বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সমাজব্যবস্থায় বিরাজমান অন্যায়-অত্যাচার-শােষণ ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রামী বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম ঝড়ের মতাে বাংলা সাহিত্য- অঙ্গনে আবির্ভূত হয়ে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছিলেন। মাত্র অল্পকালের সাহিত্য সাধনায় এত ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা পৃথিবীর খুব কম কবিই অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন বিশ্বমানবতার কবি। মানবতার পক্ষে কথা বলতে গিয়েই তিনি বিদ্রোহী’ অভিধায় অভিহিত হয়েছেন।
তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে, অকল্যাণ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। দেশ-জাতির প্রতি
মমত্ব ও দায়িত্ববােধসম্পন্ন কবি পরাধীন জাতিকে মুক্ত করার কথাই ব্যক্ত করেছেন তার বিষের বাঁশী (১৯২৪) কাব্য গ্রন্থটিতে। কিন্তু সে বছরই সরকার গ্রন্থটি নিষিদ্ধ করে। এটি নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধকৃত গ্রন্থ। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহৃত হয়েছিল ১৯৪৫ সালে।
মােট ২৬টি কবিতার সংকলনে ‘বিষের বাঁশী’ কাব্যটি রচিত। এর মধ্যে ১৮টি গান। এ গানগুলাে উদ্দীপনামূলক। গানগুলাের মধ্যে পরাধীনতার জ্বালাবােধ, শৃঙ্খলিত নিপীড়িত জাতির আকাক্ষা উচ্চকিত হয়েছে।
বন্দনা-গান’ কবিতায় কবি তার বিদ্রোহাত্মক ও জাতি জাগরণমূলক ভাব প্রকাশ করেন এভাবে-
‘শিকলে যাদের উঠেছে বাজিয়া বীরের মুক্তি- তরবারি,
আমরা তাদেরি ত্রিশ কোটি ভাই, গাহি বন্দনা-গীতি তারি।
বন্দী-বন্দনা, শিকল-পরার গান, চরকার গান, জাতের বজ্জাতি, সত্যমন্ত্র, অভিশাপ, ঝড়-এ কাব্যের উল্লেখযােগ্য কবিতা, উল্লেখ্য, বিশের বাশী’ কাব্যটি কবি নিজেই প্রকাশ করেন হুগলি থেকে ১৯২৪ সালে।
Be Connected with us: Facebook Page Or Join to Our Facebook Goup