মূলভাব : মানুষের স্বভাব-চরিত্রের বিকাশের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে সঙ্গী নির্বাচন।
ভাব সম্প্রসারণ : প্রত্যেক মানুষই তার জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি স্বাধীন সত্তা বহন করে। সে একাই তার বিবেককে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এক্ষেত্রে তার সঙ্গের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ভবিষ্যতের সুন্দর বা খারাপের বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তির ইচ্ছা বা সঙ্গ নির্বাচনের ওপর। যেসব মানুষ উন্নত চরিত্র বা সৎ-স্বভাবের লোকের সঙ্গে মেলামেশা করে, তাদের স্বভাব-চরিত্রও সুন্দর ও বিকশিত হয়ে ওঠে। অন্যদিকে যারা কুসঙ্গে বা কুসংসর্গে এসেছে তাদের চরিত্রের অধঃপতন ঘটেছে। চরিত্রের গঠনে ভালো মন্দ উভয় দিকই নির্ভর করে সঙ্গী নির্বাচনের ওপর। যারা খারাপ সঙ্গীর সংস্পর্শে থেকে নিজেদের চরিত্রের অধঃপতন ঘটিয়েছে, সমাজে তাদের বিপর্যয় অনিবার্য। তাই মানবজীবনে সঙ্গ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রকৃতিতেও যেসব বস্তু সুন্দর ও রমণীয়, সেগুলোর সংস্পর্শে যেসব বস্তু থাকে তারাও সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। খারাপ বস্তুটি সুন্দর বস্তুটির গুণ নিজের মধ্যে ধারণ করে অন্যের কাছে নিজেকে মর্যাদাবান ও গ্রহণযোগ্য করে তোলে। প্রকৃতপক্ষে, সঙ্গই সৃষ্টিকে মহিমান্বিত করে তোলে। আর এজন্য সঙ্গই হলো সবকিছুর সাফল্য ও বিফলতার চাবিকাঠি। ব্যক্তি যতই মনে করুক সে ভালো চরিত্রের অধিকারী হবে সে তা কখনোই হতে পারবে না যদি খারাপ সঙ্গীর সংস্পর্শে থাকে। কেননা খারাপের সঙ্গে থাকতে থাকতে একসময় প্রভাবিত হয়ে ব্যক্তি খারাপকে গ্রহণ করবে। তাই ভালো চরিত্র লাভ করতে ভালো সঙ্গী নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য : ব্যক্তির চরিত্র গঠনে সঙ্গই ভালো মন্দের নির্ণায়ক।