জাতিকে শক্তিশালী, শ্রেষ্ঠ, ধনসম্পদশালী, উন্নত ও সুখী করতে হলে শিক্ষা ও জ্ঞান বর্ষার বারিপাতের মত সর্বসাধারণের মধ্যে সমভাবে বিতরণ করতে হবে। দেশে সরল ও সহজ ভাষায় নানা প্রকারের পুস্তক প্রচার করলে এই কাজ সিদ্ধ হয়। শক্তিশালী দৃষ্টিসম্পন্ন মহাপুরুষদের লেখনীর প্রভাবে একটি জাতির মানসিক ও পার্থিব অবস্থার পরিবর্তন অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে সংসাধিত হয়ে থাকে। দেশের প্রত্যেক মানুষ তার ভুল ও কুসংস্কার, অন্ধতা ও জড়তা, হীনতা ও সংকীর্ণতাকে পরিহার করে একটা বিনয়-মহিমোজ্জ্বল উচ্চ জীবনের ধারণা করতে শেখে, মনুষ্যত্ব ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করাই ধর্ম মনে করে, আত্মমর্যাদাজ্ঞানসম্পন্ন হয় এবং গভীর দৃষ্টি লাভ করে। তারপর বিরাট জাতির বিরাট দেহে বিরাট শক্তি জেগে ওঠে। [কু. বো. ১৫, ব. বো. ১১]
সারাংশ : সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটিয়েই কেবল জাতির সঠিক উন্নয়ন সম্ভব। সহজ ও সরল ভাষায় বই লেখা হলে তা জ্ঞান-বিজ্ঞানের পথকে সুগম করতে পারে। এক্ষেত্রে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মহৎ লেখকদের ভ‚মিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের লেখনী জাতিকে কুসংস্কার থেকে মহৎ জীবনে ব্রতী করে। এভাবেই জাতির মধ্যে আত্মশক্তির জাগরণ ঘটে এবং আলোকিত সমাজ গঠিত হয়।