শিক্ষা প্রতিটি মানুষের জন্মগত মৌলিক অধিকার। এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়ের সমান অংশীদারিত্ব রয়েছে। নারী ও পুরুষ সমাজ নামক দেহের দুইটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। নারী শিক্ষিত হলে পরবর্তী প্রজন্মও শিক্ষিত হয়ে গড়ে ওঠে। তাই নেপোলিয়ন বলেছেন, “আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি দেব।” বর্তমানে বাংলাদেশে নারী শিক্ষার যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছে। দেশের উন্নতিতে পুরুষের পাশাপাশি এখন নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সবার জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা থাকলেও মাধ্যমিক পর্যায়ে শুধু মেয়েদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত নারী শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে। নারী শিক্ষায় অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্যে সরকারের এ পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। শিক্ষকতায় এর মধ্যে ৬০ ভাগ শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেশাগত শিক্ষায় এখন নারীর অংশগ্রহণ ৩৮ শতাংশ। সরকারের নানা উদ্যোগে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে বাংলাদেশ ‘রোল মডেল’ হিসেবে কাজ করছে। নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ তুলনামূলক অগ্রগতি সাধন করলেও সার্বিক দিক বিবেচনায় তা এখনও পর্যাপ্ত নয়। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে নারী শিক্ষার প্রসারে। তবেই দেশ ও জাতির যথাযথ অগ্রগতি সাধিত হবে। [কু. বো. ১৫]