মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের একটি উল্লেখযােগ্য রােমান্টিক প্রণয়ােপাখ্যান হলাে ‘লাইলী মজনু'। ষােল শতকের কবি দৌলত উজির বাহরাম খান রচিত লায়লী মজনুর রচনাকাল নিয়ে মতভেদ আছে।
আহমদ শরীফের মতে, ১৫৪৩-১৫৫৩; ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, ১৬৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রচিত। বাহরাম খান চট্টগ্রাম-অধিপতি নিজাম শাহ সুরের রাজত্বকালে বর্তমান ছিলেন।
লায়লী-মজনু কাব্য পারসি কবি জামির (মৃত্যু ১৪৯২ খ্রিষ্টাব্দে) লায়লী-মজনু' কাব্যের ভাবানুবাদ। এ প্রণয়ােপাখ্যানের মূল উৎস আরবি লােকগাঁথা। তবে কাহিনিতে স্বাধীন কল্পনা ও উপস্থাপনায় কবি প্রচুর সংস্কৃত শব্দ, উপমা, রূপক সৃষ্টি করেছেন। গ্রন্থটি আদি রসাত্মক। আধ্যাত্মিকতার চেয়ে মানবিক প্রবৃত্তি প্রাধান্য পেয়েছে।
আমির- পুত্র কায়েস বাল্যকালে বণিক-কন্যা লায়লীর প্রেমে পড়ে মজনু বা পাগল নামে খ্যাত হয়। লায়লীও মজনুর প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করে। কিন্তু উভয়ের বিবাহে আসে প্রবল বাধা; ফলে মজনু পাগলরূপে বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে থাকে।
অন্যদিকে লায়লীর অন্যত্র বিয়ে হলেও তার মন থেকে মজনু সরে যায়নি। তাদের দীর্ঘ বিরহজীবনের অবসান ঘটে করুণ মৃত্যুর মাধ্যমে।
এই মর্মস্পর্শী বেদনাময় কাহিনি অবলম্বনেই লায়লী-মজনু কাব্য রচিত।
Be Connected with us: Facebook Page Or Join to Our Facebook Goup