আধুনিক যোগাযোগের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নাম ইন্টারনেট। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। টেলিকমিউনিকেশন অবকাঠামো ব্যবহার করে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলো ইন্টারনেট। বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে বহুল আলোচিত ও সবচেয়ে গতিশীল যোগাযোগ ব্যবস্থা এটি। ইন্টারনেটকে বলা হয় নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেটের অবদানের ফলে এক যুগ আগে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যা ছিল অসম্ভব বা অকল্পনীয়, বর্তমানে তা চোখের পলকে সাধিত হচ্ছে। তথ্য আদান-প্রদান থেকে শুরু করে বিশ্বের সকল প্রান্তের মানুষের সাথে আড্ডা, সম্মেলন, শিক্ষা, বিপণন, অফিস ব্যবস্থাপনা, বিনোদন ইত্যাদি ইন্টারনেটের সাহায্যে করা যাচ্ছে। মাল্টিমিডিয়ার বিকাশের সাথে সাথে প্রতিদিন এর সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হচ্ছে। এক দেশের মানুষ ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্য দেশের চিকিৎসকের নিকট থেকে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এক দেশে বসে অন্য দেশে জিনিসপত্র কেনাকাটা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ঘরে বসেই কোনো শিক্ষার্থী বিশ্বের বড় বড় লাইব্রেরির শ্রেষ্ঠ বইগুলো পড়তে পারছে। অল্প খরচে পৃথিবীর এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে। মানুষ তার জীবনকে অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করতে সক্ষম হচ্ছে ইন্টারনেটের কল্যাণেই। বাংলাদেশও এই প্রযুক্তিতে পিছিয়ে নেই। ইন্টারনেটের প্রতি মানুষের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ব্যবহারে শিক্ষা, অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে আসছে আধুনিকতা। মোটকথা, ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও যোগাযোগে সেতুবন্ধ সৃষ্টি করেছে।