কাজী নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় উপন্যাস মৃত্যুক্ষুধা' (১৯৩১)। উপন্যাসটি 'সওগাত' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। এ উপন্যাসের পটভূমি রচিত হয়েছে কৃষ্ণনগরকে কেন্দ্র করে।
কৃষ্ণনগরের চাদবাজারস্থিত নিম্ন শ্রেণির মুসলমান আর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সুখ-দুঃখের জীবনঘনিষ্ঠ বর্ণনাই উপন্যাসের মূল উপজীব্য।
বিত্তশালী-মুসলমান পরিবারের যুবক আনসার এই উপন্যাসের নায়ক।
দারিদ্র্য, ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সপরিবার মেজবৌয়ের মুসলিম থেকে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। অন্যদিকে রুবি আনসারকে ভালােবাসলেও রুবির পিতা তাকে বিয়ে দেয়
আইসিএস পরীক্ষার্থী মােয়াজ্জেমের সঙ্গে। মােয়াজ্জেমের মৃত্যুর পর বিধবা রুবির জীবনে নেমে আসে
সমাজের বিধিনিষেধ।
নারীজীবনের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা এবং সমাজের বাস্তবচিত্র এই উপন্যাসে তুলে
ধরা হয়েছে। উপন্যাসের কাহিনি, চরিত্র-চিত্রণ, সমাজ সচেতনতা, রােমান্টিকতা সর্বৈব বিচারে মৃত্যু
ক্ষুধা’ নজরুলের গদ্য সাহিত্যের মধ্যে অনন্য শিল্পকর্ম।
Be Connected with us: Facebook Page Or Join to Our Facebook Goup