বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে প্রকৃতি যখন নির্জীব হয়ে ওঠে তখন বর্ষা আসে প্রাণস্পন্দন নিয়ে। বর্ষণমুখর দিনে অনুভ‚তিপ্রবণ মানুষ আরও বেশি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। বর্ষণস্নাত দিন এক মিশ্র অনুভ‚তি সৃষ্টি করে মানুষের মনে। এদিনে মানুষ ও প্রকৃতি যেন একে অপরের মাঝে বিলীন হয়ে যায়। প্রতিটি মানুষের কাছেই এদিনটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। তপ্ত তৃষিত পৃথিবীর বুকে বৃষ্টির স্পর্শ জাগায় রোমাঞ্চকর অনুভ‚তি। মানুষের মনেও তার প্রভাব পড়ে। প্রকৃতির বৃষ্টিস্নাত রূপ মানুষকে আবেগাপ্লুত করে তোলে। বর্ষণমুখর দিনে মানুষের মাঝে অজানা এক আলস্য এসেও যেন ভর করে। কোনো কাজ-কর্মে মন বসে না। বাইরে যেতেও ইচ্ছা করে না কারও। এ দিন ঘরে থেকে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যেতেই মন চায় অধিকাংশ মানুষের। আর তার সাথে যদি খাবার হিসেবে থাকে গরম খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ তবে তো কথাই নেই। বর্ষণমুখর দিনে আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। আকাশ কালো করে যখন চারদিক ছাপিয়ে বৃষ্টি নামে তখন প্রত্যেক মানুষের মনে এক শীতল অনুভ‚তির সৃষ্টি হয়। মাঠে-ঘাটে-প্রান্তরে সর্বত্র হুঙ্কার তুলে আসে প্রমত্ত বাদল। কর্মব্যস্ত মানুষকে এক পশলা শান্তির নির্যাস দিয়ে যায় যেন বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতি। আর ঘরে অবস্থানরত মানুষের মনে একাকিত্বের করুণ সুর বেজে ওঠে। তাই বর্ষণমুখর দিন মানুষের মনে মিশ্র অনুভূতির সঞ্চার করে।