ত্রিশােত্তর আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম পথিকৃৎ কবি জীবনানন্দ দাশ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর পাশ্চাত্য কাব্যরীতি আত্মস্থ করে তিনি কাব্য রচনা করলেও তিনি রূপসী বাংলার কবি হিসেবে পরিচিত জীবনানন্দ দাশের অন্যতম কাব্যগ্রন্থ বনলতা সেন' (১৯৪২)।
এ কাব্যের বনলতা সেন' কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা এবং জীবনানন্দের কবিতাগুলির মধ্যে জনপ্রিয় । ভারতীয় পুরাণের অন্তর্বয়নে যেমন বিদিশা, শ্রাবস্তী উঠে এসেছে, তেমনি বেতের ফলের মতাে বা চোখের নীড়ের মতাে উপমাগুলাে নির্মাণ করেছে নতুন কাব্যমণ্ডল। প্রেম ও প্রকৃতি, খণ্ড জীবন ও হতাশা, ক্লান্তি ও অবসাদ, ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং বর্তমানকে তন্নতন্ন করে খোজা- এসব কিছুর সমাহার ঘটেছে এ কাব্যে।
জীবনানন্দের শ্লথগতি ছন্দস্পন্দ, অভিনব শব্দ প্রয়ােগ ও অন্বয়, রূপময় ইন্দ্রিয়ালু বাকপ্রতিমাগুলি এই কাব্যকে অসামান্য মহিমা দিয়েছে। পাখির নীড়ের মতাে চোখ, শিশিরের শব্দের মতাে সন্ধ্যা, অন্ধকারের মতাে কালাে চুল ইত্যাদি অশ্রুতপূর্ব উপমা প্রয়ােগে জীবনানন্দ বাংলা সাহিত্যে বনলতা সেন' কাব্যকে বিশেষ অনবদ্যতা দান করেছেন।
বনলতা সেন', কুড়ি বছর পরে’, ‘আমি যদি হতাম’, ‘নগ্ন নির্জন হাত', হাওয়ার রাতে ও সুরঞ্জনা'- এ কাব্যের উল্লেখযােগ্য কবিতা।
Be Connected with us: Facebook Page Or Join to Our Facebook Goup