সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের দ্বিতীয় কাব্যনাট্য নূরলদীনের সারা জীবন' (১৯৮২)। এটি ঐতিহাসিক ঘটনা ও চরিত্র নিয়ে লেখা।
এদেশে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে তা শােষণে রূপ নেয়। কোম্পানি শাসক ও তাদের এদেশীয় সহায়ক জমিদারের অত্যাচারে প্রজাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। প্রজারা তখন বিদ্রোহী হয়। উত্তরাঞ্চলে কৃষক বিদ্রোহে নবাব নূরউদ্দীনের নেতৃত্বে প্রবল ও ব্যাপক আকার ধারণ করে। ইংরেজ সেনাবাহিনী যুদ্ধের মাধ্যমে এ বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হয়। এই ঐতিহাসিক কাহিনি অবলম্বনে নাট্যকার নূরলদীনের সারা জীবন’ কাব্যনাট্য রূপায়িত করে তুলেছেন।
এ নাটকে ইংরেজ আমলে সংঘটিত কৃষক বিদ্রোহ উপজীব্য হয়েছে। ব্রিটিশ শাসক ও জমিদার মহাজনদের হাতে নিষ্পেষিত অসহায় কৃষকদের জীবনের এক করুণ কাহিনি নিয়ে এ নাটক রচিত কৃষকদের নেতা নূরলদীন। তার ব্যক্তি জীবনের যন্ত্রণা ও দেশের ভয়াবহ অবস্থার স্বরূপ নাটকে প্রতিফলিত হয়েছে।
অতীতের নূরলদীনকে বর্তমানে উপস্থাপন করে তার বীরত্বের বর্ণনার সঙ্গে সঙ্গে তার আগমনের প্রয়ােজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত পয়ার ছন্দে বিন্যস্ত ব্যতিক্রমী এই কাব্যনাট্য বাংলা নাটকের ইতিহাসে সঞ্চার করেছে এক নতুন মাত্রা।
Be Connected with us: Facebook Page Or Join to Our Facebook Goup