রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহুল পঠিত ও আলােচিত শিল্পসফল কাব্যনাট্য 'বিসর্জন’ (১৮৯০) তারই ইতিহাস
আশ্রিত উপন্যাস রাজর্ষি'র কাহিনি নাট্যরূপ।
উদার ধর্মবােধ এবং সংকীর্ণ ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব
যেমন এই নাটকের প্রধান উপকরণ, তেমনি বিশ্বাসের উগ্রতা এবং মানব সম্পর্কের নিবিড়তা এই
নাটকের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ নাটকে দেখা যায় যে, শ্রাবণের শেষ রাতে অন্ধকারে মন্দিরে রঘুপতি
জয়সিংহের জন্য উগ্রীবভাবে প্রতীক্ষারত— তার বিশ্বস্ত শিষ্য জয়সিংহ রাজরক্ত নিয়ে আসবে। কিন্তু
বাস্তবত শ্রাবণ বর্ষা যেমন পৃথিবীর সব ক্লেদাক্ততা ধুয়ে মুছে নিঃশেষ করে দেয়, তেমনি জয়সিংহের
এতদিনের দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। সে রাজরক্তের পরিবর্তে নিজের রক্ত দিয়ে হিংস্রতা পঙ্কিলতাকে
নিঃশেষে ধুয়ে শুভ্র শুচি করে তুলেছে এবং রক্তপাতপুষ্ট মূঢ় দেবী প্রতিমাকে গােমতীর জলে বিসর্জন
দিয়েছে।
নাটকে শুধু আত্মবিসর্জনে সমস্যার সমাধান খােজা হয়নি, তার চেয়েও কঠোর ত্যাগের মধ্য
দিয়ে বিরােধের অবসান প্রদর্শিত হয়েছে।
রঘুপতি, জয়সিংহ, অপর্ণা, গুণবতী, গােবিন্দমাণিক্য বিসর্জন
নাটকের প্রধান চরিত্রগুলাের অন্যতম।
রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এই নাটকের প্রধান দুটি চরিত্র রঘুপতি ও
জয়সিংহের ভূমিকায় বিভিন্ন সময়ে অভিনয় করেন। বিসর্জন নাটকটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
বিসর্জন: মডেল প্রশ্ন
Be Connected with us: Facebook Page Or Join to Our Facebook Goup