্রাকৃতজন বটতলার উপন্যাস যাত্রা রাইফেল রােটি আওরাত লালসালু শ্রীকান্ত সংশপ্তক সারেং বৌ সােনালী মুখােশ সূর্য দীঘল বাড়ী হাঁসুলীবাকের উপকথা হাঙ্গর নদী গ্রেনেড হাজার বছর ধরে হুতােম প্যাচার নকশা

গল্পগ্রন্থ/প্রবন্ধ


অবরােধবাসিনী আত্মজা ও একটি করবী গাছ কমলাকান্তের দপ্তর দেশে বিদেশে শকুন্তলা আয়না অপূর্ব ক্ষমা গাে-জীবন প্রবন্ধ

প্রাচীন ও মধ্যযুগ


মঙ্গলকাব্য শূন্যপুরাণ চর্যাপদ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পদ্মাবতী লাইলী মজনু ইউসুফ জোলেখা মৈমনসিংহ গীতিকা

গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক


মাইকেল মধুসূদন দত্ত মীর মশাররফ হােসেন

ভাব-সম্প্রসারণ



অর্থই অনর্থের মূল অর্থসম্পত্তির বিনাশ আছে ... এ জগতে হায় সে ই বেশি চায়... কত বড়ো আমি কহে নকল হীরাটি দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা... দুর্নীতি জাতীয় জীবনে... পরের অনিষ্ট চিন্তা করে... পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়... প্রয়োজনই উদ্ভাবনের জনক... প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত... প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয় কিন্তু... ভোগে নয় ত্যাগেই সুখ... মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের... যে একা সেই সামান্য... স্বদেশের উপকারে নাই যার মন... আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে.. ইচ্ছা-থাকলে-উপায়-হয়... কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে... চরিত্র মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ... জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য... নানান দেশের নানান ভাষা... পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে লাইব্রেরি জাতির সভ্যতা ও ... লোভে পাপ পাপে মৃত্যু... সবার উপরে মানুষ সত্য... রাত যত গভীর হয় প্রভাত... আলো বলে অন্ধকার তুই বড় কালো... অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে... আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য... উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে... কীর্তিমানের মৃত্যু নেই... গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন... জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন... দুঃখের মতো এত বড় পরশপাথর... দ্বার রুদ্ধ করে দিয়ে ভ্রমটাকে... পথ পথিকের সৃষ্টি করে না... বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি... বিশ্রাম কাজের অঙ্গ এক সাথে গাঁথা... মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন... যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই.. শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড শৈবাল দিঘীরে বলে উচ্চ করি শির... সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা... সঙ্গদোষে লোহা ভাসে... সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত... সেই ধন্য নরকুলে লোকে যারে নাহি ভুলে... স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র... স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে...

সারমর্ম



আমরা চলিব পশ্চাতে ফেলি... আমার একার সুখ... আসিতেছে শুভদিন... ই যে বিটপি শ্রেণি... এসেছে নতুন শিশু... কহিল মনের খেদে... কোথায় স্বর্গ কোথায়... ক্ষমা যেথা ক্ষীণ... ছোট বালুকার কণা বিন্দু... জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে... তরুতলে বসে পান্থ... ধন্য আশা কুহকিনী... নদী কভু পান... নম নম নম সুন্দরী... নিন্দুকেরে বাসি আমি... পরের কারণে স্বার্থ... পরের মুখে শেখা বুলি... পুণ্যে পাপে দুঃখে সুখে... বিপদে মোরে রক্ষা করো... ভদ্র মোরা শান্ত বড়ো... মরিতে চাহি না আমি... শৈশবে সদুপদেশ... সাম্যের গান গাই... সার্থক জনম আমার... স্বাধীনতা স্পর্শমণি... হউক সে মহাজ্ঞানী... হায় হায় জন্মিয়া... হে দারিদ্র্য তুমি মোরে... হে সূর্য শীতের সূর্য...

সারাংশ



অতীতকে ভুলে যাও... অপরের জন্য তুমি প্রাণ... অভাব আছে বলিয়াই... আজকের দুনিয়াটা আশ্চর্যভাবে... একজন মানুষ ভালো কি... শ্রম আমাদের দেশে... কিসে হয় মর্যাদা... কোনো সভ্য জাতিকে... ক্রোধ মানুষের পরম... খুব ছোট ছিদ্রের মধ্য... ছাত্রজীবন আমাদের... জাতিকে শক্তিশালী-শ্রেষ্ঠ... জাতি শুধু বাইরের... জীবনের একটি প্রধান লক্ষ্য... তুমি জীবনকে সার্থক... নিন্দা না থাকিলে... নিষ্ঠুর ও কঠিন মুখ... পৃথিবীতে যেখানে... প্রকৃত জ্ঞানের স্পৃহা... বিদ্যা মানুষের... ভবিষ্যতের ভাবনা... মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ... মানুষের জীবনকে... মানুষের মূল্য... মানুষের সুন্দর... মুখে অনেকেই... রূপার চামচ মুখে... শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে... সত্য ওজন দরে... সময় ও স্রোত... সমস্ত পৃথিবীর... সমাজের কাজ... সুশিক্ষিত লোকমাত্রই... সূর্যের আলোতে...

বাংলা প্রবন্ধ রচনা



অধ্যবসায় আমাদের গ্রাম আমাদের দেশ আমাদের বিদ্যালয় জীবনের লক্ষ্য আমার প্রিয় শিক্ষক ইন্টারনেট ও বাংলাদেশ একুশে ফেব্রুয়ারি কর্মমুখী শিক্ষা কুটিরশিল্প খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা গ্রন্থাগার চরিত্র ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু... দেশ ভ্রমণ পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য বই পড়ার আনন্দ বাংলাদেশের উৎসব বাংলাদেশের কৃষক বাংলাদেশের নদ নদী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ষড়ঋতু বাংলা নববর্ষ বিজয় দিবস শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস শহিদ মিনার শিষ্টাচার শৃঙ্খলা/নিয়মানুবর্তিতা শ্রমের মর্যাদা সংবাদপত্র সততা স্বদেশপ্রেম স্বাধীনতা দিবস আমার দেখা একটি মেলা আমার প্রিয় খেলা আমার শৈশব স্মৃতি ইভ টিজিং একটি ঐতিহাসিক স্থান শীতের সকাল কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিস্ময় কৃষিকাজে বিজ্ঞান ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ গ্রাম্য মেলা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান জাতি গঠনে নারীসমাজের ভূমিকা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার বর্ষণমুখর একটি সন্ধ্যা বর্ষাকাল বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা ও... বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ... বাংলাদেশের বেকার সমস্যা ও.. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও... বিদ্যুৎ ও আধুনিক জীবন বিশ্ব যোগাযোগে ইন্টারনেটের ভূমিকা বৃক্ষরোপণ অভিযান ভূমিকম্প ঝুঁকিতে বাংলাদেশ মাদকাসক্তি ও তার প্রতিকার সমাজকল্যাণে ছাত্রসমাজের ভূমিকা

বাংলা অনুচ্ছেদ



বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একুশে বইমেলা প্রিয় শিক্ষক পিতা-মাতা শিক্ষাসফর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অতিথি পাখি বর্ষণমুখর দিন নারী শিক্ষা সড়ক দুর্ঘটনা বই পড়া সত্যবাদিতা বিদ্যালয়ের শেষ দিন পহেলা ফাল্গুন ডিজিটাল বাংলাদেশ সততা দুর্নীতি আমাদের লোকশিল্প যানজট কম্পিউটার শীতের সকাল বিশ্বায়ন মহান বিজয় দিবস পরিবেশ দূষণ জাতীয় পতাকা ইন্টারনেট স্বেচ্ছায় রক্তদান

English Grammar


Sentence Parts of speech Number Gender Noun GO TOP




















Close

পরীক্ষা দিন

All in one menu ( 100 sets )

📂 বাংলা



বাংলা ভাষা ও লিপি-01 বাংলা ভাষা ও লিপি-02 বাংলা ভাষা ও লিপি-03 সাধু ও চলিত রীতি -01 সাধু ও চলিত রীতি -02 বাংলা ব্যাকরণের বিকাশ-01 বাংলা ব্যাকরণের বিকাশ-02 ধ্বনি-01 ধ্বনি-02 বর্ণ-01 বর্ণ-02 ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান সন্ধি-01 সন্ধি-02 সন্ধি-03 সন্ধি-04 সন্ধি-05 বচন সমাস-01 সমাস-02 সমাস-03 সমাস-04 সমাস-05 উপসর্গ ও অনুসর্গ-০১ উপসর্গ ও অনুসর্গ-০২ ধাতু প্রত্যয়-০১ প্রত্যয়-০২ শব্দ-০১ শব্দ -০২ শব্দ -০৩ পদ প্রকরণ-০১ পদ প্রকরণ-০২ কাল,পুরুষ,বাংলা অনুজ্ঞা কারক ও বিভক্তি-01 কারক ও বিভক্তি-02 বাক্য প্রকরণ বিরাম চিহ্ন বিরাম চিহ্ন-02 ছন্দ ও অলংকার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০১ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০২ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৩ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৪ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৫ বানান ও বাক্য শুদ্ধি -০৬ সমার্থক শব্দ-০১ সমার্থক শব্দ-০২ সমার্থক শব্দ-০৩ সমার্থক শব্দ-০৪ সমার্থক শব্দ-০৫ বিপরীতার্থক শব্দ-01 বিপরীতার্থক শব্দ-02 বিপরীতার্থক শব্দ-03 বিপরীতার্থক শব্দ-04 পরিভাষা-01 পরিভাষা-02 পরিভাষা-03 বাগধারা-০১ বাগধারা-০২ বাগধারা-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০১ এক কথায় প্রকাশ-০২ এক কথায় প্রকাশ-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০৪ এক কথায় প্রকাশ-০৫ প্রবাদ-প্রবচন অনুবাদ ছন্দ ও অলংকার একই শব্দের বিভিন্নার্থে প্রয়োগ বিবিধ-০১ বিবিধ-০২

📂 English MCQ test



✓ Test on noun-01 ✓ Test on noun-02 ✓ Test on noun-03 ✓ Test on noun-04 ✓ Test on noun-05
✓ Test on pronoun-01 ✓ Test on pronoun-02
✓ Test on gender-01 ✓ Test on gender-02
✓ Test on number-01 ✓ Test on number-02

📂 BCS model test



✓ BCS english model test-01 ✓ BCS english model test-02 ✓ BCS english model test-03 ✓ BCS english model test-04 ✓ BCS english model test-05 ✓ BCS english model test-06 ✓ BCS english model test-07 ✓ BCS english model test-08 ✓ BCS english model test-09 ✓ BCS english model test-10 ✓ BCS english model test-11 ✓ BCS english model test-12 ✓ BCS english model test-13 ✓ BCS english model test-14 ✓ BCS english model test-15 ✓ BCS english model test-16 ✓ BCS english model test-17

📂 Math MCQ test



Number system-01 Number system-02 Number system-03 Number system-04 Number system-05 Number system-06 Number system-07 Number system-08 Number system-09 Number system-10
Divisibility-01 Divisibility-02 Divisibility-03 Divisibility-04 Divisibility-05
Fraction-01 Fraction-02 Fraction-03 Fraction-04 Fraction-05
Factors-01 Factors-02





















বাংলা-সাহিত্য

বাংলা গ্রন্থ সমালোচনা



নাটক


কৃষ্ণকুমারী নাটক চিত্রাঙ্গদা নাটক জমীদার দর্পণ নাটক ডাকঘর নাটক বিসর্জন নাটক বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ প্রহসন রক্তকরবী নাটক সিরাজ-উ-দ্দৌলা সুবচন নির্বাসনে উজানে মৃত্যু কিত্তনখােলা টিনের তলােয়ার নূরলদীনের সারা জীবন নেমেসিস নবান্ন রক্তাক্ত প্রান্তর নীল দর্পণ সাজাহান একেই কি বলে সভ্যতা পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় কবর এর উপায় কি প্রহসন বহিপীর সধবার একাদশী

কাব্যগ্রন্থ/কাব্য


বঙ্গভাষা কবিতা বঙ্গভূমির প্রতি কবিতা মানসী কাব্যগ্রন্থ মেঘনাদবধ কাব্য সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ- দোলন চাঁপা কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি কাব্য তিলােত্তমাসম্ভব-কাব্য বিষের বাঁশী কাব্যগ্রন্থ অনল প্রবাহ ছাড়পত্র একুশে ফেব্রুয়ারি নকশী কাঁথার মাঠ মহাশ্মশান সাঁঝের মায়া সাত সাগরের মাঝি কপােতাক্ষ নদ বনলতা সেন বন্দী শিবির থেকে রাত্রিশেষ সােনালী কাবিন বঙ্গসুন্দরী রূপসী বাংলা

উপন্যাস


বিষাদ সিন্ধু বাধন হারা উপন্যাস মৃত্যু ক্ষুধা উপন্যাস আদিগন্ত আনােয়ারা আবদুল্লাহ নূরজাহান আরেক-ফাল্গুন আলালের ঘরের দুলাল উত্তম পুরুষ একটি ফুলের জন্য ওঙ্কার কপালকুণ্ডলা কবি কর্ণফুলী কাঁদো নদী কাঁদো কাশবনের কন্যা কৃষ্ণকান্তের উইল ক্রীতদাসের হাসি খাঁচায় খােয়াবনামা গৃহদাহ ঘর মন জানালা চাঁদের অমাবস্যা চিলেকোঠার সেপাই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জগদ্দল জননী জীবন আমার বােন জোছনা ও জননীর গল্প তিতাস একটি নদীর নাম দুর্গেশনন্দিনী দেবদাস নির্বাসন পথের পাঁচালী পদ্মরাগ পদ্মানদীর মাঝি পাপের সন্তান পােকামাকড়ের ঘরবসতি পিঙ্গল আকাশ পুতুলনাচের ইতিকথা পুবের সূর্য প্রদোষে প্রাকৃতজন বটতলার উপন্যাস যাত্রা রাইফেল রােটি আওরাত লালসালু শ্রীকান্ত সংশপ্তক সারেং বৌ সােনালী মুখােশ সূর্য দীঘল বাড়ী হাঁসুলীবাকের উপকথা হাঙ্গর নদী গ্রেনেড হাজার বছর ধরে হুতােম প্যাচার নকশা

গল্পগ্রন্থ/প্রবন্ধ


অবরােধবাসিনী আত্মজা ও একটি করবী গাছ কমলাকান্তের দপ্তর দেশে বিদেশে শকুন্তলা আয়না অপূর্ব ক্ষমা গাে-জীবন প্রবন্ধ

প্রাচীন ও মধ্যযুগ


মঙ্গলকাব্য শূন্যপুরাণ চর্যাপদ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পদ্মাবতী লাইলী মজনু ইউসুফ জোলেখা মৈমনসিংহ গীতিকা

গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক


মাইকেল মধুসূদন দত্ত মীর মশাররফ হােসেন

ব্যাকরণ অংশ


ধ্বনিতত্ত্ব ধ্বনির পরিবর্তন বর্ণ ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব সন্ধি







Test yourself

Level-one


ভাষা আলোচ্য বিষয় ধ্বনি বর্ণ ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব সন্ধি-01 সন্ধি-02 সন্ধি-03 সন্ধি-04 সন্ধি-05 পুরুষ ও স্ত্রী বাচক শব্দ দ্বিরুক্ত শব্দ সংখাবাচক শব্দ বচন পদাশ্রিত নির্দেশক সমাস সমাস সমাস সমাস সমাস উপসর্গ-০১ উপসর্গ-০২ উপসর্গ ধাতু প্রত্যয় শব্দ শব্দের শ্রেণিবিভাগ পদ প্রকরণ ক্রিয়া পদ ক্রিয়ার প্রয়োগ কাল,পুরুষ বাংলা অনুজ্ঞা ক্রিয়া বিভক্তি কারক ও বিভক্তি-01 কারক ও বিভক্তি-02 অনুসর্গ বাক্য প্রকরণ বাক্যর শ্রেণিবিভাগ বাক্যর পদ-সংস্থাপন ক্রম শব্দের যোগ্যতা বাচ্য ও বাচ্য পরিবর্তন উক্তি পরিবর্তন বিরাম চিহ্ন ছন্দ ও অলংকার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ বানান ও বাক্য শুদ্ধি সমার্থক শব্দ বিপরীতার্থক শব্দ পরিভাষা একই শব্দ বিভিন্ন অর্থে প্রয়োগ বাগধারা-০১ বাগধারা-০২ বাগধারা-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০১ এক কথায় প্রকাশ-০২ এক কথায় প্রকাশ-০৩ এক কথায় প্রকাশ-০৪ এক কথায় প্রকাশ-০৫ প্রবাদ-প্রবচন অনুবাদ










মাইকেল মধুসূদন দত্ত



মাইকেল মধুসূদন দত্ত


মাইকেল মধুসূদন দত্ত উনবিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক যিনি রাজনারায়ণ দত্ত ও জাহ্নবী দেবীর ঘরে ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কপােতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷

তিনি একাধারে বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি ও প্রথম মহাকবি, অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ও নাট্যকার, প্রথম প্রহসন রচয়িতা, বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃৎ, প্রথম পত্র কাব্যকার,বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য রচয়িতা এবং তিনি ছিলেন বহুভাষাবিদ। তার ছদ্মনাম Timothy Penpoem।


মাইকেল মধুসূদন দত্তের শিক্ষা জীবন


মা জাহ্নবী দেবীর কাছেই শিক্ষা জীবনের হাতে-কড়ি মাইকেল মধুসূদন দত্তের। তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্তকে পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত, প্রভৃতির সঙ্গে সুপরিচিত করে তোলেন।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন পাশের গ্রামের শেখপুরা মসজিদের ইমাম মুফতি লুৎফুল হকের কাছে। মুফতি লুৎফুল হকের কাছে তিনি বাংলা, ফারসি ও আরবি বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন।সাগরদাঁড়ি গ্রামেই মধুসূদনের বাল্যকাল কাটে।

তিনি তেরো বছর বয়সে কলকাতায় আসেন। এখানে স্থানীয় একটি কলেজে কিছুদিন পড়ার পর তিনি ভর্তি হন তদনীন্তন হিন্দু কলেজে বর্তমানে (প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন। মেধাবী হওয়াই কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ডি. এল. রিচার্ডসনের প্রিয় ছাত্র হয়ে ওঠেন মধুসূদন।মধুসূদনের মনে কাব্যপ্রীতি সঞ্চারিত করেছিলেন তিনিই।

কলেজে পড়ার সময় মধুসূদনের বন্ধু সহপাঠী ছিলেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রাজনারায়ণ বসু, গৌরদাস বসাক, প্যারীচরণ সরকার প্রমুখ। তারা ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিকট মধুসূদন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। এরপর ওই বছরই ১৩ ফেব্রুয়ারি মিশন রো-তে অবস্থিত ওল্ড মিশন চার্চ নামে এক অ্যাংলিক্যান চার্চে গিয়ে তিনি খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন ১৮৪৩ সালে। ১৮৪৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মিশন রো-তে অবস্থিত ওল্ড মিশন চার্চ নামে এক অ্যাংলিক্যান চার্চে গিয়ে তিনি খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন।

ডিলট্রি নামের এক পাদ্রী তাকে "মাইকেল" উপাধি দেন। তখন থেকেই মধুসূদন হয়ে যান মাইকেল মধুসূদন দত্ত।ধর্ম ত্যাগ করাতে সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তার বাবা তাকে ত্যাজ্য করেন।ধর্ম ত্যাগ করার পর মধুসূদন পরাশোনা ছালিয়ে যান শিবপুরের বিশপস কলেজ থেকে।এখানে তিনি গ্রিক,লাতিন,সংস্কৃত ভাষা শিখে ছিলেন।ত্যাজ্য করলে মধুসূদনের বাবা তাকে চার বছর পড়াশোনার খরচ দেন।চার বছর পর কোলকাতায় কোনো চাকরী না পেয়ে তিনি বন্ধুদের সাথে মাদ্রাজে পাড়ি জমান।


মাইকেল মধুসূদন দত্তের কর্ম জীবন


মাদ্রাজে গিয়েও তিনি উল্লেখযোগ্য কোনো চাকরী পাননি। স্থানীয় লোকদের সাহায়তায় একটি ইংরেজী স্কুলে চাকরী পান। তবে যা বেতন পেতেন তা দিয়ে তার দৈনন্দিন খরচ মেটানো যেতো না। পাশাপাশি শুরু করেছিলেন মাদ্রাজ ক্রনিকল পত্রিকায় ছদ্মনামে লেখালিখি।হিন্দু ক্রনিকল নামে একটি পত্রিকাও চালু করেছিলেন যদিও অর্থাভাবে কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যায়। পঁচিশ বছর বয়সেই লিখতে শুরু করেন তার প্রথম কাব্য “ক্যাপটিভ লেডি” যা তাকে এনে দেয় কবি ও দক্ষ ইংরেজি লেখকের সুনাম।


মাইকেল মধুসূদন দত্তের দাম্পত্য জীবন


মাদ্রাজে আসার পর “রেবেকা ম্যাকটিভিস” নামের এক যুবতির সাথে মাইকেল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন যা মাত্র আট(৮) বছর স্থায়ী হয়েছিল।তাদের সংসারে ছিল দুই ছেলে ও দুই মেয়ে।

“রেবেকা ম্যাকটিভিস”-এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর মাইকেল বিয়ে করেন “এমিলিয়া হেনরিয়েটা সোফিয়া ” নামের এক ফরাসী তরুণীকে।

তার লেখা প্রথম বই এর এক কপি বন্ধু গৌরদাস বসাককে উপহার পাঠান। গৌরদাস বসাক এই কপি ই ডি বেথুন কে উপহার দেন।বই পড়ে মুগ্ধ হন বেথুন এবং মাইকেল কে দেশে ফিরে এসে বাংলায় কাব্য রচনা করতে বলেন। কাউকে সাথে না নিয়েই মাইকেল ১৮৫৬ সাথে কলকাতায় ফিরে আসেন।


মাইকেল মধুসূদন দত্তের ফ্রান্সে অবস্থান


মাইকেল মধুসূদন দত্ত আইন পড়তে ইংল্যান্ডে গিয়ে ছিলেন কিন্তু সেখানের আবাহাওয়া এবং বরণবাদিতার কারণে তিনি ইংল্যান্ড ত্যাগ করেন।
১৮৬০ সালে মধুসূদন চলে জান ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে। তখন তার আর্থিক অবস্থা ছিলো খুব খারাপ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর সহায়তায় তিনি পড়শোনা শেষ করে কোলকাতায় আসেন। কোলকাতায় এসে তিনি তেমন কিছুই করেননি।অবশেষে আর্থিক অভাবে মারা যান।


মাইকেল মধুসূদন দত্তের ভাষাগত দক্ষতা


মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বহু ভাষাবিদ। শিশু কালে ফারসি ভাষায় শিক্ষা লাভের মাধ্যমে শুরু হয় তার ভাষা শিক্ষার শুরু। এর পর একে একে শিক্ষা লাভ করেন ১২টি ভাষা। ইংরেজি ছাড়াও তেলেগু, ল্যাটিন,তামিল , গ্রিক, ফারসি, হিব্রু, ইত্যাদি ভাষায় অনায়াসে কথা বলতে পারতেন। তিনি এমনকি ফারসি ও ইতালীয় ভাষায় কবিতাও লিখতে পারতেন।


মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্য জীবনের অনুপ্রেরণা


ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের সাহিত্য কর্ম এবং তাঁর জীবন দ্বারা প্রভাবিত হন বাংলা ভাষার এই খ্যাতিমান লেখক। তার প্রথম মহাকাব্য মেঘনাদ বধ তাকে একদিনেই খ্যাতির শীর্ষে পৌছে দেয়নি। তিনি একদিন বলে ছিলেন “আমি এক সকালে উঠে নিজেকে সফল হিসেবে পাই নি, এই কাব্যের সফলতা বহু বছরের কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে”



মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যকর্ম


মাইকেল মধুসূদন দত্ত একজন নাট্যকার হিসেবেই সাহিত্যে পদার্পণ রাখেন। রত্নাবলী নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করতে গিয়ে তিনি বাংলা নাটকের অভাব বোধ করেন যা থাকে নাটক রচনায় উৎসাহ যোগায়।

এর পরেই তিনি রচনা করেন বাংলা ভাষার প্রথম মৌলিক নাটক “শর্মিষ্ঠা”। ১৮৬০ সালে রচনা করেন বিখ্যাত দুটি প্রহসন
১। একেই কি বলে সভ্যতা' এবং
২। 'বুড় শালিকের ঘাড়ে রোঁ
একই সালে রচনা করে 'পদ্মাবতী' নাটক এবনং 'তিলোত্তমাসম্ভব' কাব্য । 'পদ্মাবতী' নাটকেই তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন। 'তিলোত্তমাসম্ভব' কাব্য ও লেখেন অমিত্রাক্ষরে । এরপর একের পর এক রচনা করতে থাকেন
'মেঘনাদ বধ কাব্য' (১৮৬১) নামে মহাকাব্য,
'ব্রজাঙ্গনা' কাব্য (১৮৬১),
'কৃষ্ণকুমারী' নাটক (১৮৬১),
'বীরাঙ্গনা' কাব্য (১৮৬২),
চতুর্দশপদী কবিতা (১৮৬৬)



মহাকাব্য:

মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১ খ্রি.) : বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য। এটি আধুনিক বাংলা সাহিত্যে প্রথম কাব্যও বটে।



কাব্যগ্রন্থ

The captive Ladie (১৮৪৯) : ইংরেজিতে লেখা তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ
Vision of the Past,
তিলােত্তমাসম্ভব (১৮৬০ খ্রি.) : বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম গ্রন্থ। এটি একটি কাহিনী কাব্য। ‘পদ্মাবতী’ নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কে সর্বপ্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রথম প্রয়ােগ করলেও তিলােত্তমাসম্ভব কাব্যগ্রন্থই প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ।
ব্রজাঙ্গনা (১৮৬১) : রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক বৈষ্ণব পদাবলির আধুনিক পরিণতি।
বীরাঙ্গনা (১৮৬২) : বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য। এতে ১১টি পত্র আছে।
সনেট: চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৬) : বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট সংকলন। তিনি ইতালীয় কবি পেত্রার্ক ও শেক্সপীয়রের অনুকরণে এসব সনেট রচনা করেন। এ কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযােগ্য কবিতা - বঙ্গভাষা, কপােতাক্ষ নদ, আশা প্রভৃতি।


বঙ্গভাষা

হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;-
তা সবে (অবােধ আমি!) অবহেলা করি,
পর-ধন-লােভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
আরো পড়ুন ...



কপােতাক্ষ নদ

সতত হে নদ, তুমি পড় মাের মনে।
সতত তােমার কথা ভাবি এ বিরলে।
বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,
কিন্তু সে স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার চলে?
আরো পড়ুন ...


বঙ্গভূমির প্রতি

জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে,
চিরস্থির কবে নীর, হায় রে, জীবন-নদে?
রসাল ও স্বর্ণলতিকা
উধ্বশির যদি তুমি কুল মনে ধনে;
করিওনা ঘৃণা তব নীচ শির জনে।
আরো পড়ুন ...



নাটক

শর্মিষ্ঠা (১৮৫৮ খ্রি.) : বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক । নাটকটির প্রস্তাবনা- অলীক কুনাট্যরঙ্গে, মজে লােক রাঢ়ে বঙ্গে নিরখিয়া প্রাণে নাহি সয়।
পদ্মাবতী (১৮৬০ খ্রি.) : বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক কমেডি।
মায়াকানন (১৮৭৪):
কৃষ্ণকুমারী (১৮৬১ খ্রি.) : বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি। এটি তার শ্রেষ্ঠ নাটক। চরিত্র: ভীমসিং, বিলাসবতী



প্রহসন

বুড়াে শালিকের ঘাড়ে রো (১৮৬০ খ্রি.) : বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রহসন । প্রধান চরিত্র - ভক্তপ্ৰসাদ বাবু।
একেই কি বলে সভ্যতা (১৮৫৯ খ্রি.) :



অনুবাদ গ্রন্থ


হেক্টরবধ (১৮৭১) : হােমারের ‘ইলিয়াড’এর বাঙ্গানুবাদ। অসমাপ্ত গ্রন্থটি ১৮৭১ সালে প্রকাশিত হয়।


একনজরে মাইকেল মধুসূদন দত্ত


✔ ১৮২৪ সালের (২৫ জানুয়ারি যশাের জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷
✔ বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের রূপকার, প্রথম সার্থক নাট্যকার, প্রথম প্রহসন রচয়িতা, প্রথম পত্র কাব্যকার—মধুসূদন দত্ত।
✔ বাংলা সাহিত্যে সনেটের জনক ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য রচয়িতা—মধুসূদন দত্ত।
✔ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ইংরেজি কবিতা লিখতেন যে ছদ্মনামে— Timothy Penpoem
✔ মধুসূদন খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত হন— ১৮৪৩ সালের(৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯ বছর বয়সে।
✔ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৪৮ সালের ৩১ জুলাই প্রথম বিয়ে করেন_রেবেকা টমসনকে (বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে ১৮৫৫ সালে)।
✔ তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন ১৮৫৬ সালে অধ্যাপক কন্যা আঁরিয়েতাকে হেনরিয়েটা।
✔ মধুসূদন দত্ত ইউরােপ গমন করেন— ১৮৬২ সালে এবং স্বদেশ অভিমুখে যাত্রা করেন—৫ জানুয়ারি ১৮৬৭ (কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন ফেব্রুয়ারি ১৮৬৭)।
✔ মধুসূদন দত্ত 'নীলদর্পণ’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন_১৮৬১ সালে।
✔ মধুসূদন রচিত ও প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ— The Captive Lady (১৮৪৯; কাব্যগ্রন্থ)।
✔ মধুসূদন অমিত্রাক্ষর ছন্দের সর্বপ্রথম প্রয়ােগ ঘটান- ‘পদ্মাবতী’ নাটকে (তবে সফল প্রয়ােগ ঘটান তিলােত্তমাসম্ভব’ কাব্যে)।
✔ মাইকেল মধুসূদন রচিত ‘তিলােত্তমাসম্ভব কাব্য’– বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
রামায়ণ’-এর কাহিনি অবলম্বনে মধুসূদন রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য— ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ । [করুণ রসের অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’র সর্গ সংখ্যা ৯টি, যেখানে তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত।]
✔ বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য– বীরাঙ্গনা’ (এটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত)।
✔ মাইকেল মধুসূদন রচিত ব্রজাঙ্গনা কাব্য যে ছন্দে রচিত—অমিত্রাক্ষর।
✔ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট সংকলন— 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী’। এতে ১০২টি কবিতা সংকলিত হয়েছে।
✔ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট কবিতা— বঙ্গভাষা।
✔ সনেটে অষ্টক ও ষটক নামে—দুটি অংশ থাকে।
✔ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক— শর্মিষ্ঠা' (মধুসূদন রচিত ও প্রকাশিত প্রথম বাংলা গ্রন্থ)।
✔ গ্রিক পুরাণের Apple of Discord অবলম্বনে তিনি রচনা করেন— ‘পদ্মাবতী’ নাটক।
✔ মধুসূদন দত্ত 'নীলদর্পণ’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন_১৮৬১ সালে।
✔ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’ (রচয়িতা মাইকেল মধুসূদন দত্ত)।
✔ তার রচিত সর্বশেষ বিয়ােগান্ত নাটক ‘মায়াকানন।
✔ এ মধুসূদন দত্ত রচিত দুটি প্রহসন— 'একেই কি বলে সভ্যতা’ (১৮৫৯) এবং বুড়াে শালিকের ঘাড়ে রোঁ'।
✔ মধুসূদন দত্ত মৃত্যুবরণ করেন- ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন, কলকাতার আলিপুর হাসপাতালে।




মাইকেল মধুসূদন দত্ত: মডেল প্রশ্ন


প্রশ্ন : মধুসূদন দত্তের জন্মতারিখ কত?
উত্তর : ২৫শে জানুয়ারি, ১৮২৪।

প্রশ্ন : তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : সাগরদাড়ি, যশাের।

প্রশ্ন : মধুসূদনের পিতার নাম কী?
উত্তর : রাজনারায়ণ দত্ত ।

প্রশ্ন: মাইকেল মধুসূদনের বন্ধুর নাম কী?
উত্তর : রাজনারায়ণ বসু।

প্রশ্ন : বাংলা ভাষায় অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক কে?
উত্তর : মধুসূদন।

প্রশ্ন : মাইকেল’ কী?
উত্তর : ইংরেজিতে ‘মাইকেল’ (michael) শব্দটি হিব্রু ‘মিখাইল' (mikhael) শব্দ থেকে এসেছে। কে ঈশ্বর পছন্দ করেন? —এমন প্রশ্নের উত্তর ছিল: মাইকেল’ । ইংরেজিভাষী খ্রিষ্টানদের কেউ কেউ নামের আগে ‘মাইকেল ব্যবহার করেন। সে সূত্রেই ধর্মান্তর গ্রহণের পর মধুসূদনের নামের আগে ‘মাইকেল ব্যবহৃত হয় ।

প্রশ্ন : তিনি মূলত কী ছিলেন?
উত্তর : কবি ও নাট্যকার ।

প্রশ্ন : তিনি কোন কোন ভাষায় দক্ষ ছিলেন?
উত্তর : বাংলা, ইংরেজি, গ্রিক, ল্যাটিন, সংস্কৃত, হিব্রু, পারসি, জার্মান, ইটালিয়ান, তামিল

প্রশ্ন : তাঁর রচিত ও প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : Captive Ladie (১৮৪৯; ইংরেজিতে লেখা)। (Captive অর্থ বন্দি)।

প্রশ্ন : মধুসূদন রচিত ও প্রকাশিত প্রথম বাংলা গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯) নাটক ।

প্রশ্ন : তাঁর রচিত প্রহসনগুলাের নাম কী?
উত্তর : একেই কি বলে সভ্যতা (১৮৬০) ও বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০)।

প্রশ্ন : তিনি আর কী কী বাংলা নাটক রচনা করেন?
উত্তর : পদ্মাবতী (১৮৬০), কৃষ্ণকুমারী (১৮৬১)।

প্রশ্ন : বীরাঙ্গনা কাব্য গ্রন্থের পরিচয় দাও।
উত্তর :‘বীরাঙ্গনা কাব্য' (১৮৬২) পত্রকাব্য । পত্রাকারে এ ধরনের কাব্য বাংলা সাহিত্যে এটাই প্রথম। রােমান কবি পাবলিসাস ওভিডিয়াস ন্যাসসা সংক্ষেপে ওভিদের ‘হেরােইদাইদস' কাব্যের অনুসরণে এই গ্রন্থ রচিত । এখানে মােট এগারটি পত্র আছে । দুষ্মন্তের প্রতি শকুন্তলা, দশরথের প্রতি কৈকেয়ী, সােমের প্রতি তারা, নীলধ্বজের প্রতি জনা প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। পৌরাণিক নারীরা মধুসূদনের হাতে যেন আধুনিক মানুষ হিসেবে পুনর্জাগরিত হয়ে নিজেদের প্রণয়-কামনা ইত্যাদি প্রকাশ করতেও কুণ্ঠিত নয় । এই গ্রন্থ রচনার জন্য সমকালে মধুসূদন নিন্দিত হয়েছিলেন ।

প্রশ্ন : কৃষ্ণকুমারী’ কোন জাতীয় নাটক?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক ।

প্রশ্ন : তাঁর রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক গীতিকাব্যের নাম কী?
উত্তর : ব্রজাঙ্গনা (১৮৬১)।

প্রশ্ন : ব্রজাঙ্গনা কাব্যে কোন শ্রেণির কবিতা সংকলিত হয়েছে? কবি কাব্যটিকে কয় খণ্ডে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করেছিলেন? এই কাব্যে রাধা সম্পর্কে কবি কী বলেছেন?
উত্তর : ব্রজাঙ্গনা কাব্যের কবিতাগুলি ওড (ode)-জাতীয় গীতিকবিতা । মধুসূদন কাব্যটিকে দুই খণ্ডে বিভক্ত করে রচনার পরিকল্পনা করেছিলেন, বিরহ ও মিলন। তবে ‘মিলন’ খণ্ডটি তিনি লিখে যেতে পারেন নি। এই কাজে রাধা সম্পর্কে মধুসূদন বলেছেন রাধা হলেন ‘Poor Old Mrs. Radha of Braja'. (ব্রজের হতভাগিনী নায়িকা রাধা)

প্রশ্ন : মাইকেল মধুসূদন দত্তের উল্লেখযােগ্য গ্রন্থগুলির নাম ও প্রকাশকাল লেখ।
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্তের উল্লেখযােগ্য গ্রন্থগুলি হল : শর্মিষ্ঠা- প্রকাশকাল ১৮৫৯, বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রো-প্রকাশকাল ১৮৬০, একেই কী বলে সভ্যতা?-প্রকাশকাল ১৮৬০, পদ্মাবতী- প্রকাশকাল ১৮৬০, তিলােত্তমাসম্ভব কাব্য-প্রকাশকাল ১৮৬০, মেঘনাদবধ কাব্য-প্রকাশকাল ১৮৬১, কৃষ্ণকুমারী- প্রকাশকাল ১৮৬১, বীরাঙ্গনা কাব্য-প্রকাশকাল ১৮৬২, ইংরেজি গ্রন্থ : The Captive Ladie-১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দ।

প্রশ্ন : মধুসূদন কেন বাংলা নাটক রচনায় ব্রতী হয়েছিলেন?
উত্তর : মধুসূদন দেখেছিলেন বাংলায় মৌলিক নাটক রচনার অভাব রয়েছে । ইংরেজি ও সংস্কৃত নাটকের অক্ষম অনুবাদ ধনী জমিদারদের শৌখিন রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হতো। তাই মধুসূদন বলেছিলেন- “অলীক কুনাট্যরঙ্গে মজে রাঢ়েবঙ্গে/নিরখিয়া প্রাণে নাহি সয় ।” তাই তিনি নিজে বাংলা নাটক লেখায় হাত দেন এবং তার নাটক মঞ্চস্থ হলে অসাধারণ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে ।

প্রশ্ন : তিনি বাংলা কাব্য সাহিত্যে কীসের লােক স্রষ্টা?
উত্তর : অমিত্রাক্ষর ছন্দের ।

প্রশ্ন : বাংলা ভাষায় কী রচনায় তাঁর কৃতিত্ব প্রথম?
উত্তর : চতুর্দশপদী কবিতাবলি (১৮৬৬); সনেট।

প্রশ্ন : তিনি কার অনুকরণে চতুর্দশপদী কবিতাবলি বা সনেট রচনা করেন?
উত্তর : ইতালীয় কবি পেত্রার্ক এবং শেকসপিয়র।

প্রশ্ন : তিনি হােমারের ‘ইলিয়াড'-এর উপাখ্যান অবলম্বন করে বাংলা গদ্যে কী রচনা করেন?
উত্তর : হেক্টরবধ (১৮৭১)।

প্রশ্ন : ‘হেক্টরবধ’ গ্রন্থের পরিচয় দাও।
উত্তর : ‘হেকটরবধ’ (১৮৭১) হােমারের ‘ইলিয়াড' মহাকাব্যের প্রথম কয়েকটি সর্গের গদ্যে রচিত বঙ্গানুবাদ। মধুসূদন রচনাটি ১৮৬৭তে শুরু করেন কিন্তু অসমাপ্ত অবস্থাতেই ১৮৭১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তা প্রকাশিত হয়। হােমারের রচনা মূল গ্রিক থেকে বাংলায় অনুবাদের এটিই প্রথম প্রচেষ্টা। গ্রন্থটি ভূদেব মুখােপাধ্যায়কে উৎসর্গ করা হয়েছিল ।

প্রশ্ন : মধুসূদনের প্রপিতামহের নাম কী?
উত্তর : রামকিশাের দত্ত।

প্রশ্ন : মধুসূদন কবে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন?
উত্তর : ১৮৪৩ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি । তাঁর বয়স তখন ১৯ বৎসর।

প্রশ্ন : তিনি মাদ্রাজের উদ্দেশ্যে কলকাতা ত্যাগ করেন কত বছর বয়সে?
উত্তর : ২৪ বৎসর বয়সে।

প্রশ্ন : মধুসূদন রেবেকা মেকটাভিসকে কত তারিখে বিয়ে করেন?
উত্তর : ১৮৪৮ সালের ৩১শে জুলাই।

প্রশ্ন : মধুসূদন কীভাবে অধ্যয়ন করে ভাষা শিখেছেন?
উত্তর : সকালে দুঘণ্টা পড়েন হিব, দুপুরের পর দুঘণ্টা গ্রিক, বিকেলে তিন ঘণ্টা তেলেগু ও সংস্কৃত, সন্ধ্যে বেলায় দুঘণ্টা ল্যাটিন আর রাতের বেলায় তিন ঘণ্টা ইংরেজি- মােট বারাে ঘণ্টা।' (সূত্র: গােলাম মুরশিদ রচিত ‘আশার ছলনে ভুলি’, পৃ. ১২১)

প্রশ্ন : মধুসূদন সম্পাদিত (মাদ্রাস থেকে প্রকাশিত) পত্রিকাগুলাের নাম:
উত্তর : Eurasian এবং Madras Hindu Chronicle. সহকারী সম্পাদক হিসেবে: Madras Spectator.

প্রশ্ন : মধুসূদনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ জীবনীগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : যােগীন্দ্রনাথ বসু রচিত 'মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনচরিত' (১৮৯৩)।

প্রশ্ন : মধুসূদনের সৃষ্টির মাহেন্দ্রক্ষণ বলা হয় কোন সময়কে?
উত্তর : মাদ্রাজ থেকে ১৮৫৬ সালের প্রথম দিকে কলকাতায় ফিরে ১৮৬২ সালের মাঝামাঝি সময়ে মধুসূদনের বিলেত গমনের পূর্ব পর্যন্ত ।

প্রশ্ন : এমেলিয়া হেনরিয়েটা সঙ্গে কবির সম্পর্ক কী?
উত্তর : বিবাহিত মধুসূদনের সঙ্গে হেনরিয়াটার প্রণয় ছিল। কবি ১৮৫৬ সালে মাদ্রাজ থেকে কলকাতায় এলে রেবেকা ও তাদের চার সন্তানের সঙ্গে মধুসূদনের সংযােগ বিচ্ছিন্ন হয়। কবি রেবেকাকে আনুষ্ঠানিক ডিভাের্স দেন নি। এ সময় মাদ্রাজ থেকে কবির আহ্বানে হেনরিয়েটা কলকাতায় আসেন এবং স্বামী-স্ত্রীর মতাে তারা বসবাস করেন। হেনরিয়েটার সঙ্গে কবির ধর্মমতে বা অন্য কোনােভাবে বিয়ে হয় নি। (সূত্র: ‘আশার ছলনে ভুলি')।

প্রশ্ন : ১৮৬২ সালে কেন মধুসূদন ইংল্যান্ড যান?
উত্তর : ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ।

প্রশ্ন : তিনি কি ব্যারিস্টার হতে পেরেছিলেন?
উত্তর : তিনি ব্যারিস্টার হয়ে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। তবে আইন পেশায় ভালাে করতে পারেন নি ।

প্রশ্ন : মাইকেল মধুসূদনের কাব্য ও সাহিত্য রচনার সময়সীমা কত?
উত্তর : সাত বছর ।

প্রশ্ন : মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোন কলেজ থেকে বহিস্কৃত হন?
উত্তর : হিন্দু কলেজ (এখন কলেজটির নাম প্রেসিডেন্সি কলেজ) ।

প্রশ্ন : মাইকেলের রচিত পত্রকাব্য গ্রন্থ কোনটি?
উত্তর : বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২)।

প্রশ্ন : শর্মিষ্ঠা মধুসূদনের উল্লেখযােগ্য নাটক কেন?
উত্তর : শর্মিষ্ঠা' মধুসূদন দত্তের প্রথম প্রকাশিত বাংলা নাটক ৷ কলকাতার পাইকপাড়ার রাজাদের অনুপ্রেরণায় বেলগাছিয়া থিয়েটারের জন্য মধুসূদন দত্ত ১৮৫৮ সালে নাটকটি রচনা করেন। ১৮৫৯ সালের জানুয়ারি মাসে রাজাদের অর্থানুকূল্যে শর্মিষ্ঠা' প্রকাশিত ও ১৮৫৯ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর সেটা বেলগাছিয়া থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়। পাশ্চাত্যরীতিতে বাংলা নাটক রচনার চেষ্টা এই নাটকের মধ্যে বিশেষভাবে সফলতা পায় । মধুসূদন পরে ‘শর্মিষ্ঠা’র ইংরেজি অনুবাদও করেন । এই নাটক রচনায় পুরাণের কাহিনি অবলম্বন করা হয়েছে। উল্লেখযােগ্য চরিত্র: যাতি, দেবযানী, শর্মিষ্ঠা, মাধব্য, পূর্ণিমা, রাজমন্ত্রী প্রমুখ ।

প্রশ্ন : মধুসূদন দত্তকে কী বলা হয়?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি । কারণ সাহিত্যিক ও সামাজিক বিদ্রোহ তিনিই প্রথম করেন ।

প্রশ্ন : তিনি কোথায় প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়ােগ করেন।
উত্তর : পদ্মাবতী নাটকে (দ্বিতীয় অঙ্ক দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)

প্রশ্ন : মধুসূদন পােশাকে বিদ্রোহী কীভাবে?
উত্তর : মধুসূদন বাঙালি হিন্দু বা মুসলিমের পােশাকের পরিবর্তে বাঙালিদের মধ্যে প্রথম পাশ্চাত্য পােশাক হিসেবে প্যান্ট- কোট-টাই পরেন।

প্রশ্ন : মধুসূদনের অসম্পূর্ণ নাটকের নাম কী?
উত্তর : সুলতানা রিজিয়ার বীরত্বপূর্ণ কাহিনি নিয়ে ইংরেজি অসম্পূর্ণ নাটক রিজিয়া ।

প্রশ্ন : মধুসূদন আর একটি মহাকাব্য লিখতে চেয়েছিলেন কোন কাহিনি নিয়ে?
উত্তর : কারবালার কাহিনি।

প্রশ্ন : মধুসূদন দত্তের অবদান সম্পর্কে এক বাক্যে কী বলা যায়?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী লেখক; প্রথম আধুনিক কবি; প্রথম আধুনিক নাট্যকার; অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক; বাংলা সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতার প্রথম রচয়িতা; সার্থক ট্রাজেডির প্রথম রচয়িতা; প্রথম প্রহসন রচয়িতা; পুরাণকাহিনির ব্যত্যয় ঘটিয়ে আধুনিক সাহিত্যরস সৃষ্টির প্রথম শিল্পী; পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যধারার ধরনের মহাকাব্য সংমিশ্রণে নতুন রচয়িতা ।

প্রশ্ন : জীব-তারা কোন সমাস?
উত্তর : জীবন রূপ তারা = রূপক কর্মধারয় ।

প্রশ্ন : ‘দেহ-আকাশ’ কোন সমাস?
উত্তর : দেহ রূপ আকাশ = রূপক কর্মধারয়

প্রশ্ন : তিনি কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : ২৯শে জুন, ১৮৭৩;

প্রশ্ন : মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোথায় মৃত্যুবরণ করেন-
উত্তর : কলকাতায়।


মৃত্যু


মধুসূদনের শেষ জীবন চরম দুঃখ ও দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। আইন ব্যবসায়ে তিনি তেমন সাফল্য লাভ করতে পারেন নি। তাছাড়া অমিতব্যয়ী স্বভাবের জন্য তিনি ঋণগ্রস্তও হয়ে পড়েন। ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জুন আলিপুর জেনারেল হাসপাতালে কপর্দকহীন (অর্থাভাবে) অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে কলকাতার সাক‌ুলার রোডে সমাধি দেওয়া হয়।

মহাকবি জীবনের অন্তিম পর্যায়ে জন্মভূমির প্রতি তার সুগভীর ভালোবাসার চিহ্ন রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় পংক্তিমালায়। তার সমাধিস্থলে নিচের কবিতাটি লেখা রয়েছে :

'দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম যদি তব
বঙ্গে! তিষ্ঠ ক্ষণকাল! এ সমাধি স্থলে
(জননীর কোলে শিশু লভয়ে যেমতি
বিরাম) মহীর পদে মহা নিদ্রাবৃত
দত্তকুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদন!
যশোরে সাগরদাঁড়ি কপোতাক্ষ-তীরে
জন্মভূমি, জন্মদাতা দত্ত মহামতি
রাজনারায়ণ নামে, জননী জাহ্নবী'




Go to Top
Privacy Policy Terms and Conditions Site Map About Us Contact Us