বসন্তের প্রথম দিন পহেলা ফাল্গুন হিসেবে পরিচিত। বাংলার ষড়ঋতু পরিক্রমায় সবার শেষে আসে ঋতুরাজ বসন্ত। ফাল্গুন ও চৈত্র, এ দুই মাস মিলে বসন্তকাল। শীতের শুষ্কতা আর জীর্ণতাকে ঘুচিয়ে নবীন আলোক বার্তা নিয়ে আসে ফাল্গুন। ১লা ফাল্গুন আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য দিন। এদিন সারাদেশে তারুণ্যের জোয়ার নামে। মেয়েরা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে সেজেগুজে বের হয়। মাথায় পরে রং-বেরঙের ফুলের মালা। ছেলেরাও পরে পাঞ্জাবি। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার, বিভিন্ন বয়সের মানুষ পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে বাইরে ঘুরতে বের হয়। পহেলা ফাল্গুনের উৎসব শহরেই বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে ঢাকায়। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এদিন বকুলতলায় বসন্ত উৎসব পালন করে। দেশীয় সংস্কৃতিকে ধারণ করে সারাদিন গান চলতে থাকে। এ উৎসব ছড়িয়ে যায় শাহবাগ, পাবলিক লাইব্রেরি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত। এদিন মানুষে মানুষে শুভেচ্ছা ও কুশলাদী বিনিময় হয়ে থাকে। পহেলা ফাল্গুন আমাদের উৎসব ও ঐতিহ্যপ্রিয়তারই অনন্য নিদর্শন। বাঙালির জীবনে পহেলা ফাল্গুনের গুরুত্ব তাই অপরিসীম। এটি বাঙালির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ সংস্কৃতির চেতনা আমাদের ধারণ ও লালন করতে হবে।