সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘চাঁদের অমাবস্যা' (১৯৬৪) উপন্যাসে আরেফ আলী নামের এক স্কুল মাস্টারকে অবলম্বন করে মানুষের অন্তর্জীবনের জটিলতা উল্লেখ প্রসঙ্গে সামন্ত-সমাজ প্রভাবিত গ্রামীণ জীবনের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন।
উপন্যাসের কাহিনি, ঘটনাক্রম, সংলাপ ইত্যাদিতে মানব জীবনের বাস্তব প্রসঙ্গটি স্বতন্ত্র ও সূক্ষ্মভাবে উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় চরিত্র আরেফের সঙ্গতি না থাকার কারণে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে জীবন যাপন করে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। সমাজপতিদের চাপে ন্যায়বিচার রুদ্ধ হয়ে পড়ে প্রসঙ্গত করিম মাঝির স্ত্রী হত্যার বিচারের কথাটি স্মরণযােগ্য। গ্রামের এক সম্ভান্ত পরিবারের সদস্য কাদের (যে গ্রামে দরবেশ বলে খ্যাত) গভীর রাতে এক যুবতীকে বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে। এই ঘটনা হঠাৎ দেখে ফেলে ঐ পরিবারে আশ্রিত নিম্নবিত্তের স্কুল শিক্ষক আরেফ আলী।
এখন আরেফ কী করবে? সে কি সবাইকে জানিয়ে দেবে সত্য ঘটনা? যদি জানায় তাহলে তার আশ্রয়চ্যুতি ঘটবে, নিজের উপরও চেপে যেতে পারে সে অপরাধ! আর না বলেও সে মনে মনে অস্থির হয়ে যায়। আরেফের মনােগত ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়াই এই উপন্যাসের মৌল প্রতিপাদ্য বিষয়
Be Connected with us: Facebook Page Or Join to Our Facebook Goup