কথাসাহিত্যিক সরদার জয়েনউদ্দীন উপন্যাস রচনায় স্বকীয়তার পরিচয় দিয়েছেন। সমকালীন সমাজের সংকট, মানবিক মূল্যবােধের অবক্ষয় এবং গ্রামীণ সমাজের অবহেলিত মানুষের দুঃখ- বেদনার চিত্র নিখুঁতভাবে বর্ণনা করেছেন তার উপন্যাসে।
তার প্রথম উপন্যাস ‘আদিগন্ত' (১৯৫৯)। সরলা ও মেহের বয়াতির প্রেমের কাহিনি বর্ণনার ভেতর দিয়ে পল্লীসমাজের জটগুলাে অনাবৃতভাবে প্রকাশিত হয়েছে সরদার জয়েনউদ্দীন রচিত এ উপন্যাসে।
গ্রামের পীর খােরশেদ আলি, বৈষ্ণব কন্যা সরলার সঙ্গে মুসলমান মেহেরের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। খােরশেদ উভয়ের ধর্মের দোহাই দেয়। কিন্তু সরলার প্রতি কাম অনুভব করে খােরশেদ। সরলার দেহ ভােগ করার জন্য কৌশলে কুণ্ডুল বােরেগির সঙ্গে সরলার বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। বিয়ের রাতেই কুণ্ডুলকে কৌশলে হত্যা করায় পীর। কিন্তু হত্যার দায়ে মেহেরকে জেলে পাঠানাে হয়।
এই উপন্যাসে গ্রামে বসবাসরত হিন্দুদের দুরবস্থা, বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার দিকটি ফুটে উঠেছে অন্যদিকে পীর খােরশেদ আলির মতাে কামপীড়িত দুর্জনদের স্বরূপ উদঘাটিত হয়েছে।
চরিত্রচিত্রণ, ভাষা ও সংলাপ রচনায় যেমন নিপুণতার পরিচয় দিয়েছেন তেমনি অবহেলিত মানুষের দুর্দশাকে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করেছেন।
Be Connected with us: Facebook Page Or Join to Our Facebook Goup