‘শিক্ষা সফর’ শব্দটি শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। জ্ঞান আহরণের ক্ষেত্রে দুটি মাধ্যম সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হলো বই এবং ভ্রমণ। বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করলে মানুষ প্রত্যক্ষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। এ অভিজ্ঞতা সব সময় মানুষের মনে অম্লান হয়ে থাকে। ছাত্রসমাজকে জ্ঞানের সংস্পর্শে নিয়ে যাওয়ার জন্যই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষাসফরের আয়োজন করে থাকে। শিক্ষাসফরে একটি নির্দিষ্ট জায়গা পরিভ্রমণের মাধ্যমে অদেখাকে দেখা যায়, অজানাকে জানা যায় সফর মাত্রই রোমাঞ্চকর। আর তা যদি শিক্ষাকে কেন্দ্র করে হয় তবে তো কথাই নেই। আমাদের পাঠ্যশিক্ষার বিষয়টি শিক্ষাসফরের মাধ্যমে আরও পরিষ্কার হয়ে ধরা দেয় আমাদের কাছে। যেকোনো ঐতিহাসিক স্থান, জাদুঘর কিংবা বিশেষ কোনো স্মৃতিবিজড়িত স্থান পরিদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষা লাভের পথ সুগম হয়। বাস্তবিক জীবনবোধের সাথে পরিচিত হতে হলে শিক্ষাসফরকে গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক। শিক্ষাসফর আমাদের জীবনবোধের পরিধিকে বিস্তৃত করে জ্ঞানকে পরিপূর্ণতা দান করে। এতে দৃষ্টি উন্মীলিত হয় এবং মানুষ নব নব অভিযানে অংশ নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি একঘেয়েমি দূর করে বৈচিত্র্য এনে দিতে পারে শিক্ষাসফর। শিক্ষার পরিপূর্ণতা লাভে শিক্ষাসফর কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।